পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থ মন্ত্রণালয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে বলে বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সচিবালয়ে আজ, রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, "অর্থ পাচার রোধ ও টাকার মূল্য কমে গেছে। এ বিষয়ে দেখি কি করা যায়। চ্যালেঞ্জ আছে, একটু সময় দিন।"
আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও বলেন, "রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সময় দিতে হবে। রাতারাতি সব সংকট দূর হবে না।"
এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সর্বস্তরে ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ঋণ ও কর ফাঁকিদাতা এবং দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের বিচার করে তাদের অবৈধ অর্থ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছিল, "আমরা ক্রমাগত খেলাপি ঋণ পুনঃনির্ধারণ করে ঋণ গ্রহণের সুযোগ নিয়ন্ত্রণ করবো।"
সেক্ষেত্রে নতুন অর্থমন্ত্রীকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থনীতির উন্নতি সাধনের জন্য অর্থ পাচার প্রতিরোধ এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য অর্থমন্ত্রীকে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য আইনের প্রয়োগ করা, বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত রিজার্ভ বজায় রাখা, বাস্তবিক কার্যকরী বিনিময় হার (আরইইআর) এবং নামমাত্র বিনিময় হারের (এনইআর) মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কার করা- এই কথাগুলো একজন অর্থমন্ত্রীর জন্য বলা সহজ হলেও বাস্তবে এগুলো করা সবসময় কঠিন কাজ।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রাজস্ব বৃদ্ধি করা, প্রকল্প ব্যয় ও সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পদ্ধতি সহজ করতেও অর্থমন্ত্রীকে হিমশিম খেতে হবে।
নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর শিক্ষকতা করেছিলেন।
তিনি ২০০১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি ২০১২ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী এবং ২০১৪ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।