শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেওয়া হয়েছে, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আজ (১ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট বলেছেন, এ মামলায় দোষীদের সাজা দেওয়া হয়েছে দুর্বল ও শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে। সাক্ষীরা ঘটনার বর্ণনা করছেন' কিন্তু কে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছেন, তা কোনো সাক্ষী বলেননি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বাতিল এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়ার পর হাইকোর্ট বলেছেন, 'এছাড়া ২১ আগস্টে কে গ্রেনেড সরবরাহ করেছে, তা চার্জশিটে উল্লেখ করেননি কোনো তদন্ত কর্মকর্তা।'
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।
রায় ঘোষণার পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, 'যে ট্রায়াল করা হয়েছিল, সেটি ছিল অবৈধ। কারণ আইনের ভিত্তিতে সেই ট্রায়াল হয়নি।'
'একইসঙ্গে আদালত বলেছেন, কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো সাক্ষীর কোনো কোলাবরেশন নেই। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এজন্য আদালত সকলের আপিল নিয়ে ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সবাইকেই বেকসুর খালাস দিয়েছেন,' বলেন তিনি।
আদালত কোনো পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে শিশির মনির বলেন, 'আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এই বলে, এ ধরনের কেসে পরস্পর কেউ দেখেছেন, কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন—এই মর্মে কোনো এভিডেন্স নেই। যাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, তাদের টর্চার করে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, ৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেওয়ার নজির নেই। আজ আদালত বললেন, দ্বিতীয় জবানবন্দি তিনি [হান্নান] যেটি দিয়েছিলেন, সেটিও পরে তিনি প্রত্যাহার করেন। এজন্য এ জবানবন্দির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।'