‘ঈগল’ উড়িয়ে দিলেন ‘ক্যাসিনো সাঈদ’, তার সমর্থন নৌকায়

আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে 'ঈগল' প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মমিনুল হক সাঈদ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফয়জুর রহমানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) নবীনগরের বিভিন্ন এলাকায় নৌকার প্রার্থী নভোএয়ার-এর চেয়ারম্যান ও তুসুকা গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুর রহমানের পক্ষে প্রচারণা চালান মমিনুল ও তার সমর্থকরা।
২০১৯ সালে ক্যাসিনো ব্যবসার বিরুদ্ধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযান শুরুর পর যুবলীগ নেতা সাঈদ 'ক্যাসিনো সাঈদ' নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের থোল্লাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সাঈদ ২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে একটি অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন বলে অভিযোগ ওঠে। র্যাবের অভিযান থেকে বাঁচতে তিনি দেশ ছাড়েন। পরে অভিযান থেমে গেলে আবার দেশে ফেরেন।
আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া সাঈদের নির্বাচনী মাঠ ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কোনো চাপে পড়ে নয়, নৌকার স্বার্থে মাঠ ছেড়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আর কোনো সুযোগ নেই, তাই আমি নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি নবীনগরের ভোটারদের আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি।'
চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকার কারণে সময়মতো প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ বলেন, সাঈদ নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ায় ব্যালট পেপারে তার নাম ও প্রতীক থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান ছাড়াও জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. জামাল সরকার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস এবং তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ জন।