সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিক ও ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তার ৮

নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আটককৃতদের মধ্যে কারখানার মালিক এবং পরিচালকেরা রয়েছেন"।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এই ঘটনায় কেউ যদি সামান্যতমও ভুলভ্রান্তি করে থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

এদিকে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও তার তিন ছেলেকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার একজনের পরিবার এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদেরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
আটককৃতরা হলেন- এমএ হাসেম, তার ছেলেরা- হাসিব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহিম, তাওসিব ইব্রাহিম ও তানজিম ইব্রাহিম; কারখানার কর্মকর্তা- শাহান শাহ আজাদ, মামুনুর রশিদ এবং মোঃ সালাহউদ্দিন।
রাজধানীর গুলশানের বাসভবন থেকে এমএ হাসেম এবং তার ছেলেদের আটক করে আজ রূপগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত ঘটে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জন নিহত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ৪৯ জন এবং হাসপাতালে ৩ জন মারা যায়।
আগুন লাগার ঘটনায় শ্রমিকদের অসতর্কতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে গতকাল এম এ হাসেম বলেন, শ্রমিকদের অবহেলার কারণে আগুন লাগতে পারে।
তিনি বলেন, "জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার?"
"আমি তো আর যেয়ে আগুন লাগিয়ে দেইনি। অথবা আমার কোনো ম্যানেজারও আগুন লাগায়নি"।