‘মৃত’ কিশোরীর জীবিত উদ্ধার: মামলার সকল নথি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

নারায়ণগঞ্জে 'মৃত' কিশোরী ফিরে আসা ও তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ মামলার সব নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ওই মামলায় তদন্তের সঙ্গে জড়িত দুই তদন্ত কর্মকর্তাকেও তলব করেছেন আদালত। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত রিভিশন আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল ছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। ৫ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন দায়ের করেন।
গত ২৪ আগস্ট 'ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন' শীর্ষক শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ২৪ আগস্ট হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরদিন একটি রিভিশন মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে শিশির মনির জানান, গত ৪ জুলাই ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়। গত ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বাবা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন, ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেন। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদেরকে জেলে পাঠানো হয়।
কিন্তু গত ২৩ আগস্ট ওই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যায়। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হেফাজতে হয়েছে।