Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
June 21, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, JUNE 21, 2025
বইকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে 'বইবন্ধু'   

ফিচার

শাবনুর আক্তার নীলা
27 February, 2022, 03:00 pm
Last modified: 27 February, 2022, 03:56 pm

Related News

  • শহীদ রুমী স্মৃতি পাঠাগার: কড়াইলের ‘বাতিঘর’
  • ঋদ্ধি: পোশাক কারখানা থেকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
  • দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর শিশুদের জন্য দুই হাজার বইয়ের বিশাল এক লাইব্রেরি...
  • আমরা এখন বই পড়ি না, পড়ি ফেসবুক 
  • বইপ্রেমী হারুনের সেলুনভিত্তিক পাঠাগার

বইকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে 'বইবন্ধু'   

ইতিমধ্যে বইবন্ধুর উদ্যোগে ঢাকার ৪৮টি বাসে স্থাপন করা হয়েছে গণপরিবহন পাঠাগার। বাসে থাকা যাত্রীরা তাদের ইচ্ছেমতো এখান থেকে বই নিয়ে পড়তে পারবেন। এভাবেই যাত্রীদের অপেক্ষারত বিরক্তিকর সময়কে মূল্যবান করে তুলছে বইবন্ধু।
শাবনুর আক্তার নীলা
27 February, 2022, 03:00 pm
Last modified: 27 February, 2022, 03:56 pm

বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির দিনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে উঠে পড়ি নীলক্ষেত থেকে গাজীপুরগামী ভিআইপ-২৭ বাসে। হঠাৎ চোখ পড়তেই দেখি বড় বড় করে লেখা আছে 'এই গাড়িতে বই রাখা আছে, জ্যামে বসে নষ্ট সময় কাটুক বইয়ের সাথে'।

তীব্র যানজটে বসে যখন আপনি ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে উঠছেন, তখন যদি হাতের কাছে বই পান সময় কাটাতে নিশ্চয়ই তখন আপনার যাত্রাপথ হয়ে উঠতে পারে অনেকটাই স্বস্তি ও উপভোগের। ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে মানুষের বেশিরভাগ সময় নষ্ট হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে। যানজটে আটকে থাকা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে একদল তরুণ তাই নিয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। যাত্রাপথে কীভাবে এই সময়কে কাজে লাগানো যায় সেই চিন্তা থেকে তাদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে 'বইবন্ধু' সংগঠন। 

"বই এর মতো এমন বিশ্বস্ত বন্ধু আর নেই" উক্তিটি বিখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের। বই মানুষের জানার জগতকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে এবং গড়ে তোলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এই বইকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে দিতে কাজ করছে বইবন্ধু। ইতিমধ্যে বইবন্ধুর উদ্যোগে ঢাকার ৪৮টি বাসে স্থাপন করা হয়েছে গণপরিবহন পাঠাগার। বাসে থাকা যাত্রীরা তাদের ইচ্ছেমতো এখান থেকে বই নিয়ে পড়তে পারবেন। এভাবেই যাত্রীদের অপেক্ষারত বিরক্তিকর সময়কে মূল্যবান করে তুলছে বইবন্ধু।

ছবি- সংগৃহীত

২১শে ফেব্রুয়ারি বইমেলায় গিয়ে দেখতে পাই সাদা টি-শার্ট পরা ১৫/২০ জন তরুণ-তরুণী খুব উদ্দীপনার সাথে বই হাতে নিয়ে স্টল থেকে স্টলে ঘুরছে। আর প্রকাশক, লেখকদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করছে নিজেদের সংগঠনের জন্য। দেখতে পাই তাদের টি-শার্টে বড় করে লেখা ছিল বইবন্ধু নামটি। মেলায় উপস্থিত বইবন্ধুর টিম জানায় তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে, তারা এই বছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতে মিরপুর-যাত্রাবাড়িগামী ট্রান্স সিলভা বাসে ৩০টি পাঠাগার স্থাপন করবে। তাই তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা বইমেলা ঘুরে ঘুরে, প্রকাশনী,  বিভিন্ন ব্যক্তি ও লেখকদের নিকট থেকে বই সংগ্রহ শুরু করেছে। 

বাসগুলোতে বই রাখার জন্য প্রতিটি বাক্স তৈরিতে ব্যয় হয় ৩০০০-৩৫০০ টাকা। প্রতিটি বাসে সিটের সংখ্যানুযায়ী ৩০ জন যাত্রীর জন্য ৩০টি করে বই রাখা হয়। যাত্রীরা বই নিয়ে ফেরত দেয় নাকি বা সেগুলো হারিয়ে যায় নাকি সে সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন তোহা জানান, "প্রতি সপ্তাহে বাসগুলো দেখাশোনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল আছে। কখনো কখনো দেখা যায় সংগ্রহ করা বই থেকে কমসংখ্যক বই সেখানে রাখা আছে, কোন বইয়ের আবার পৃষ্ঠা ছেঁড়া। ক্ষতি হলেও এখানেই আমাদের কাজের স্বার্থকতা, কারণ তখন আমরা বুঝতে পারি মানুষ আমাদের রাখা বইগুলো পড়ছে।"

শুরুর গল্প

২০১৮ সালে পাঁচজন বন্ধু মিলে চিন্তা করেন বই নিয়ে ভিন্নধর্মী কিছু করার, যা বইকে আরও সহজলভ্য করে তুলবে মানুষের কাছে। সেখান থেকে শুরু হয় এই সংগঠনটির যাত্রা।  

'আলোর পথে বন্ধুত্বের টানে' এই স্লোগানকে সামনে রেখে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বইবন্ধু সংগঠনটি। শুরুর দিকের পথচলা মোটেও সহজ ছিল না জানালেন মহিউদ্দিন তোহা। তিনি বলেন, "আমি যখন এই সংগঠনটি নিয়ে কাজ করার চিন্তা করলাম তখন আশেপাশের সবাই বলেছিল বাংলাদেশের মতো দেশে এটা সম্ভব হবে না। কিন্তু আজকে পাঁচবছর পরে আমি তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছি"।

"আমাদের এই সংগঠনটি ব্যক্তি উদ্যোগে গঠিত  এবং সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ফলে শুরুর দিকে বই কিনতে আমাদের বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিল। আমাদের সবার কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় আমাদের পরিচিত বড় ভাই ও চেনাজানা লোকজনের থেকে ধার করতে হয়েছিল। তারপর সেই ধারকৃত টাকা দিয়ে আমরা বই কিনে ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারী প্রথম আমাদের কার্যক্রম শুরু করি গণপরিবহন পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে।"

ইতিমধ্যে বইবন্ধু তাদের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটা দূর এগিয়ে গেছে। তাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ছিল বইবন্ধু গণপরিবহন পাঠাগার, হাসপাতাল পাঠাগার, নৌ-পরিবহন পাঠাগার, কমিউনিটি পাঠাগার, পল্লী পাঠাগার, বই বিনিময় উৎসব, টু আওয়ারস পাঠাগার ও রেলওয়ে পাঠাগার ইত্যাদি স্থাপন করা।

বর্তমানে বইবন্ধুর ঢাকায় ৪৮টি গণপরিবহন পাঠাগারসহ, ১টি হাসপাতাল পাঠাগার রয়েছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ১টি সেলুন পাঠাগার ও রংপুরে পল্লী পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও পিছিয়ে থাকা ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির জন্য কমলাপুরে তৈরি করা হয়েছে কমিউনিটি পাঠাগার।

বই-বিনিময় উৎসব

বইপ্রেমীরা নিজেদের পড়া একটি বই জমা দিয়ে নিতে পারবেন আরেকটি বই। এইরকম উৎসব বাইরের দেশগুলো এমনকি আমাদের পার্শ্ববতী দেশ ভারতেও হয়ে আসছে বহু আগে থেকে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রতিবছর বইমেলা অনুষ্ঠিত হলেও এমন কোন সুযোগ ছিল না, যেখানে পড়ে ফেলা পুরোনো বই দিয়ে আরেকটি বই নিয়ে যাওয়া যাবে।

২০২১ সালে মহামারি করোনার জন্য বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি, ঐ বছর প্রথম বইবন্ধু সংগঠন বইপ্রেমীদের জন্য বই বিনিময় উৎসবের আয়োজন করে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে করা হয় এই আয়োজন। প্রথমবার আয়োজিত হলেও উৎসবটিতে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো এবং সারাদেশ থেকে মেলে ব্যাপক সাড়া। এই বছর ২০২২ সালে বইবন্ধু দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে বই-বিনিময় উৎসবের। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় জেলায় করা হবে এই উৎসব।

মার্চের ১১ তারিখ ঢাকার ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে দিনভর চলবে 'বইয়ের বিনিময়ে বই' উৎসব। উৎসবে আসা প্রতিজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০টি বই বিনিময় করতে পারবেন। ফেসবুকে প্রায় ৭ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে ইভেন্টটিতে যোগদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বইবন্ধু টিম আশাবাদী, তাদের এই ভিন্নধর্মী উৎসবে এ বছর মানুষ আরও বেশি অংশগ্রহণ করবে। বইবন্ধুর উদ্যোক্তারা বলছেন, তারা এতো বেশি সাড়া পেয়েছেন মানুষের থেকে যা তাদেরকে অবাক করেছে। এই আয়োজনের বিশেষত্ব ধরে রাখতেই বছরের মাত্র একটা দিন করা হয় বই-বিনিময় উৎসব। তারা আশাবাদী, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় এই উৎসবের আয়োজন করতে সমর্থ হবেন। 

প্লাস্টিকের বিনিময়ে বীজ

বর্তমানে ঢাকার নালা-নর্দমার দিকে তাকালে চোখে পড়ে প্লাস্টিকে ঠাসা আবর্জনার স্তুপ। প্লাস্টিক বছরের পর বছর পচে না, যা মাটি ও পানি দূষণসহ মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও বাস্তবায়িত হয়েছে খুব কমই।

পরিবেশ রক্ষায় সরব হয়ে মাঠে নেমেছে বইবন্ধুর টিমও। 'আগামী প্রজন্মকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিন, পরিবেশ রক্ষায় অংশ নিন' এই স্লোগানে তারা জনসাধারণের কাছ থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করে এবং বিনিময়ে তাদের দেওয়া হয় গাছের বীজ ও চারাগাছ।

চট্টগ্রামের জামালখানে এই কার্যক্রম চলেছে একমাস এবং এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাদের সাথে অংশগ্রহণ করে। এই একমাসে তাদের কাছে প্রায় ১২ হাজার প্লাস্টিক জমা হয়। প্লাস্টিক জমা দিতে আসা ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৬০ হাজার বীজ ও ১৬০টি চারাগাছ।

দুই ঘণ্টা পাঠাগার

শুনেই মনে হচ্ছে 'দুই ঘণ্টা পাঠাগার' মানে কি এখানে পাঠকদের দুই ঘণ্টার বেশি পড়তে দেওয়া হয় না নাকি, তাহলে কেন এমন অদ্ভুত নাম দেওয়া! আপনি-আমি যা ভাবতে পারছি না এমন ভাবনা থেকেই এগিয়ে এসেছে বইবন্ধু। আমরা যখন পরীক্ষা দিতে কোথাও যাই, তখন আমাদের সাথে আসা আমাদের পরিবারের মানুষগুলোকে কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। 

কথায় আছে, অপেক্ষার সময় প্রতিটি সেকেন্ডকেও নাকি অসীম মনে হয়! তাই অপেক্ষায় থাকা মানুষটির সময়কে কাজে লাগাতে এবং সুন্দর করে তুলতে বইবন্ধুর এই মহৎ উদ্যোগ। ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন 'টু আওয়ারস লাইব্রেরি' আয়োজন করে বইবন্ধু। বইবন্ধু পাঠাগার থেকে সেই সময় আপনি চাইলেই বই নিয়ে পড়তে পারবেন। তার জন্য আপনাকে সদস্য হতে হবে না বা দিতে হবে না কোন টাকা।

গ্রামের অলিতে-গলিতে বইবন্ধু 

শহরে বই হাতের নাগালে পাওয়া গেলেও গ্রামের মানুষের জন্য এখনও এটা সহজলভ্য বিষয় না। তাই এবারের বইবন্ধুর কার্যক্রম সেই গ্রামের অলিগলি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। গ্রামের মেয়ে, নারী যাদের দিন কাটে নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে তাদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া। গাছের সাথে মোটা সুতা বেঁধে সাজিয়ে রাখা হয় বইয়ের পসরা। যাওয়ার পথে চাইলেই যে কেউ নিজেদের নাম লিখে নিয়ে যেতে পারেন বই। এক্ষেত্রে তাদের কোনরকম টাকা দিতে হয় না। কিন্তু শর্ত একটাই, সাতদিনের মধ্যে বইটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেরত দিয়ে যেতে হবে। রংপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত কিছু এলাকায় বইবন্ধুর দল এই ভিন্ন আয়োজন করে। এভাবেই মানুষের দোরগোড়ায় বই নিয়ে হাজির হচ্ছে বইবন্ধুর দল।

স্ব-শিক্ষার পাঠশালা

বইবন্ধুর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে, প্রবীণদের দিয়ে পাঠশালার আয়োজন করা। এই প্রোগ্রামে প্রবীণ-বয়ঃজ্যেষ্ঠদের শিক্ষকতার গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়, যেখানে তারা নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন তরুণদের সাথে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারে ইতিমধ্যে কয়েকবার এই আয়োজন করা হয়েছে। এসময় আড্ডার ছলে বই পড়ার আয়োজন করা হয় এবং একে অপরের সাথে বই নিয়ে আলোচনা করেন তারা। প্রবীণ মানুষদের একাকিত্ব কমাতে এবং তাদের জ্ঞানকে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই ভিন্ন রকমের এই আয়োজন।

পাঁচ বছরের যাত্রা 

বইবন্ধু যখন কার্যক্রম শুরু করে তখন এর সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ জন। কিন্তু বর্তমানে সংগঠনটির সাথে সংযুক্ত আছে ৩০০ এর বেশি স্বেচ্ছাসেবক, যাদের বেশিরভাগই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

এই শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় কাজ করছে এবং বইকে পৌঁছে দিচ্ছে জনসাধারণের কাছে। মূলত ঢাকার মধ্যে বইবন্ধুর কার্যক্রম শুরু হলেও এখন ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলা শহরে এদের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই নিজ ইচ্ছায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে।

মহিউদ্দিন তোহা বলেন, "একজন যাত্রী আমাকে জানিয়েছিলেন তিনি একবছর যানজটে বসে আমাদের পরিবহন পাঠাগার থেকে ১২টি বই পড়ে শেষ করেছিলেন এবং এইজন্য আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমাদের কাজের প্রশংসা করেছিলেন। তখন আমার মনে হয়েছে আমি আমার কাজে স্বার্থক হতে পেরেছি। মানুষ বই পড়ে তাদের সময়কে কাজে লাগাচ্ছে এবং আমাদের উদ্যোগে নিজেদের সামিল করছে, যা আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়"।

তিনি আরও জানান, "সংগঠনটির কোনো স্থায়ী ফান্ড এবং নিদির্ষ্ট কোনো ডোনেশন না থাকায় কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে যা এর কাজকে ধীরগতির করে দিচ্ছে। বইবন্ধুর বেশিরভাগ কাজ এখনো ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোগে হচ্ছে"।

"কোথাও আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে আগে থেকে অনুমোদন নিতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন না পেয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে। যা আমাদের মনোবল দুর্বল করে দিয়ে কাজটিকে কঠিন করে তুলছে"।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ভবিষ্যতে বইবন্ধুর স্বপ্ন তারা দুর্বার উদ্যম নিয়ে বইকে পৌঁছে দিবে জেলায় জেলায়। বাংলাদেশকে তারা বইয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত করতে চায় বিশ্ব দরবারে। সেই স্বপ্নকে বুকে নিয়ে বইবন্ধু টিম কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। তাদের বিশ্বাস বইকে একদিন মানুষ তাদের কাছের বন্ধুর মতো পরম মমতায় টেনে নিবে। তখন দেশের সব প্রান্তের মানুষের কাছে বই হয়ে উঠবে আশার প্রতীক। সংগঠনটির উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস, ভবিষ্যতে তারা না থাকলেও সাধারণ জনগণ তাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।    

Related Topics

টপ নিউজ

বইবন্ধু / পাঠাগার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি সেবায় ঘুষবাণিজ্য: শীর্ষে বিআরটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বিতীয়—বিবিএসের জরিপ
  • মেড ইন হাজারীবাগ: চামড়ার তৈরি পণ্যের হাব হয়ে ওঠার গল্প
  • খোদ দুদকের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত, ঘুষ দিতে হয়েছে ১.৯৯ শতাংশ নাগরিককে: বিবিএস জরিপ
  • ইরানে ‘বাংকার-বাস্টার’ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল, কতটা ভয়ানক এই বোমা?
  • ইসরায়েলিদের ‘সামরিক ও গোয়েন্দা এলাকা’ এড়িয়ে চলার আহ্বান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

Related News

  • শহীদ রুমী স্মৃতি পাঠাগার: কড়াইলের ‘বাতিঘর’
  • ঋদ্ধি: পোশাক কারখানা থেকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
  • দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর শিশুদের জন্য দুই হাজার বইয়ের বিশাল এক লাইব্রেরি...
  • আমরা এখন বই পড়ি না, পড়ি ফেসবুক 
  • বইপ্রেমী হারুনের সেলুনভিত্তিক পাঠাগার

Most Read

1
বাংলাদেশ

সরকারি সেবায় ঘুষবাণিজ্য: শীর্ষে বিআরটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বিতীয়—বিবিএসের জরিপ

2
ফিচার

মেড ইন হাজারীবাগ: চামড়ার তৈরি পণ্যের হাব হয়ে ওঠার গল্প

3
বাংলাদেশ

খোদ দুদকের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত, ঘুষ দিতে হয়েছে ১.৯৯ শতাংশ নাগরিককে: বিবিএস জরিপ

4
আন্তর্জাতিক

ইরানে ‘বাংকার-বাস্টার’ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল, কতটা ভয়ানক এই বোমা?

5
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলিদের ‘সামরিক ও গোয়েন্দা এলাকা’ এড়িয়ে চলার আহ্বান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

6
বাংলাদেশ

ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net