বাংলাদেশের বিক্ষোভ-সমাবেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গত সপ্তাহের শেষে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
শনিবারের বিক্ষোভে পুলিশ ইট-পাটকেল নিক্ষেপকারী বিরোধীদলীয় সমর্থকদের উপর রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে; সরকারের পদত্যাগ এবং জানুয়ারিতে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধীদলের সমর্থকেরা।
মিলার বলেন, "আমরা সহিংসতার ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জড়িতদের বিচারের আহবান জানাই।"
এছাড়াও আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণ যেন শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত হতে পারে এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে পারে, এমন পরিবেশ তৈরির আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, "অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ভোটার, রাজনৈতিক দল, তরুণদের দল এবং পুলিশ- সকলের প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করে- আর রাজনৈতিক সহিংসতাপূর্ণ পরিবেশে এমন নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।"
এর আগে মে মাসে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত যেন হয়, সে জন্য নতুন একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের এই নীতির আওতায় ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া, এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।