ট্রাক-পিকআপ-প্রাইভেট কারে সেতু দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল
ঈদের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার পদ্মা সেতু দেখতে মাওয়া টোলপ্লাজায় ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা। দুপুর থেকে ব্যক্তিগত যানবাহন, গণপরিবহন সহ ট্রাক-পিকআপে চড়ে প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী আসতে দেখা যায়। বিকেল ৫টার দিকে প্রাইভেট কারে আসা দর্শনার্থীদের ঢল নামে।
সরেজমিন বেলা পাঁচটায় দেখা যায়, পদ্মা সেতুর উত্তর থানার মোড় থেকে টোল প্লাজা পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এসব যানবাহনের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি। গাড়ির চাপে টোল প্লাজার অভিমুখে গাড়ি এগোচ্ছিল ধীর গতিতে। স্বজন, বন্ধুর দল আর পরিবার নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে থাকে স্বপ্ন সক্ষমতার সেতুতে; বহরে নারী-শিশুরাও ছিল। টোল প্লাজায় ৫টি বুথ দিয়ে আদায় হয় টোল।
মোঃ মাসুদ নামের এক দর্শনার্থী জানান, 'গাজীপুর থেকে আসছি। প্রতিবছর ঈদেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। এবার ভাবলাম স্বপ্নের পদ্মা সেতুই দেখি আসি। এখানে তো প্রচুর মানুষ। গাড়ির সারিও দীর্ঘ তাই অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ পার থেকে ঐ পার যাবো। আবার এ পার আসবো। এটাই একটা আনন্দ।'
শ্রাবন্তী নামের এক শিশু দর্শনার্থী বলেন, 'ঈদ উপলক্ষে বাবা-মা সবার সাথে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছি। খুব আনন্দ লাগছে।'
গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে আসা এক যুবক বলেন, 'বন্ধুরা সবাই মিলে সেতু দেখতে আসছি।'
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মোঃ উজ্জল বলেন, 'টিভিতে অনেক দেখছি। তাই বাস্তবে দেখার ইচ্ছা জাগলো। ঈদের ছুটি তাই দেখতে চলে আসলাম।'
আশেপাশের জেলা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী এদিন সেতু এলাকায় আসে। পিকআপে চড়ে ঝিনাইদহ থেকে আসা একটি দলের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। হাসিমুখে সবাই বলে ওঠেন, 'আমরা ঝিনাইদহ থেকে এসেছি, পিকআপ ভাড়া করে বর্ডার থেকে এসেছি সেতু দেখতে।'
এদিকে পিকআপে সাউন্ডবক্স নিয়ে বিকট শব্দে গান বাজিয়ে সেতুতে উঠার চেষ্টাকালে দুটি পিকআপ জব্দ করে পুলিশ। উত্তর থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উচ্চস্বরে গান বাজাতে বাজাতে সেতুতে উঠছিলো পিকআপ দুটি। সাইন্ডবক্সের সাথে যাত্রী ভর্তি ছিলো। বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করায় ট্রাফিক পুলিশ পিকআপ দুটি জব্দ করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। যানবাহন দুটি বর্তমানে থানায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ঈদের দ্বিতীয় দিনে সেতু পারাপার করে ৩২ হাজার ৪৪০টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ টাকা।
