বিএনপির অবরোধে জাবির গেইটে ছাত্রদলের তালা, আধাঘণ্টার মধ্যেই ভেঙে দিল প্রশাসন

বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকসহ সবকটি ফটকে আজ সকালে তালা লাগিয়েছিল শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে এর ৩০ মিনিটের মধ্যেই সবগুলো ফটকের তালা ভেঙে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন প্রধান ফটকে তালা লাগান ছাত্রদলের তিনজন কর্মী। একই সময়ে মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন গেইট, জয় বাংলা গেইট (প্রান্তিক গেইট), বিশমাইল গেইট, ইসলামনগর গেইট ও গেরুয়া গেইটে তালা লাগান দলের নেতাকর্মীরা।
তবে তালা লাগানোর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও নিরাপত্তা শাখা সব গেইটের তালা ভেঙে ফেলে।
মূল ফটকে তালা লাগানোর দশমিনিটের মাথায় সহকারী প্রক্টর এস এম এ মওদুদ আহমেদ ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের সহযোগী অধ্যাপক পলাশ সাহা সেখানে উপস্থিত হন। পরে সহকারী প্রক্টরের নির্দেশনায় তালা ভাঙেন নিরাপত্তা কর্মীরা।

প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম ও নিরাপত্তা প্রহরী শাহ আলম জানান, "সকাল সাড়ে সাতটা দিকে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে হঠাৎ করে গেইট বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয়। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তালা লাগিয়ে দিয়ে চলে যায় তারা। পরে কন্ট্রোল রুমে জানালে তালা ভেঙে ফেলতে বলে। আধাঘণ্টার মধ্যেই আমরা তালা খুলে দেই।"
সবগুলো প্রবেশপথে একযোগে তালা লাগানোয় বিপাকে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। আধাঘন্টা পর জয় বাংলা গেইট ও বিশমাইল গেইটের তালা ভেঙে ফেলা হলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ছাত্রদলের ৫-৭ জন নেতাকর্মী মোটরসাইকেল যোগে এসে গেইটগুলোতে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তালার সঙ্গে 'সবার্ত্মক অবরোধ' লেখা সংবলিত ব্যানার ঝুলিয়ে দেন তারা। ছাত্রদলের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের মীর মশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, জোবায়ের আল মাহমুদ, নাইমুল হাসান কৌশিক, রেজাউল আমিন, সাহানুর রহমান, এম আর মুরাদ, রাজন মিয়া, নিশাত আব্দুল্লাহ, মুত্তাশিন ফুয়াদ, রাজু, আলামিন প্রমুখ।
দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশপথে তালা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদল নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক বলেন, "সরকার যতো বেশি বাধা দিবে, হামলা মামলা করবে— সরকারের পতন তত ভয়ংকর হবে। পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই স্বৈরাচার সরকারকে রাজপথেই মোকাবেলা করবো।"