চট্টগ্রাম আদালত থেকে উধাও হওয়া ৯ বস্তা মামলার নথি উদ্ধার, আটক ১

চট্টগ্রাম আদালত এলাকা থেকে উধাও হওয়া ৯ বস্তা মামলা সংশ্লিষ্ট নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ ঘটনায় রাসেল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "এই উদ্ধারকাজ ১ হাজার ৯১১টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথি নিখোঁজ হওয়ার তদন্তের অংশ। উদ্ধার হওয়া ৯টি বস্তায় কিছু হারানো কেস ডকেট (মামলার দস্তাবেজ) পাওয়া গেছে।"
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মোফিজুল হক ভূঁইয়া গত রোববার (৫ জানুয়ারি) কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর মামলা সংশ্লিষ্ট নথি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এসব নথি ২০১৫ সালের আগের মামলাগুলোর। অফিস কক্ষে জায়গা না থাকায় গত বছরের এপ্রিল থেকে পুরোনো নথিগুলো অফিসের সামনের করিডোরে রাখা হচ্ছিল। তবে এতে গুরুতর কোনো উদ্বেগের বিষয় নেই, কারণ এগুলো ফটোকপি ছিল। আসল নথিগুলো আদালতে আছে। তবুও আমি জিডি করেছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।"
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ওই দস্তাবেজগুলো ডিসেম্বর মাসে আদালতের ছুটির সময় মেট্রোপলিটন পিপি অফিসের ব্যালকনি থেকে নিখোঁজ হয়।
জিডি অনুযায়ী, স্থান সীমিত থাকায় ১,৯১১টি মামলা সংক্রান্ত দস্তাবেজগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে পলিথিনে মুড়িয়ে অফিসের সামনে ব্যালকনিতে রাখা ছিল। এই দস্তাবেজগুলো ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে সেখানে রাখা ছিল। শেষবার ১৩ ডিসেম্বর দস্তাবেজগুলো সেখানেই ছিল। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর আদালত পুনরায় খুললে দেখা যায়, দস্তাবেজগুলো নিখোঁজ। তখন এ নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত নতুন আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত এবং এতে অতিরিক্ত ও যুগ্ম দায়রা জজসহ ৩০টি আদালত রয়েছে। এই ঘটনার পর ফাইল ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তার দাবি উঠেছে।
আইনজীবীরা এই ঘটনা নিয়ে চমকিত ও উদ্বিগ্ন। তারা এই ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছেন, যাতে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যায় এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা যায়।