সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলেই কেবল পর্যবেক্ষক পাঠান: ইইউ মিশনকে বললো জামায়াত

নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনকে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আজ শনিবার (১৫ জুলাই) ইইউ দূতাবাসে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিশন সদস্যদের এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, "কেবল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্রাউন্ড তৈরি হলেই যেন ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠায়– আমরা সে আহ্বান জানিয়েছি। নাহলে ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হলে – সেখানে পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে একে শুধুমাত্র কিছুটা বৈধতাই দেওয়া হবে।"
বৈঠকে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মো. মতিউর রহমান আখন্দ ও অধ্যাপক আব্দুর রব।
ব্রিফিংয়ে সরকারের সাথে কোনো সমঝোতা হয়নি উল্লেখ করে জামায়াত আমীর তাহের বলেন, "বিএনপির সঙ্গে আমরা যুগপৎ আন্দোলনেই ছিলাম। তারা যখন ১০ দফা দেয়, আমরাও ১০ দফা দিয়েছি। এতে আমাদের আমীরকে গ্রেফতার করা হয়, মিছিলে হামলা করা হয়। যেহেতু আমরা বিএনপির সঙ্গে জোটে ছিলাম, সরকারে ছিলাম এবং যুগপৎ আন্দোলনেও ছিলাম – তাই আমরা আশা করেছিলাম, এসব ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তত একটি বিবৃতি দেয়া হবে। কিন্তু তারা সে কাজটি করেননি। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা মর্মাহত হয়েছেন।"
সিলেটে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, "নির্বাচনের চার মাস আগে যে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না, অফিস খুলতে দিচ্ছে না– এরকম পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, এটা আশা করার কোন কারণ নেই। সরকার এখনই প্রমাণ করছে, তাদের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হতে পারে না। আমরা তাদেরকে (ইইউ মিশনকে) এটা জানিয়েছি। তারাও তাদের ডিপ্লোমেটিক ভাষায় আমাদের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন।"