আবরার হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ ও ব্রিটিশ দূতাবাসের উদ্বেগ

জাতিসংঘ বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার।
বুধবার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে প্রদত্ত বিবৃতিতে বলা হয়, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতার চর্চার জন্য কাউকে হয়রানি, নির্যাতন বা হত্যা করা যাবে না।”
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়টি লক্ষ্য করে বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় বিবৃতিতে বলেছে, “এর ফলে স্বাধীনভাবে তদন্ত চালানো সম্ভব হবে এবং একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।”
দায়িত্বশীলদের নিস্পৃহতার ফলে বাংলাদেশে ক্যাম্পাসগুলোতে বছরের পর বছর ধরে চলা সহিংসতা অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, অনেকের বড়সড় ক্ষতি হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
জাতিসংয়ঘের আবাসিক অফিস বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে এ ধরনের সহিংসতার অবসান ঘটাতে আহ্বান জানিয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এ ঘটনায় ভূমিকা রেখে জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের কাজ করার দক্ষতা দেখানোর সুযোগ নিতেও বলা হয় তাদের বিবৃতিতে।
ঢাকায় ব্রিটিশ দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও বুয়েটে আবরার হত্যার ঘটনায় শোক ও বেদনার কথা প্রকাশ করা হয়েছে।
ফেসবুক পেইজের ওই পোস্টে বলা হয়, “যুক্তরাজ্য সবসময় নিঃশর্তভাবে বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের পক্ষে থাকবে।”
এদিকে, বুধবার এক আয়োজনে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো আবরার হত্যার ঘটনাটি ‘অত্যন্ত উদ্বেগ ও আতঙ্কের’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি নিজেকে দু’সন্তানের মা বলে জানিয়ে ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেন।
ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস এসোসিয়েশন, ডিক্যাব আয়োজিত এক আলোচনায় মিয়া আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকেন তখন তারা নিরাপদ রয়েছেন সে নিশ্চয়তা তাদের অভিভাবকদের দিতে হবে। জনসমক্ষে মানুষের নিরাপত্তা রয়েছে এমন ধরনের আস্থা তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও জানানা, জাতিসংঘ এ ইস্যুতে ‘স্বতঃস্ফুর্ত ও স্বাধীন’ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের কথা বলছে। এ ধরনের অপরাধ ও সহিংসতার ক্ষেত্রে দায়মুক্তির প্রবণতা বাদ দিতে হবে, এগুলো কোনো মতেই মেনে না নেবার অবস্থা তৈরি করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আবরারের নৃশংস হত্যার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ ও বুয়েটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে ওঠা ক্ষোভের বিষযটি উল্লেখ করেন।
ডিক্যাবের ওই আলোচনায় ডিক্যাব সভাপতি রাহীদ এজাজ এবং মহাসচিব নুরুল ইসলাম হাসিব বক্তব্য রাখেন।