রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার শুনানি শেষ, হাইকোর্টের রায় যেকোনো দিন

২০০১ সালে রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এখন যেকোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য (সিএভি) রেখেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় নয়জন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।
ঘটনার দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু'টি মামলা করেন।
২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডের আবেদন) ও আসামিদের জেল আপিল হাইকোর্টে আসে।
বিচারিক আদালত নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান।
এর মধ্যে সিলেটে গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায়ের পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। এরপর পেপারবুক প্রস্তুতের পর এটি কার্যতালিকায় ওঠে।
হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।