চট্টগ্রাম বন্দরে ১১ কোটি টাকার মালামাল জব্দ

বন্ড সুবিধার আওতায় পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ফেব্রিক্স আমদানি করে তা খোলা বাজারে বিক্রির চেষ্টার অপরাধে ১১ কোটি টাকার পণ্য আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) কাস্টমস গোয়েন্দা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাভার ডিইপিজেড-এর পোশাক কারখানা গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড এসব পণ্য আমদানি করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের উত্তর হালিশহরে স্পিডওয়ে লজিস্টিকসের ভাড়া গুদামে অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভারের ডিইপিজেডের গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের আমদানি করা ১০৭ দশমিক ২৬ টন ফেব্রিক্স আটক করা হয়েছিল। যার বাজার মূল্য ছিল ১০ কোটি টাকা। এ ঘটনায় বুধবার হালিশহর থানায় ফৌজদারি মামলাসহ চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটে মামলা করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তি বন্ড সুবিধায় আনা পণ্যের অবৈধ মজুদ, সরবরাহ ও খোলা বাজারে বিক্রি বা বিক্রির চেষ্টা চোরাচালান হিসেবে গণ্য করা হয়। এসব পণ্য চোরাই পথে খোলাবাজারে বিক্রির চেষ্টা রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
বিএলগুলোর (বিল অফ লেডিং) বিপরীতে কোনো বৈধ এলসি বা সেলস কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো না হওয়ায়, তদন্ত সাপেক্ষে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিএমইএর সদস্য তালিকা অনুযায়ী, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম এনগ্যান হাং ট্যাক ক্যালভিন। প্রতিষ্ঠানটির টিঅ্যান্ডটি নম্বরে ফোন করা হলে তাতে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
মামলা করতে কেন এত দেরি হলো এমন প্রশ্নের জবাবে কাস্টমস কর্মকর্তা মো. বশীর আহমেদ বলেন, বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করতে সময় লেগেছে।
এই ঘটনার পর গোল্ডটেক্স গার্মেন্টসের আরও চারটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে চিহ্নিত করে কাস্টমস গোয়েন্দা।