চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, আহত ১৪

চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৪ রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতরা সবাই শিবিরের সাধারণ রোহিঙ্গা।
সোমবার রাত ৯টার দিকে নয়াপাড়া শিবিরের ‘ই’ এবং ‘সি’ ব্লক এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। তবে আহত কারো নাম-ঠিকানা জানাতে পারেনি কেউ।
আহতদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মাঝে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকের চিকিৎসক রোজী ।
শরণার্থী শিবিরের সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাতে জকির ও আমান উল্লাহর নেতৃত্বে একদল ডাকাত ই-ব্লকের কাপড় ব্যবসায়ী নুর নবীর কাছে চাঁদা দাবি করতে এলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় রোহিঙ্গারা ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেলে। একপর্যায়ে জকির গ্রুপের প্রতিপক্ষ সালমান শাহ ও খাইরুল গ্রুপ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জাকির গ্রুপ এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। এসময় তারা ৪০-৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে প্রায় ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
আহতদের উদ্ধার করে নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বাকি ৪ জন গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যৌথ টহলে নেমেছে র্যাবও। অপরাধীদের ধরতে সবরকমের চেষ্টা চালানো হবে।