সংবিধানের শব্দমালা হতে হবে আমজনতার বোধগম্য: কবি হাসান রোবায়েত

সাহিত্য, রাজনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা সভায় কবি হাসান রোবায়েত বলেছেন, সংবিধানের শব্দমালা হতে হবে আমজনতার বোধগম্য। যেন বাংলা পড়তে পারা যেকোনো মানুষ বুঝতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এমন কোন জটিল শব্দ ব্যবহার করা উচিত হবেনা যাতে সংবিধানের শব্দ বুঝতে আইনি সহায়তার প্রয়োজন হয়। গণঅভ্যুত্থানের পরের সংবিধান যেন জনসাধারণ সহজেই বুঝতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে "জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাহিত্য, রাজনীতি ও সংস্কৃতির ভাষা নির্মাণ" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
এতে উপস্থিত ছিলেন রেজাউল করিম মনু, ফয়েজ আলম ও হাসান রোবায়েত প্রমুখ।
কবি হাসান রোবায়েত বলেন, সিথি কবিতার শব্দমালার যেহেতু রিকগনিশন নেই সেহেতু অনেকেই এটার সমালোচনা করে বলেছিলো এই ভাষায় আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াবোনা। কিন্তু এটাই প্রকৃতপক্ষে আমাদের ভাষা। এখানকার আমজনতার যে ভাষা সেটা এদেশের অভিজাত শ্রেণি কোন মূল্যায়ন করেইনা।
এসময় লেখক ফয়েজ আলম বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বিদায় জানতে হলে আমাদের উনিশ শতকে ভাষার ওপর আগ্রাসনের সূচনা জানতে হবে। যেটি পরবর্তীতে রাজনীতি ও অর্থনীতি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমানে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলাকে ক্ষমতা প্রকাশের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফয়েজ আলম আরো বলেন, ভাষা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। উনিশ শতকে বাংলা ভাষার হাজার বছরের স্বাভাবিক বিকাশ বন্ধ হয়েছে সংস্কৃত শব্দের কারণে। পৌরাণিক সাহিত্যকে পাঠ্যপুস্তকে নিয়ে আসায় বাংলার মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত মুসলমানরা পড়ালেখায় পিছিয়ে যায়। এর মাধ্যমে ইতিহাসের বিকৃতিও ঘটানো হয়।
তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান সুযোগ নিয়ে এসেছে নিজের মানুষের ভাষাকে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার।