কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরে কক্সবাজার পৌঁছেছেন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে একটি বিশেষ বিমানে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তার সঙ্গে আরও ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীনসহ অন্যান্যরা।
বিমান থেকে নেমে প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে সম্প্রসারণ ও বর্ধিতকরণের কাজ পরিদর্শন করেন।
বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন বিয়াম ফাউন্ডেশনে যান। সেখান থেকে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, ছাত্র প্রতিনিধি ও এনজিও প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে। সেখান থেকে তিনি হেলিকপ্টারে করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন।
এদিকে বিমানে করে কক্সবাজার পৌঁছার পর দুপুর ১টা ১০ মিনিটে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাড়িতে করে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে রওনা দিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, কক্সবাজারে পৌঁছার পর ১টা ১০ মিনিটে সময় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তিনি ২টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে পৌঁছান।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ওয়াচ টাওয়ারে উঠে আশ্রয়শিবিরের বর্তমান চিত্র পর্যবেক্ষণ করবেন। তারপর সেখানে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, "জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও সেবা কার্যক্রমের হালচাল তুলে ধরবেন। বিশেষ করে, খাদ্য সহায়তা কমে আসা এবং খাদ্য সংকট তৈরি হওয়ার বিষয়টি বলা হবে।"
এছাড়া পরিদর্শনকালে জাতিসংঘের মহাসচিব বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮) একটি লার্নিং সেন্টার, ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপির সেবা ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে যাবেন। পাশাপাশি পৃথক তিনটি বৈঠকে রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা, তরুণ ও নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
এরপর জাতিসংঘ মহাসচিব সন্ধ্যায় ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন হেলিপ্যাড এলাকায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যে সেখানে ইফতারের আয়োজন শেষ হয়েছে।
