প্রতিদিন গড়ে ৫টি বাস পোড়ানো হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস

২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সারাদেশে মোট ১৫৪টি আগুনের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ সময়ের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।
এছাড়া, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রমে সারাদেশে ৫ জনকে আহত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ২ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুরে অগ্নি নির্বাপণ করার সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক মারধরের শিকার হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এসময় ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়, এছাড়া দেশের ২৫টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক কোন অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দেশের সকল বিভাগে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও সিলেট বিভাগে কোন ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে ৮টি, নারায়ণগঞ্জে ৬টি, বগুড়ায় ৫টি, মানিকগঞ্জে ৪টি, ফরিদপুরে ৪টি, লালমনিরহাটে ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক দিনের বেলা থেকে রাতে (সন্ধ্যা ৬টা-সকাল ৬টা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এ কয়েকদিনে অন্তত ৭৪টি বাস, তিনটি মাইক্রোবাস, দুটি প্রাইভেট গাড়ি, আটটি মোটরবাইক ও ১৩টি ট্রাক পুড়ে গেছে।
২৮ অক্টোবর থেকে ১৬ দিনে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের একটি গাড়ি, বিএনপির পাঁচটি কার্যালয়, আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়, একটি পুলিশ বক্স, কাউন্সিলরের একটি কার্যালয়, দুটি বিদ্যুৎ অফিস, একটি বাস কাউন্টার এবং দুটি শোরুমে আগুন দেয়।