পঞ্চগড়ে নামছে শীত, দুর্ভোগ বাড়ছে নিম্ন-আয়ের মানুষের

পঞ্চগড়ে কমতে শুরু করেছে শীতের তাপমাত্রা; অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কারণে হিমশিম খাচ্ছেন দরিদ্র মানুষ। সংসার চালাবেন না শীতবস্ত্র কিনবেন এ নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
তবে, স্বচ্ছলরা শীত মোকাবেলায় এখন থেকেই লেপ তোষক বানানো শুরু করেছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সোমবার (১৪ নভেম্বর) সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতবছর এই দিনে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
গতবারের তুলনায় এবার শীত একটু দেরিতে আসছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান।
গত কদিন ধরেই জেলায় শেষ বিকেল থেকে ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। রাতে কোন কোন দিন কুয়াশা বেশি পড়ে, সে কুয়াশা সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত থাকছে।
তবে, দিনের বেলা সূর্যের তাপে ঠান্ডা কমে গিয়ে গরম অনুভুত হয়। দিনের বেলা তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রীতে উঠানামা করছে।
শীত বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
তেঁতুলিয়ার ভ্যান চালক ইসাহাক আলী বলেন, "সংসারের প্রয়োজনে ভোর থেকে ভ্যান নিয়ে ছুটতে হচ্ছে। চাল ডালসহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সংসার চালাবো না শীতবস্ত্র কিনবো বুঝতে পারছি না।"
আরেক ভ্যান চালক সইরউদ্দিন বলেন, "শীতের কারণে আয় রোজগার কমে গেছে। সংসার চলে না। কিভাবে চলবো এটাই টেনশন।"
তেঁতুলিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রীন তেঁতুলিয়া ক্লিন তেঁতুলিয়ার পরিচালক কাজী মতিউর রহমান বলেন, "শীত মৌসুমের শুরুতেই সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র সরবরাহ করা উচিত। শীত শেষে শীতবস্ত্র বিতরণ শীতার্তদের কোন কাজে আসে না।"
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান জানান, নভেম্বরের শেষদিকে তাপমাত্রা আরো কমবে, বাড়বে শীতের তীব্রতা।