উত্তরায় দম্পতির ওপর রামদা দিয়ে হামলার ভিডিও ভাইরালের পর আটক ২

গত রাতে (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই ব্যক্তিকে আক্রমণ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২৭) নামে দুই হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল রাত ৯টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে ভুক্তভোগীদের চিৎকার করতে দেখা যায়।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা স্থানীয় অপরাধী চক্রের সদস্য।
গতকাল গভীর রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবি সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, দুই হামলাকারী বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে প্রথমে একটি রিকশাকে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
রিকশাচালক প্রথমে প্রতিবাদ করেন এবং পাশের অন্য একটি মোটরসাইকেলে থাকা দম্পতিও তার সঙ্গে যোগ দেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই যুবক উত্তেজিত হয়ে হুমকি-ধামকি দেওয়ার পর আরও কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়। পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দম্পতির ওপর হামলা চালায় বলেও জানান তিনি।
সাহায্যের জন্য তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দুই হামলাকারীকে আটক করে। তারা দুজনকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশ আরও জানায়, ওই দুই হামলাকারী ছোটন আর আলতাফ গ্রুপের সদস্য। প্রতিদিন ৮ নং সেক্টর সংলগ্ন মহল্লা থেকে এসে উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর টার্গেট করে তারা কাজ করে। উত্তরায় ছিনতাই হওয়া একটি মোবাইল ফোন আটক হওয়া একজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সাথে কথা বলার সময়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সাদ্দাম হোসেন বলেন, "মূলত তারা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ছিল এবং সেক্টর-৯ এর একটি বস্তিতে থাকত। তারা এলাকায় ছিনতাই করত। যেহেতু আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে আরও তথ্য বের করতে সক্ষম হব।"
গ্যাং নিজেই, আলতাফ একজন শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী যাকে গত বছরের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উত্তরার দক্ষিণখান এলাকা থেকে ১৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছিল।
পরে তিনি জামিন পেয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান। ওদিকে ছোটনকে এখনো প্রায়ই উত্তরায় দেখা যায়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, তারা দ্রুতই ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে দেরি করেছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হওয়ার প্রশ্ন এড়িয়ে এসি সাদ্দাম বলেন, তারা সাধারণত জাতীয় জরুরি পরিষেবা থেকে কল পাওয়ার সাথে সাথেই সাড়া দেয়।
পুলিশ কেন আগে থেকে তথ্য নিয়ে কাজ করেনি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সর্বদা সজাগ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, ধারালো অস্ত্রের হামলাসহ এ ধরনের অপরাধ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।