বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে গাজীপুরে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। এসময় যৌথ বাহিনীর সাথে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছ। তখন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়কে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে
আজ (শনিবার) সকাল দশটা থেকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। যা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এতে সেখাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আন্দোলরত শ্রমিকারা জানায়, ১৭ ডিসেম্বর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করে ৪৫ দিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর থেকে শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে।
২১শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে আটটা থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে চক্রবর্তী ও জীরানি এলাকর সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা একাধিকবার শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরাতে না পারায় টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে শ্রমিকদের সাথে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। চক্রবর্তী ও জিরানী এলাকায় এখন থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
জিএমপির কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা সকাল দশটা থেকে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনা সালে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ- ২ এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, "সকাল দশটার দিকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা বন্ধ খন্দকারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে একত্রিত হয়ে চন্দ্রা নবীনগর সড়কে বিক্ষোভ শুরু করে। এখন পর্যন্ত সড়কটির যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্প পুলিশ মহানগর পুলিশ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।"
