Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
August 17, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, AUGUST 17, 2025
শাশুড়ির নামে নাম হলো যে শাড়ির 

ফিচার

রাফিয়া মাহমুদ প্রাত
30 May, 2022, 11:25 am
Last modified: 14 February, 2024, 10:24 am

Related News

  • সুচিত্রা সেনের শাড়ি ও তুরাগ পাড়ের হারিয়ে যাওয়া শহরের গল্প
  • আফসানার স্কাইডাইভিং, স্নোবোর্ডিং, দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার—সবই শাড়ি পরে
  • চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোর শাড়ি পরে ছবি তোলার নেপথ্য কাহিনী
  • ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি: দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ সিপিডির
  • শাড়ির বিশ্ব মাত!

শাশুড়ির নামে নাম হলো যে শাড়ির 

শাড়িটি যেন কল্পনার চেয়েও বেশি সুন্দর হয়ে ধরা দিল। একে তো টুকটুকে লাল রঙ, তার ওপর সোনালী জরির কাজ। একদম যেন নতুন বউয়ের শাড়ি।
রাফিয়া মাহমুদ প্রাত
30 May, 2022, 11:25 am
Last modified: 14 February, 2024, 10:24 am
ছবি-ভারমিলিয়ন

পরনে সোনালী পাড়ের হাল্কা গোলাপি কাতান শাড়ি, কোঁকড়ানো কালো চুল ছড়িয়ে আছে পিঠের ওপর। পিঁড়ির ওপর রাখা আছে কালি আর কাগজ। শাড়ির আঁচল টেনে একমনে কবিতা লিখে চলেছে যুবতী। 

প্রথম দেখায় মনে হবে, এ হয়তো এক রাজকীয় আলোকচিত্রী। কিন্তু আসলে 'ভারমিলিয়ন' নামক এক অনলাইন পেজের ফটোগ্রাফি হলো এটি। 

২০১৪ সালে হাঁটি হাঁটি পা পা করে ভারমিলিয়নের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকেই নিজস্ব নকশা ও বুনন দিয়ে ভারমিলিয়ন ভোক্তাদের সঙ্গে এক নতুন রুচির মেলবন্ধন এনে দেন তিন উদ্যোক্তা ফেরদৌস আরা, ইফফাত আরা এবং ইমতিয়াজ ইসলাম রাসেল।

বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু ২০২০ থেকে

'আমরা শিল্পীরা বিশ্বাস করি যে, আপনি আর্টিস্টদের কাজ দেখে দেখে আঁকতে পারেন। আপনার স্বতন্ত্র টেকনিক, ডিজাইন বা নতুনত্ব আনার কারণে এটা হয়ে উঠবে নতুন সৃষ্টি। আমি যদি ভ্যানগগের কাজকে মাথায় রেখে নতুন কিছু সৃষ্টি করি, তখন সেটা হয়তো 'স্ট্যারি নাইট' আর থাকবে না, এটা হয়তো তখন অন্যকিছু হয়ে উঠবে। তবে স্ট্যারি নাইটের আদলেই তৈরি হবে।'

কথাগুলো বলছিলেন ভারমিলিয়ন উদ্যোক্তা ইমতিয়াজ ইসলাম রাসেল।

ঠিক এই বিশ্বাস থেকেই কিছু বিলুপ্তপ্রায় এবং ঐতিহ্যবাহী শাড়ি নিয়ে কাজ করা শুরু করেন এই তিন উদ্যোক্তা।

ভারমিলিয়নের তিন উদ্যোক্তার ছবি

প্রথম কাজটি ছিল 'খুশবুল' শাড়ি

২০২১ এর শেষে সবার সামনে এলেও, খুশবুল শাড়ি তৈরিতে সময় লেগেছে প্রায় একবছর। যেহেতু বিলুপ্তপ্রায় শাড়ি, তাই ঐ ধরনের জরি সুতো, কাপড় নির্বাচন করা, কারিগর খুঁজে পাওয়া খুব একটা সহজ ছিল না।

আগেকার দিনের শাড়িতে যে ধরনের হলদে-সোনালী রঙের জরির সুতো ব্যবহার হতো তা এখন নেই। ঐ একইসুতো দিয়ে কিন্তু বিয়েতে বর-কনের হাতে রাখি বাঁধা হতো! কিন্তু এখনকার ফ্যাশনশৈলীতে এ ধরনের উজ্জ্বল ও কড়া রঙের কাজের ব্যবহার খুব একটা নেই। উপরন্তু, এই সুতোগুলো ছিল কিছুটা খসখসে। 

তবে পুরোনো সেই ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলো 'রিক্রিয়েট' করতে গেলে এই জরিসুতোর ব্যবহার না থাকলে চলে না। তাই ইফফাত এবং ইমতিয়াজ ঠিক করলেন, শাড়ির পাড়ে জরির কাজ থাকবে ঠিকই, কিন্তু ভিতরে আর তেমন কাজ থাকবেনা। শুধু পুরোনো দিনের শাড়ির সেই চেনা-পরিচিত ছোটো ছোটো ডট, চারকোণা ব্লক, পানপাতার ডিজাইন থাকবে। যা শাড়িটিকে একটা ভারসাম্য এনে দেবে। 

খুশবুল শাড়ি

আর শাড়ির কাপড় হিসেবে বেছে নিলেন কাতান সিল্ক। যা পরলে খুব ভারী বা কাপড় মোটাও মনে হবে না। আবার একেবারে পাতলা খসখসেও মনে হবে না। তাছাড়া প্রতিবারই শাড়ি পুরোপুরি বানানোর পর, ইফফাত আরা সেগুলো পরে পরে দেখেছেন। যেন ভোক্তার শাড়িটি পরে কোনোরকম অসুবিধা অনুভব করতে না হয়।

'শাড়িটি পুরোনো ধাঁচের হলেও একালের শহুরে নারীরা যাতে পছন্দ করেন বা তাদের রুচির সঙ্গে যায়, সে দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে,' জানান ইমতিয়াজ ইসলাম রাসেল।

শাড়ির কাপড় নির্বাচন থেকে শাড়িতে স্কেচ বসানো, কারিগর যোগাড় করা এবং সবকিছু দেখাশোনা করেছেন রবীন্দ্রভারতী থেকে পড়ে আসা এই দম্পতি।

কেন 'খুশবুল' নাম?

ফেরদৌস আরার শাশুড়ির নাম ছিল 'খুশবুল'। যেহেতু তার (খুশবুল) বিয়ের শাড়িটি থেকেই নতুন একটি শাড়ির জন্ম হয়েছে, তাই শাশুড়ির স্মরণে এই শাড়িটির নাম রাখা হয় 'খুশবুল'। ফেরদৌস আরা বলেন, 'আমার শাশুড়ির নামের অর্থ সুগন্ধি। এই নামের সঙ্গেই মিশে আছে একটা আভিজাত্য আর নবাবীয়ানা ভাব, আর শাড়িটাও ঠিক তেমনি। তাই সবাই খুব পছন্দ করেছে নামটি।'

'হিস্ট্রির একটা অংশ রিক্রিয়েট করতে পারলাম!'

উত্তরসূরী হিসেবে শ্বাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে প্রায় সাত-আটখানা শাড়ি পেয়েছিলেন ফেরদৌস আরা। নিজে শাড়ি তেমন পরেন না বলে, ছোটো বোন ইফফাত আরাকে পরতে দিয়েছিলেন। ইফফাত আরা যেমন শাড়ি পরতে ভালোবাসে, তেমনি ভালোবাসে শাড়ি বানাতে।

পুরোনো শাড়ির প্রতি ঝোঁক এবং ভালোবাসা থেকেই একদিন তার মনে হলো, এই শাড়িগুলোই তো নতুন করে নিয়ে আসা যায় সবার সামনে! 

অবশ্য তার এই উৎসাহে জোয়ার এনে দেয় আরেকটি ঘটনা। 'মালা শাড়ি' খ্যাত আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক লেখালেখি, পোস্ট দেওয়া হলো, তখন ইফফাত বুঝলেন, মালা শাড়ির মতো পুরোনো এসব ঐতিহ্যবাহী শাড়ির সঙ্গে আসলে আমাদের আবেগ আর ভালোবাসা মিশে আছে। তারচেয়েও বেশি মিশে আছে স্মৃতি।

এরপর যখন দেখলেন, বোনের শাশুড়ির যে শাড়িটি তার কাছে আছে, সেটাই মালা শাড়ি, তখন যেন পথের দিশা পেয়ে গেলেন।

'ঐসময় আমাদের মনে হচ্ছিল, এই মালা শাড়িটি একটা রত্ন আমাদের জন্য, খুব আনন্দ হচ্ছিল।' বললেন, ইমতিয়াজ ইসলাম।

খুশবুল শাড়ি

এরপর বোনের শাশুড়ির সেই শাড়ি নিয়ে ইফফাত আর ইমতিয়াজ বেরিয়ে পড়লেন মাঠে। মানুষের স্মৃতি, আবেগ আর পুরোনো জিনিসের প্রতি নিজের অফুরন্ত ভালোবাসা থেকেই এমন একটা কিছু বানানোর চেষ্টা। প্রথম শাড়িটি বানান লাল টুকটুকের রঙের। তিনবারের পর প্রথম যেদিন শাড়িটি ইফফাতের ছোটো বোন নৌশিন আরা পরেন সেদিন ছিল এক বিস্ময়ের দিন।

'শাড়িটি থেকে চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না! আমাদের এতদিনের পরিশ্রম সার্থক হলো,' বললেন, ইফফাত আরা।

'ফাইনালি যখন শাড়িটি পুরোপুরি রেডি করতে পারি আমরা, তখন মনে হয়েছিল আমরা কিছু একটা অর্জন করেছি। হারিয়ে যাওয়া কিছু একটা আবার মানুষ পাবে, এটা ভেবেই খুব আনন্দ লাগছিল। মনে হচ্ছিল, হিস্ট্রির একটা অংশ রিক্রিয়েট করলাম !' জানান ইমতিয়াজ ইসলাম।

একরাতেই প্রায় একশোর মতো অর্ডার!

ছোটো বোন নৌশিন পরার পর, শাড়িটি যেন কল্পনার চেয়েও বেশি সুন্দর হয়ে ধরা দিল। একে তো টুকটুকে লাল রঙ তার ওপর সোনালী জরির কাজ। একদম যেন নতুন বউয়ের শাড়ি।  

তাই কোনো ভাবনাচিন্তা না করেই, ইমতিয়াজ ইসলাম একদম শ্যুটের প্রস্তুতি ছাড়াই মোবাইল ফোন দিয়ে শ্যালিকার একটা ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলেন। আর সাথে সাথে শুরু হলো রিয়েক্ট, কমেন্টের জোয়ার। সেদিন এক রাতেই নাকি প্রায় একশোর মতো অর্ডার পেয়ে যান তারা!

আরেক শাশুড়ি থেকে 'রওশন' শাড়ি

নিজের বিয়ের দিন ইফফাত আরা তার মায়ের বেগুনী-রূপালী কাজ করা একটি কাতান শাড়ি পরেছিলেন। সেদিন সেই শাড়িটি দেখে ইমতিয়াজ এবং ইফফাত দুজনেই শাড়িটির প্রেমে পড়ে যান। শাশুড়ির এই শাড়ি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে ইমতিয়াজ আর ইফফাত আরা নিয়ে আসেন 'রওশন' শাড়ি।

রওশন এবং খুশবুল দুটো শাড়িই মালা শাড়ি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো। তবে ডিজাইনে ভিন্নতা রয়েছে। খুশবুল শাড়িতে মোটা ভারী পাড় এবং ভারী আঁচলের কাজ রয়েছে। অপরদিকে রওশন শাড়িতে চিকন ও হাল্কা কাজের মীনাকারি কাজের পাড় ও আঁচল। সাথে রয়েছে পুরো শাড়ি জুড়ে আড়াআড়ি কাজ।

রওশন শাড়ি

শাশুড়ি গাজী রওশন আরার নামে গত রোজার ঈদে এই রওশন শাড়িটি আসে। সামনে কুরবানী ঈদ জুড়ে রয়েছে রওশন শাড়ির নতুন কালেকশান।

এ পর্যন্ত মোট তিনটে রঙের খুশবুল শাড়ি এসেছে। গাড় লাল রঙের খুশবুল শাড়ি লাল, হাল্কা গোলাপী এবং কলিজা রঙের। তবে তিনটে রঙই কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী বেছে নেওয়া হয়েছে। সামনে আরও অপেক্ষা করছে নতুন ডিজাইনের খুশবুল শাড়ি।

ঐ রাতের পর, পরবর্তী একবছরে প্রায় পাঁচগুণ খুশবুল শাড়ির অর্ডার পান তারা।

এদিকে রোজার ঈদ থেকে যাত্রা শুরু হলেও, রওশন শাড়িটিও বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছে।

ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত দুটো শাড়ি নিয়েই কাজ করেছেন এই তিন উদ্যোক্তা। ভবিষ্যতে আরও শাড়ি নিয়ে কাজের ইচ্ছে কি না জানতে চাইলে ফেরদৌস আরা বলেন, 'আলমারিতে আমার শাশুড়ির দেওয়া আরও অনেক শাড়ি এখনো আছে, যার অনেকগুলোই এখন বিলুপ্তপ্রায়। এগুলো দেশের ঐতিহ্য। এই শাড়িগুলোতে বিভিন্ন জিনিস সংযোজন করে নতুন শাড়ি বানাতে কাজ করার ইচ্ছা আমাদের।'

রওশন শাড়ি

আরও এক শাশুড়ির গল্প

মাশিয়াত মাসুদের শাশুড়ি ফিরোজা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। তখন এখনকার মতো বিয়ের সাজ এত জমকালো না হলেও, মালা শাড়ি ছিল বিয়ের একনম্বর শর্ত। তাই শ্বশুর-শাশুড়ির ৫৬ বছরের বিবাহবার্ষিকীতে তাদের পুত্রবধূ, মাশিয়াত মাসুদ একটা লাল টুকটুকে খুশবুল শাড়ি কিনে আনলেন। নিজের বিয়ের কিছু গয়না পরিয়ে সাজিয়ে দেন ফিরোজা খাতুনকে। ছেলের বউয়ের বায়না মেটাতে বুড়ো বয়সে ফিরোজা খাতুন মুখে নতুন বউয়ের লাজমাখা হাসি নিয়ে ছবি তুলেছেন স্বামী আবদুল জলিলের সঙ্গে। সেই ছবি 'ভারমিলিয়ন' পেজে পোস্ট করার পর, ধীরে ধীরে বিয়ে, কাবিন-এনগেজমেন্টের মতো অনুষ্ঠানগুলোর জন্য খুশবুল শাড়ির অর্ডার আসতে লাগলো। 

সাধ্যের মধ্যেই থাকছে শাড়ির দাম

খুশবুল শাড়ির দাম রাখা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর রওশন শাড়ির দাম তার চেয়ে একটু বেশি। তবে শাড়ি দুটির মাদকতা এই দামের কাছে কিছুই না। খুশবুলের লাল শাড়িটি যেন নতুন বউয়ের কথা মাথায় রেখেই বানানো। এছাড়া হাল্কা গোলাপি আর কলিজা রঙের খুশবুল শাড়ি এবং বেগুনী রওশন শাড়িটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে যেকোনো উপলক্ষ্যেই সুন্দর মানিয়ে যাবে।

রাজা রবি বর্মার তৈলচিত্রকে অনুসরণ...

শুধু ঐতিহ্যবাহী শাড়ির পুনরায় সৃষ্টিই নয়, সেগুলোকে ক্রেতাদের কাছে সঠিক এবং আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতেও তারা এর শ্যুট বা ফটোগ্রাফি করে থাকেন একটু ভিন্নভাবে। খুশবুল শাড়ির ক্ষেত্রে তারা আগেকারদিনের গ্রামের জমিদারি বউয়ের একটি থিম নিয়ে ফটোগ্রাফি করেছেন। থিম মিলিয়ে আসবাবপত্র যেমন, পিঁড়ি, পাখির পালকের কলম, চুলে সুগন্ধির জন্য ধূপ, গয়নাগাটির ব্যবহার শাড়িগুলোর নবাবীয়ানাকে যেন আরও ফুটিয়ে তোলে।

খুশবুল শাড়ি

আবার রওশন শাড়ির ক্ষেত্রে তারা রাজা রবি বর্মার তৈলচিত্রের থিমকে অনুসরণ করেছেন। যা তাদের শাড়িগুলোকে আরও বেশি নান্দনিক করে তোলে। তবে একটি শাড়ির ডিজাইন মাথায় আসা থেকে ডেলিভারী পর্যন্ত প্রতিটি দিক সামলাচ্ছেন তারা পরিবারের সদস্যরা মিলেই। শাড়ি ডিজাইনের কাজে ইফফাত আরা আর তার স্বামী ইমতিয়াজ রাসেল কাজ করছেন, ব্যবসার টেকনিক্যাল কাজ এবং অর্থনৈতিক দিক দেখাশোনা করেন ফেরদৌস আরা এবং মডেলিং বা প্রেজেন্টেশনের কাজটি করে চলেছেন ছোটো বোন নৌশিন আরা।

আছে নিজস্ব আউটলেট

বড় দুই বোন ফেরদৌস আরা এবং ইফফাত আরা পুরোপুরি ভারমিলিয়নের সঙ্গে কাজ করলেও, ইমতিয়াজ ইসলাম রাসেল একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রভাষক পদে আছেন। অপরদিকে ছোটোবোন নৌশিন আরা গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে পড়ালেখা করছেন। তিনবোন, স্বামী সেইসাথে পরিবার ও কর্মীদের অদম্য সহযোগিতা ও পরিশ্রমে খুশবুল ও রওশনের মতো ঐতিহ্যবাহী শাড়ি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ভারমিলিয়ন। তবে এসব ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ছাড়াও, নিজস্ব ডিজাইনের কামিজ, স্কার্ট, শাড়ি-পাঞ্জাবি পাওয়া যায় ভারমিলিয়নে। আগে সুনামগঞ্জ এবং বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডি ২৭ নাম্বারে সপ্তক স্কয়ারে ভারমিলিয়নের নতুন আউটলেট খোলা হয়েছে। এছাড়া হোটেল লা মেরিডিয়ান এবং যাত্রার পার্টনার হিসেবে রাজধানীতে এই দুই প্রতিষ্ঠানের আউটলেটে ভারমিলিয়নের ভাড়া করা একটি কর্নার আছে।   

ধানমন্ডি ২৭ এর সপ্তক স্কয়ারে ভারমিলিয়নের আউটলেট

এখন শুধু সামনে এগিয়ে চলা…

খুব বেশিদিন হয়নি ভারমিলিয়ন তাদের নিজস্ব আইটেমের পাশাপাশি পুরোনো ঐতিহ্যবাহী শাড়ি নিয়ে কাজ করছে। তবে সময়ের সাথে তারা একটু একটু করে এগোচ্ছে। কাস্টমারের আস্থার জায়গাটি ইতোমধ্যেই খুশবুল আর রওশন কেড়ে নিয়েছে। এখন শুধু এই পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া। এখন পর্যন্ত এ দুটো শাড়ি নিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানান ইমতিয়াজ। তাদের স্বপ্ন, ঐতিহ্যবাহী হারিয়ে যাওয়া শাড়িগুলোকে আবার সবার মাঝে ফিরিয়ে আনা।   

 
 

Related Topics

টপ নিউজ

শাড়ি / ভারমিলিয়ন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার, চিরকুটে লেখা 'আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে'
  • এক ক্লিকেই সর্বনাশ: অনলাইন জুয়ার ফাঁদ যেভাবে গ্রামের তরুণদের গ্রাস করছে
  • চুক্তি হয়নি, তবে ‘অগ্রগতি হয়েছে’: ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প
  • শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন: নাহিদ ইসলাম
  • চট্টগ্রাম-ঢাকা ২৫০ কি.মি. পাইপলাইন চালু হচ্ছে শনিবার, জ্বালানি পরিবহনে নতুন যুগের সূচনা
  • কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন শমী কায়সার

Related News

  • সুচিত্রা সেনের শাড়ি ও তুরাগ পাড়ের হারিয়ে যাওয়া শহরের গল্প
  • আফসানার স্কাইডাইভিং, স্নোবোর্ডিং, দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার—সবই শাড়ি পরে
  • চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোর শাড়ি পরে ছবি তোলার নেপথ্য কাহিনী
  • ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি: দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ সিপিডির
  • শাড়ির বিশ্ব মাত!

Most Read

1
বাংলাদেশ

রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার, চিরকুটে লেখা 'আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে'

2
ফিচার

এক ক্লিকেই সর্বনাশ: অনলাইন জুয়ার ফাঁদ যেভাবে গ্রামের তরুণদের গ্রাস করছে

3
আন্তর্জাতিক

চুক্তি হয়নি, তবে ‘অগ্রগতি হয়েছে’: ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প

4
বাংলাদেশ

শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন: নাহিদ ইসলাম

5
বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম-ঢাকা ২৫০ কি.মি. পাইপলাইন চালু হচ্ছে শনিবার, জ্বালানি পরিবহনে নতুন যুগের সূচনা

6
বাংলাদেশ

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন শমী কায়সার

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net