‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ, নাহিদ ও বাকেরকে আটক করা হয়েছে: ডিবি

ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলামকে আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা আটক করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ আজ রাতে সাংবাদিকদের বলেন, 'আসিফ, নাহিদ ও বাকের- কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই তিন নেতাকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।'
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডিবি সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে গেছে এমন সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর ডিবি প্রধান এই তথ্য জানান।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় নাহিদের বাবা বদরুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)-কে বলেন, 'নিজেদের ডিবি পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়ে কয়েকজন মানুষ আজ বিকাল ৩টার দিকে নাহিদ, আসিফ, বাকের এবং হাসপাতালের একজন কর্মচারীকে নিয়ে যায়।'
আসিফ ও নাহিদ দুজনেই ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আবু বাকেরকেও তুলে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ২০ জুলাই নাহিদকে খিলগাঁওয়ে এক বন্ধুর বাসা থেকে, ১৯ জুলাই আসিফকে মহানগর এলাকা থেকে এবং একই দিন আবু বকরকে ধানমন্ডি থেকে তুলে নেওয়া হয়।
তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
তুলে নিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর নাহিদকে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকায় চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়। পরে ২৫ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল এলাকায় এবং আবু বকরকে ধানমন্ডি এলাকায় চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, নাহিদকে লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল। আসিফকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হয়েছিল।
তাদের দুজনের দাবি, কোটাবিরোধী আন্দোলন বন্ধে তাদের চাপ দেওয়া হয়েছিল এবং বিক্ষোভের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।