কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসকে আজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকার কারা সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুল ইসলাম।
রমনা থানায় দায়ের করা ডিএসএ মামলায় গতকাল শামসুজ্জামানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার জানান, রমনা থানায় দায়ের করা এ মামলায় শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আটকের ৩০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, তেজগাঁও থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়নি সিআইডি।
এর আগে, বুধবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসকেও আসামি করা হয়। এছাড়াও আসামিদের মধ্যে 'সহযোগী ক্যামেরাম্যান'সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে, বুধবার ভোরে শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এরপর ভোর ৪টার দিকে শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রাত সোয়া ২টার দিকে তেজগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।
শামসুজ্জামান ও প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিএসএর ২৫(২), ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ঢাকা থেকে সিআইডির কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসেন এবং শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে ভোর ৪টার দিকে তুলে নিয়ে যান। আমি কর্মকর্তাদের নাম জানি না।"
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে তিনটি গাড়িতে করে প্রায় ১৬ জন শামসুজ্জামানের বাসার সামনে যান। তারা আরো জানান, তিনটি গাড়ির মধ্যে একটিতে নম্বর প্লেট ছিল না।
শামসুজ্জামানের পরিবার জানায়, ভোর ৪টায় তাকে আটক করার পর বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় এ সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে তাকে আবারও তুলে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।