'ভারতীয় আগ্রাসনের' বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন: সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা

সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একদল কর্মকর্তা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে 'জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদের' ব্যানারে রাজধানীতে আয়োজিত র্যালি ও সমাবেশ থেকে তারা এ আহ্বান জানান।
এই সমাবেশে কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন। তাঁরা সমাবেশ শেষে রাওয়া ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে মূল সড়ক ধরে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেট পেরিয়ে বিমানবাহিনী স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত যান। সেখান থেকে আবার মিছিল নিয়ে রাওয়া ক্লাবের সামনে ফিরে কর্মসূচি শেষ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) লুৎফুল হক।
কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ ছিলেন এই সমাবেশের আহ্বায়ক। এই সমাবেশে কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশ নেন।
সমাবেশে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তারা বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ভারতের আধিপত্য ও আগ্রাসনের নীতির বহিঃপ্রকাশ। ভারতকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে স্বাধীন দেশের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার কোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশের জনগণ সহ্য করবে না। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিভাজন, ধর্ম, দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। দেশের তরুণ প্রজন্ম এবং ছাত্র-জনতাকেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি ভারত প্রশ্নে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বদলে সমতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করতে হবে।
মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ সমাবেশে বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতিকে কোনো অবস্থাতেই আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, সাম্যতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে হবে। ভারতের জনগণের সঙ্গে এ দেশের মানুষের কোনো শত্রুতা নেই, তাঁরা (ভারতের জনগণ) এ দেশের মানুষের বন্ধু। কিন্তু ভারতের গেরুয়া পোশাকধারী হিন্দু আধিপত্যবাদকে কোনোভাবেই এ দেশে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
পরিষদের সদস্যরা ভারত সরকারকে দুই দেশের মধ্যে সই করা সব চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশের আহ্বান জানান।
ভিয়েনা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, একটি মিশনের ওপর হামলা সংশ্লিষ্ট দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলার সমতুল্য।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠনের আহ্বায়ক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান উল্লাহ, কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মনীশ দেওয়ান ও কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) লুৎফুল হক।