Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
June 20, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, JUNE 20, 2025
যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংকের কার্যকারিতা কি ফুরিয়ে এল?

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
16 June, 2022, 09:40 pm
Last modified: 16 June, 2022, 09:39 pm

Related News

  • যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা: ইউক্রেন যত বলছে, রাশিয়ার তত বিমান ধ্বংস হয়নি
  • দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে কঠোর শর্ত রাশিয়ার; যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে রাজি, যুদ্ধবিরতিতে নয়
  • ইউক্রেন যুদ্ধের ‘নায়ক’ ‘জেনারেল ব্রেকথ্রু’ রাশিয়ার স্থলবাহিনীর নতুন প্রধান
  • রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে 'অবিলম্বে' আলোচনা শুরু করবে: ট্রাম্প
  • ২ ঘণ্টার বৈঠক; কোনো অগ্ৰগতি ছাড়াই শেষ হলো ‘ইউক্রেন শান্তি আলোচনা’

যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংকের কার্যকারিতা কি ফুরিয়ে এল?

টি-৭২-এর মতো সোভিয়েত/রাশিয়ান ট্যাংকগুলোর সামনের দিকে ভারী আর্মার বা বর্ম থাকে। এর ফলে এগুলোতে সামনে থেকে আক্রমণ করে সহজে কাবু করা যায় না। সামনের এ শক্তিশালী আর্মারটির নাম হচ্ছে গ্লেসিস প্লেট।
টিবিএস ডেস্ক
16 June, 2022, 09:40 pm
Last modified: 16 June, 2022, 09:39 pm
ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট

ট্যাংকের জন্ম হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। প্রথমবারের মতো ব্রিটিশরা ট্যাংক পাঠায় ফ্রন্টলাইনে। সেসময় পরিখাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ হতো বেশি। আর চারপাশে থাকত কাঁটাতারের বাধা। পদাতিক সেনাদের এই কাঁটাতারের বাধা পের হয়ে সামনে এগোতে বেশ বেগ পেতে হতো।

ব্রিটিশদের ট্যাংক সহজেই এসব কাঁটাতার ছিন্নভিন্ন করে এগিয়ে যেত, আর তার পেছনে আশ্রয় নিয়ে এগোতে পারত সেনারা। এরপর ধীরে ধীরে ট্যাংকের উন্নয়ন ঘটতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ, মার্কিন, জার্মান, সোভিয়েত, ইতালিয়ান ট্যাংক দাপিয়ে বেড়িয়েছিল ইউরোপের রণক্ষেত্রগুলোতে। এ মহাযুদ্ধেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর কিছু ট্যাংকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অনেক যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলে দিয়েছিল ট্যাংক। তখন ট্যাংকের ক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু যুগের সাথে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটেছে। ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্রেরও উন্নয়ন ঘটেছে। তাই যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংকের ভূমিকা আর আগের মতো অপরিসীম নয়। তাহলে কি ভবিষ্যতের যুদ্ধে ট্যাংক সেকেলে হয়ে যাবে? চলুন এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।

সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি টি-৭২ ট্যাংকটি সার্ভিসে আসে ১৯৬৯ সালে। এটিকে বলা যায় 'ট্যাংকের টয়োটা করোলা'। চার চাকার সেডান গাড়ি হিসেবে টয়োটা করোলা যেমন বহুল উৎপাদিত ও জনপ্রিয় একটি গাড়ি, তেমনি মেইন ব্যাটল ট্যাংক (এমবিটি) হিসেবে টি-৭২-এর জুড়ি নেই। পৃথিবীর অনেকে দেশের সেনাবাহিনীই এ ট্যাংক তাদের এমবিটি হিসেবে ব্যবহার করে।

একটি টি-৭২ ট্যাংক। ছবি: সেরিল নুজনেঙ্কো/রয়টার্স

১৯৭০-এর দশকে সার্ভিসে প্রবেশ করার পর টি-৭২ প্রথমবারের মতো ১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধে অংশ নেয়। এরপর গঙ্গায় অনেক জল গড়িয়েছে, টি-৭২ এখনো যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণের অন্যতম বড় অস্ত্র হচ্ছে এ টি-৭২ ট্যাংক।

কিন্তু ইউক্রেনীয়দের পাল্টা আক্রমণে যুদ্ধক্ষেত্রে দারুণ পর্যুদস্ত হচ্ছে ট্যাংকটি। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ছবি-ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তাঘাটে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে টি-৭২ ট্যাংক। যুদ্ধে ট্যাংকটির এ বেহাল দশার কারণে আবারও সেই পুরনো বিতর্ক হালে পানি পেয়েছে: ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংকের ভূমিকা কী হবে।

টি-৭২-এর মতো সোভিয়েত/রাশিয়ান ট্যাংকগুলোর সামনের দিকে ভারী আর্মার বা বর্ম থাকে। এর ফলে এগুলোতে সামনে থেকে আক্রমণ করে সহজে কাবু করা যায় না। সামনের এ শক্তিশালী আর্মারটির নাম হচ্ছে গ্লেসিস প্লেট। এটিতে কোনো গোলা বা মিসাইল আঘাত করলে, কখনো কখনো তা প্লেটের সাথে ঘষা খেয়ে অন্যদিকে চলে যায়। যদিবা শত্রুর নিক্ষেপ করা গোলা প্লেটটিকে আঘাতও করে, সেক্ষেত্রে ট্যাংকের ভেতরে ওই গোলা প্রবেশ করার জন্য বেশি পরিমাণে আর্মার ভেদ করতে হয়।

ট্যাংকের দু'পাশের অংশে আর্মার কিছুটা দুর্বল হয়। দুইপাশ থেকে আঘাত করে তুলনামূলক সহজে ট্যাংককে অচল করা যায়। সোভিয়েতদের নকশা করা ট্যাংকগুলোতে এ ত্রুটি আরও বেশি।

ট্যাংকের পাশের আর্মার। ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট

ট্যাংকের শীর্ষে যে অংশে মূল কামানটি বসানো থাকে সেটিকে টারেট বলে। টারেট ৩৬০° কোণে ঘুরতে পারে। যেকোনো ট্যাংকের সবচেয়ে দুর্বলতম অংশ হলো এর টারেট। আগেকার দিনের অ্যান্টি-ট্যাংক (ট্যাংক-বিধ্বংসী) রকেটগুলো নিক্ষেপের পর সরাসরি গিয়ে ট্যাংকের গায়ে লাগত। সেক্ষেত্রে সেগুলো কখনো কখনো গ্লেসিস আর্মার ভেদ করতে ব্যর্থ হতো।

কিন্তু আধুনিককালে যখন একজন ইউক্রেনীয় সৈন্য কোনো রাশিয়ান টি-৭২ ট্যাংককে লক্ষ্য করে জ্যাভেলিন মিসাইল ছুঁড়ে, তখন সে মিসাইল সোজা গিয়ে ট্যাংকের গায়ে আঘাত করে না। আঘাতের আগে এটি মোটামুটি ১৫০ মিটার ওপরে উঠে যায়। এরপর খাড়া নেমে এসে ট্যাংকের সবচেয়ে দুর্বলতম স্থানে আঘাত করে। সেজন্য বিভিন্ন ছবি-ভিডিওতে দেখা যায় ধ্বংস হওয়া ট্যাংকগুলোর টারেট খুলে মাটিতে পড়ে গেছে।

এ মিসাইলগুলো সহজে টারেটের আর্মার ভেদ করে ট্যাংকের ভেতরে থাকা গোলাগুলোর (অ্যাম্যুনিশন) বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। সোভিয়েত ট্যাংকগুলোতে অ্যাম্যুনিশন রাখার জায়গা আর ক্রুদের বসার জায়গার মাঝখানে কোনো ব্লাস্ট ডোর নেই। ব্লাস্ট ডোরের কাজ হচ্ছে বাইরের বিস্ফোরণের হাত থেকে ট্যাংকের নিজস্ব গোলাবারুদকে রক্ষা করা।

সোভিয়েত ট্যাংকগুলোর ডিজাইন করা হয়েছিল ইউরোপের বিস্তৃত সমতলভূমিতে দ্রুত আক্রমণ চালানোর জন্য। এর জন্য ট্যাংকগুলোর আকৃতি ছোট করা হয়েছিল। এই ছোট ট্যাংক গণহারে বানাতে খরচ কম, ভরের দিক থেকে হালকা, আর চলতেও পারে দ্রুত।

ট্যাংকের টারেট। ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট

এসব দিক মাথায় রেখে এ ট্যাংকগুলোর নকশাকারীরা ট্যাংকের টারেটে অটোলোডার রেখেছিল। অটোলোডারের কাজ হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাম্যুনিশন স্টোরেজ থেকে গোলা নিয়ে তা চেম্বারে প্রবেশ করানো। যে কাজটা করতে একজন মানুষ লাগে, সেটা সোভিয়েত ট্যাংকগুলো নিজে নিজেই করতেই সক্ষম হলো। এর ফলে বাড়তি চতুর্থ ক্রু-এর প্রয়োজনীয়তা আর রইলো না। এটি ট্যাংকের আকার ছোট রাখাতেও ভূমিকা রাখলো। আর ছোট ট্যাংকগুলো দূর থেকে লক্ষ্য করাও মুশকিল।

আমেরিকার তৈরি এম১এ১ আব্রাম ট্যাংকগুলো রাশিয়ান টি-৭২ ট্যাংকের চাইতে অনেক বড়। যুদ্ধক্ষেত্রে এ ট্যাংক পরিচালনা করতে চারজন ক্রু-এর দরকার হয়। কিন্তু এটির গোলাবারুদ রাখার স্থানটি ক্রুদের বসার স্থান থেকে একটি মোটা ব্লাস্ট ডোর দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। এর ফলে এ ট্যাংকগুলো বাইরে থেকে আসা কোনো প্রজেক্টাইলের আঘাতে বিস্ফোরিত হলেও এর ভেতরের গোলাগুলো আর বিস্ফোরিত হতে পারে না। এমনকি ওপর থেকে আঘাত করা আধুনিক গাইডেড মিসাইলের আঘাতেও মহাবিস্ফোরণ ঘটে না আব্রাম ট্যাংকে।

গোলাবারুদ আর ক্রুকে একসাথে রাখা নকশার ত্রুটি। তবে ইউক্রেনে করুণ পারফরম্যান্সের পেছনে রাশিয়ান ট্যাংকের আরও কারণ আছে।

অটোলোডার। ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট

বর্তমানে সমালোচকেরা মনে করেন ট্যাংকের ভর বেশি হওয়ায় এটি দ্রুত চলাচল করতে পারেনা, এটির দামও বেশি, এবং আধুনিক যুদ্ধে ট্যাংক অনুপযুক্ত। মার্কিন মেরিন কোর জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরে চীনকে টেক্কা দেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে এটি এর বহরে থাকা সব ট্যাংককে বাতিল ঘোষণা করবে। স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের অনেক দেশ ট্যাংকের সংখ্যা অনেক কমিয়ে এনেছে।

ইউক্রেনে যুদ্ধের ওপর নজর রাখা অরিক্স নামক এক ব্লগের তথ্যমতে, রাশিয়া এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৭৭৪টি ট্যাংক হারিয়েছে। এদের অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে, কিছু ইউক্রেনীয় বাহিনী দখল করেছে, আর কিছু পরিত্যক্ত করা হয়েছে।

গত তিনমাসের যুদ্ধে ট্যাংকের মতো সাঁজোয়া যানগুলো দুটি বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে। এর একটি হলো অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম)। ১৯৭৩ সালে ইয়ম কিপুরের যুদ্ধের সময় থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে এটিজিএম-এর সক্ষমতা প্রমাণিত।

আধুনিক মার্কিন জ্যাভেলিন বা ব্রিটিশ-সুইডিশ এনএলএডব্লিউএস মিসাইলগুলো নিক্ষেপ করার পর এগুলো নিজে থেকেই হিসেব করতে পারে কয়েক সেকেন্ড পর ওই অভীষ্ট ট্যাংকের অবস্থান কোথায় হবে। আর এ মিসাইলগুলো ট্যাংকের সবচেয়ে দুর্বল অংশে (টারেট) গিয়ে আঘাত করে।

এনএলএডব্লিউসহ ইউক্রেনীয় সেনা। ছবি: গেটি ইমেজেস ভায়া দ্য ইকোনমিস্ট

অন্য হুমকিটি হলো সশস্ত্র ড্রোন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্কের তৈরি বায়ারাক্তার টিবি২ ড্রোনগুলো লেজার গাইডেড বোমা ব্যবহার করে লিবিয়া, সিরিয়া, নাগর্নো-কারাবাখ, ও বর্তমানে ইউক্রেনে বহুসংখ্যক সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে। এছাড়া ইউক্রেন গত মে মাসের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সুইচব্লেড ডাইভ-বম্বিং ড্রোন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এ ড্রোনগুলো নিজেই এক একটি বোমা, উড়ে লক্ষবস্তুতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় এগুলো।

তবে এ যুদ্ধের হিসেব মাথায় নিয়ে এখনই সুনিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে যুদ্ধে ট্যাংকের দিন শেষ। অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোনের এত প্রভাব ধারণা করতে পারেননি। এছাড়া রাশিয়া ইউক্রেনের আকাশ দখল করতে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে বায়ারাক্তার ড্রোনগুলো তেমন একটা বাধা ছাড়াই আকাশে উড়তে পারছে। অন্যদিকে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নকশা করা হয়েছে বড় যুদ্ধবিমান চিহ্নিত করার জন্য, ছোট ছোট ড্রোন অনেকসময়ই খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হচ্ছে এ রাডারগুলো।

আধুনিক যুদ্ধে বিভিন্ন ধাঁচের সামরিক সক্ষমতা একত্রে কাজ করে সফলতার জন্য। ট্যাংকের সাহায্য নিয়ে পদাতিক বাহিনী এগোতে পারে, কিন্তু কোনো খানাখন্দে আক্রমণ চালানোর জন্য পদাতিক বাহিনীই ভরসা। ট্যাংক ও পদাতিক সেনাদের আকাশ থেকে যুদ্ধবিমান প্রতিরক্ষা দিতে পারে, কিন্তু সেই যুদ্ধবিমানের প্রতিরক্ষার জন্য ভূমি থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়।

কোনো স্থানে যদি এটিজিএম থাকার সন্দেহ করা হয়, তাহলে আধুনিক যুদ্ধকৌশলে সেই লক্ষবস্তুতে আর্টিলারি ব্যবহার করে হামলা করা হয়, যাতে এটিজিএম ব্যবহারকারীরা সহজে ট্যাংকের ওপর নজর রাখতে না পারে। অনেক ট্যাংকের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে মর্টার থাকে, যেখান থেকে ছোটছোট গোলা নিক্ষেপ করা যায়। কিছু ট্যাংক শত্রুর চোখ এড়াতে ধোঁয়াও ব্যবহার করে।

অনেক বড় বহর নিয়েও কিয়েভ দখল করতে ব্যর্থ হয় রাশিয়া। প্রকাশিত ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, রাশিয়ান ট্যাংকের কলাম ইউক্রেনীয় অ্যামবুশের মুখে পড়ছে। এর পেছনে একটি প্রধান কারণ হলো রাশিয়ার আর্টিলারি সাপোর্ট ওই কলামের অনেক পেছনে পড়ে গিয়েছিল। এভাবে ট্যাংক হারানোর পেছনে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর দুর্বল সমর পরিকল্পনাও অনেকাংশে দায়ী।

তবে টি-১৪ আর্মাটা'র মতো পরবর্তী প্রজন্মের রাশিয়ান ট্যাংকগুলোর নকশার উন্নয়ন করা হয়েছে। এ ট্যাংকে অটোলোডার থাকলেও ক্রুদের একটি আর্মার্ড কম্পার্টমেন্টের ভেতরে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আর্মাটা'র রয়েছে নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা রাডার ব্যবহার করে আসন্ন প্রজেক্টাইলকে চিহ্নিত করে নিজে পাল্টা প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করতে পারে। তবে আর্মাটা এখনো পরীক্ষণের পর্যায়ে রয়েছে। তাই, নিজেদের গোলায় উড়ে যাওয়ার দুঃখ তরাতে আরও অপেক্ষা করতে হবে রাশিয়ান ট্যাংক ক্রুদের।

ট্যাংক তৈরি ও খরচ দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে অত্যাধুনিক একটি ট্যাংকের পেছনে খরচ পড়তে পারে ২০ মিলিয়ন ডলারের মতো। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী ও আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫এ-এর পেছনে খরচ হয় ৮০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া ট্যাংক ব্যবহারের জন্য কিলোমিটারপ্রতি খরচ পড়তে পারে ৫০০ ডলারের মতো।

কিছু দেশ ট্যাংকের বর্ম আরও শক্তিশালী করবে, এতে ট্যাংক বড় আঘাত সয়েও টিকে থাকতে পারবে। আবার কিছু দেশ চাইবে কম খরচে হালকা ট্যাংক বেশি পরিমাণে তৈরি করতে। আর ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলোর নিজস্ব ড্রোন থাকবে, তাই ট্যাংকের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র ক্রমে আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তবে ভবিষ্যতের ট্যাংকগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচলের সক্ষমতা অর্জন করবে। এতে করে এগুলো আগ বাড়িয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, পদাতিক সেনাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে। হয়তো ভবিষ্যত যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংকের ভূমিকা বদলে যাবে, তবে ট্যাংক কখনোই বাতিল হয়ে জাদুঘরে চলে যাবে না।


সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

ভাষান্তর: সুজন সেন গুপ্ত

Related Topics

টপ নিউজ

ট্যাংক / ট্যাংক যুদ্ধ / টি-৭২ / আব্রাম ট্যাংক / ট্যাংকের ভবিষ্যৎ / রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে না জড়ানোর অনুরোধ পাকিস্তান সেনাপ্রধানের
  • সরকারি সেবায় ঘুষবাণিজ্য: শীর্ষে বিআরটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বিতীয়—বিবিএসের জরিপ
  • যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের খামেনিকে হত্যার সম্ভাবনা নিয়ে কথাই বলতে চান না পুতিন
  • ইসরায়েলিদের ‘সামরিক ও গোয়েন্দা এলাকা’ এড়িয়ে চলার আহ্বান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • এনবিআরের নীতির হঠাৎ পরিবর্তনের কবলে শিপিং খাত, ৩৫০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে
  • ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি, ঘোষণা রবিবার: উপদেষ্টা ফারুকী

Related News

  • যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা: ইউক্রেন যত বলছে, রাশিয়ার তত বিমান ধ্বংস হয়নি
  • দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে কঠোর শর্ত রাশিয়ার; যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে রাজি, যুদ্ধবিরতিতে নয়
  • ইউক্রেন যুদ্ধের ‘নায়ক’ ‘জেনারেল ব্রেকথ্রু’ রাশিয়ার স্থলবাহিনীর নতুন প্রধান
  • রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে 'অবিলম্বে' আলোচনা শুরু করবে: ট্রাম্প
  • ২ ঘণ্টার বৈঠক; কোনো অগ্ৰগতি ছাড়াই শেষ হলো ‘ইউক্রেন শান্তি আলোচনা’

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে না জড়ানোর অনুরোধ পাকিস্তান সেনাপ্রধানের

2
বাংলাদেশ

সরকারি সেবায় ঘুষবাণিজ্য: শীর্ষে বিআরটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বিতীয়—বিবিএসের জরিপ

3
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের খামেনিকে হত্যার সম্ভাবনা নিয়ে কথাই বলতে চান না পুতিন

4
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলিদের ‘সামরিক ও গোয়েন্দা এলাকা’ এড়িয়ে চলার আহ্বান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

5
অর্থনীতি

এনবিআরের নীতির হঠাৎ পরিবর্তনের কবলে শিপিং খাত, ৩৫০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে

6
বাংলাদেশ

৫ আগস্ট সরকারি ছুটি, ঘোষণা রবিবার: উপদেষ্টা ফারুকী

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net