বিকাশকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে মানিগ্রাম

বিকাশের সঙ্গে একীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের মোবাইল ওয়ালেট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে মানিগ্রাম। বুধবার পিআর নিউজওয়াইয়ারে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় মানিগ্রাম।
এ উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের সাড়ে পাঁচ কোটি বিকাশ ব্যবহারকারী এখন বিশ্বজুড়ে অর্থ লেনদেন করতে পারবে।
এই বৈশ্বিক ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, থুনসের সঙ্গে তাদের চলমান অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে করা হয়েছে এই একীকরণ। থুনস বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল ব্যবসার জন্য অর্থপ্রদান করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে বিকাশের কর্পোরেট কমিউনিকেশনসের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, "আমরা দ্রুত এবং নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে মানিগ্রামের মতো ৫০টিরও বেশি মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করছি।
"রেমিট্যান্স উপার্জনকারীরা এখন বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশ থেকে আমাদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করতে পারবেন এবং বিকাশ সে অর্থ ব্যবহারকারীর কাছে বিতরণ করবে।"
মানিগ্রামের চেয়ারম্যান এবং সিইও অ্যালেক্স হোমস বলেন, "আমাদের সর্বশেষ একীকরণ একটি বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান বাজারে লক্ষ লক্ষ বিকাশ ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের আর্থিক জীবনকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।"
মানিগ্রামের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে এশিয়ার কিছু অংশে ভোক্তাদের জীবনে রেমিট্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। যে কারণে এসব লেনদেনের ডিজিটাল বিকল্প এবং মোবাইল ওয়ালেটের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
বিকাশের সঙ্গে এই সাম্প্রতিক একীকরণ বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পরিষেবাগুলোর উপস্থিতি বাড়াবে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২০ সালে রেমিট্যান্সের আকারে বাংলাদেশে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ প্রবাহিত হয়েছে। যা দেশের জিডিপির প্রায় সাত শতাংশ।
এবছর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ কর্তৃক পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার সময় দেশে জরুরি অর্থ স্থানান্তরে সহজলভ্যতা, এবং আরও নানা কারণে বিকাশ ব্যবহারকারীদের পারিবারিক আয় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।