রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের ১৭ সদস্য টেকনাফে থাকছেন ৭ দিন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের ২২ সদস্যের মধ্যে ৫ জন মিয়ানমারে ফেরত গেছেন। অপর ১৭ সদস্য টেকনাফে থাকছেন ৭ দিন। এসময়ের মধ্যে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপ করবেন।
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফের জালিয়াপাড়া জেটি ঘাটে পৌঁছেন।
ওখানে কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল তাদের স্বাগত জানান।
এরপর প্রতিনিধি দলটিকে সাথে নিয়ে সকলে যান টেকনাফের কেরুনতলীস্থ প্রত্যাবাসন ঘাটে। ওখানে দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠক শুরু হয়।
মিয়ানমারের শরণার্থী প্রত্যাবাসন দলের সিনিয়র অং মায়োর নেতৃত্বে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি টেকনাফে আসে।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কথা বলেননি। তবে বৈঠকটি মূলত মিয়ানমারে পাঠানো রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই নিয়ে। বাংলাদেশের পাঠানো তালিকা থেকে মিয়ানমার যে সমস্ত রোহিঙ্গাকে তাদের নাগরিক হিসেবে যাচাই-বাছাই করে ফিরতি তালিকা দিয়েছিলো তা নিয়ে দুই দেশ এই বৈঠকে আলোচনা করবে।
মিয়ানমারের যাচাইকৃত তালিকার অনেক রোহিঙ্গা দম্পতির পরিবারেই নতুন করে সন্তান জন্ম নিয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করতে মূলত দু'দেশের এই বৈঠক।
শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, তালিকার বিষয়টির বাইরেও পুরো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটির রুট ম্যাপ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
শরণার্থী কমিশনের দাবি, বাংলাদেশ মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে মাত্র ৬০ হাজারের মতো।
তালিকা ধরে এর আগেও দু'বার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রোহিঙ্গাদের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে আশ্রিত আছেন।