Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
June 06, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, JUNE 06, 2025
২০২২ সাল: বিপর্যয়ের আরও এক বছর?

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
01 January, 2022, 03:10 pm
Last modified: 01 January, 2022, 03:14 pm

Related News

  • ভেঙে দেওয়া হলো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি, অবসান ঘটবে তুরস্কে কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতের 
  • এলএনজি সংকটে চট্টগ্রামে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি, বিপর্যয়ে শিল্প খাত
  • টাইমলাইন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও সংঘাতের ৭৫ বছর
  • দেশে-দেশে নববর্ষের যত ঐতিহ্যবাহী খাবার: কেন খাওয়া হয় সেগুলো?
  • বছরের প্রথম দিনে সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা 

২০২২ সাল: বিপর্যয়ের আরও এক বছর?

বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চীন থাকবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেইজিং উইন্টার অলিম্পিক। কিন্তু চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক বয়কটের কারনে অলিম্পিকের জৌলুস মলিন হয়ে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
টিবিএস ডেস্ক
01 January, 2022, 03:10 pm
Last modified: 01 January, 2022, 03:14 pm
ছবি: নাসা

পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে চলে এসেছে নতুন একটি বছর। ২০২২ সালে পা রেখেছে বিশ্ব। কিন্তু সেই সাথে কোভিড-১৯ মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, গণতন্ত্র ও স্বৈরশাসনের মধ্যকার লড়াই, মানবিক সংকট, গণ-অভিবাসন এবং আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসবাদের মতো চ্যালেঞ্জগুলোও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে নতুন বছর। নতুন করে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত এবং প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও অমূলক নয়। তাই সব মিলিয়ে ২০২২ সাল খুব সম্ভবত ঝুঁকিপূর্ণ একটি বছরই হতে যাচ্ছে।
চলুন চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক নতুন বছরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক বা আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি-সংকটের ওপর।

মধ্যপ্রাচ্য

২০২২ সালে আরও একবার সংবাদের মূল শিরোনাম হবে মধ্যপ্রাচ্য; কিন্তু তা ইতিবাচক ও নেতিবাচক, দুই দিক থেকেই। আশার আলো দেখাচ্ছে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারই প্রথমবারের মতো আরব বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের আসর। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এ আয়োজনের মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্প আরও চাঙা হয়ে উঠবে।

কিন্তু শুরু থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ আসা সত্ত্বেও কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতেও দেশটির পূর্ব ইতিহাস ভালো নয়। অভিবাসিত কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ বা তাদের কম বেতন দেওয়া আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে এযাবত অন্তত ৬৫০০ কর্মী কাতারে নতুন স্টেডিয়াম, হোটেল, রাস্তাঘা বা বিমানবন্দর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন।

নারী এবং এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর বাক-স্বাধীনতা এবং অধিকার প্রসঙ্গেও কাতারের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ দেশটিতে খোলামেলাভাবে সরকারের সমালোচনা করা একটি অপরাধ এবং সমকামীতা বেআইনি হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে ফুটবল ভক্তরা এসব ইস্যুতে তেমন নজর দিবেন না বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। তাই ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে সফলদের দলে ভিড়ে যাওয়ার সুযোগ কাতারের থাকছেই।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়াম। ছবি: মাইকেল রেগান/ফিফা

ফুটবলের চাইতে বরং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ইস্যুই বেশি গুরুত্ব পাবে নতুন বছরে। ইসরায়েল অথবা আমেরিকা কিংবা দুটি দেশই ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতে নতুন কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিবে কিনা তা একটি বড় প্রশ্ন। অন্যদিকে তুরস্কের বর্তমান শাসক রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকায়ও নতুন মোড় আসতে পারে।

অন্যান্য আলোচিত ইস্যুর মধ্যে থাকছে রাষ্ট্র হিসেবে লেবাননের ব্যর্থতা এবং বিশৃঙ্খলার জালে জড়িয়ে থাকা লিবিয়া। ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়েও নতুন সংকট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

এশিয়া প্যাসিফিক

বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চীন থাকবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেইজিং উইন্টার অলিম্পিক। কিন্তু চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক বয়কটের কারনে অলিম্পিকের জৌলুস মলিন হয়ে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লিখিত দেশগুলোর ধারণা, বেইজিং অলিম্পিক হতে যাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এক নতুন প্রোপাগান্ডা।

চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসকে সামনে রেখে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আর যদি তাই হয়, তাহলে মাং সে তুং এর পর জিনপিংই হবেন চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা।

২০২১ সালের জুলাইয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষে বক্তৃতা দিচ্ছেন শি জিনপিং। ছবি: এপি

তবে চীনের অর্থনীতির ধীরগতি, ঋণগ্রস্ততা, বুড়িয়ে যাওয়া জনসংখ্যা, বড় ধরনের পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটের মধ্য দিয়ে জিনপিং আসলেই আবার ক্ষমতায় আসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে এশিয়া অঞ্চলে চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী দেশ ভারত বিশ্ববাজারে তাদের শক্তি জাহির করার প্রচেষ্টা বজায় রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই চীনের ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন জনসংখ্যাকে ছুঁয়ে ফেলতে যাচ্ছে ভারতের মোট জনসংখ্যা।

করোনা মহামারি এবং কচ্ছপ গতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তাও এক নতুন মোড় নিয়েছে। দেশটির কৃষক আন্দোলনে চাপের মুখে পড়ে ইউ-টার্ন নিতে বাধ্য হয়েছেন মোদি এবং কোনো কোনো সমালোচক তাকে সন্ত্রাসী আইন ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে মোদির দৃঢ় সম্পর্ক এবং কোয়াড গঠন (ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া) নিশ্চিতভাবেই চীনকে অস্বস্তিতে ফেলবে।

এশিয়ার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার আগ্রাসন এবং তালেবান শাসনের অধীনস্ত আফগানিস্তান। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার চাইতে মৌখিক উদ্বেগ জানিয়েই ক্ষান্ত দিবে।

এই মুহূর্তে চরম বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম-এর ডেভিড বিজলে বলেছেন, "আমরা দেখছি যে এখানের ২৩ মিলিয়ন মানুষ অনাহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৬ মাস একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে তারা।"

এদিকে যুদ্ধ ও শান্তি প্রসঙ্গে মিশ্র বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। সমালোচিত রদ্রিগো দুতার্তেকে সরিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে ফিলিপাইন।

ইউরোপ

ইউরোপ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের জন্য ২০২২ সাল হতে যাচ্ছে এক কঠিন সময়। অভ্যন্তরীণ ও বহির্মুখী নানা জটিলতা ও চাপ, একের পর এক নতুন সমস্যার জন্ম দিতে থাকা মহামারি ও তার আর্থ-সামাজিক প্রভাব, অভিবাসন এবং কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ও জিরো কার্বন নিঃসরণ টার্গেট পূরণ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে ইউরোপকে।

আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, ইউরোপকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি সত্যিই বৈশ্বিক ইস্যুতে শক্ত ভূমিকা রাখবে নাকি চীন, যুক্তরাষ্ট্র বা পুতিনের রাশিয়ার প্রভাবের কাছে পরাজয় শিকার করবে?

ফ্রান্সের নির্বাচনে আরও একবার জনসাধারণের সমর্থন প্রত্যাশা করবেন ইমানুয়েল মাঁখো। তার বিপরীতে রয়েছেন চরম ইসলামোফোবিক, বর্ণবাদী প্রতিদ্বন্দ্বী মারি লা পেন এবং এরিক জেমুর। প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আরও আছেন ফ্রান্সের সেন্টার-রাইট রিপাবলিকান প্রার্থী ভ্যালেরি পেক্রিজ।

স্ট্র্যাসবুর্গে বক্তৃতা দিচ্ছেন ফ্রান্সের সেন্টার-রাইট রিপাবলিকান প্রার্থী ভ্যালেরি পেক্রিজ। ছবি: শাটারস্টক

অ্যাঞ্জেলা মের্কেলের দীর্ঘমেয়াদি শাসনের অবসানের পর জার্মানির নতুন এসপিডি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সরকারকেও নতুন আঙ্গিকে দেশের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তবুও বাজেট নীতি এবং ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে মের্কেলের মিত্র উরসুলা ভন ডার লিয়েনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে সংঘর্ষ এড়ানো কঠিন হবে ফ্রান্সের।

ইউরোপকে অবশ্যই নিজেদের স্বার্থে জেগে উঠতে হবে বলে মাঁখোর যে বিশ্বাস, তাকে একাধিক পরীক্ষার সামনে পড়তে হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাহার, রুশ সামরিক বাহিনীর চাপ এবং পারমাণনবিক মিসাইল ফেলার হুমকি, সব মিলিয়ে বছরের প্রথম দিকেই নতুন সংঘাত তৈরি হতে পারে।

লাতিন আমেরিকা

দুশ্চরিত্র প্রেসিডেন্ট জাইর বলসনারোকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে ব্রাজিলকে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে তীব্র নিন্দার সম্মুখীন হয়েছেন বলসোনারো। মহামারিতে ব্রাজিলের প্রায় অর্ধমিলিয়ন মানুষের মৃত্যু, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটকে অস্বীকার করা এবং আমাজন বন ধ্বংস করায় বলসনারোর উপর ক্ষিপ্ত ব্রাজিলীয়রা।

মতামতের ভোটে দেখা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা সহজেই বলসোনারোকে পরাজিত করবেন। কিন্ত আসন্ন নির্বাচনে লড়াই হবে সমানে সমানে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট  ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা কিভাবে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করতে হয় অথবা ফলাফলের পর অভ্যুত্থান জারি করতে হয় তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বলসোনারোকে!

ইউরোপজুড়ে নানা জরিপে দেখা গেছে, ডানপন্থী পপুলিস্ট-ন্যাশনালিস্ট নেতাদের জনপ্রিয়তা কমতির দিকে। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের বাইরে পরিস্থিতি তেমন নয়। অনেকগুলো দেশেই 'তথাকথিত উচ্চবংশীয় নেতা বনাম সাধারণ মানুষ নেতা' পরিস্থিতি দাড়িয়েছে। কিন্তু কিউবা, নিকারাগুয়া, হাইতি ও ভেনেজুয়েলায় যাদেরকে জয়ী ধরা হয়েছিল তারাই শোষকে পরিণত হয়েছেন।

এদিকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের সামনে উপস্থিত হয়েছে নতুন সংকটময় বছর। ৪০ বছর পর সাম্প্রতিক নির্বাচনেই প্রথম কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে তার দল এবং বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো পপুলিস্ট পার্টি পেরোনিস্ট। অন্যদিকে, বাণিজ্য, মাদক ও অভিবাসন নিয়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মেক্সিকোর ঝামেলাও চলছেই।

উত্তর আমেরিকা

নভেম্বরের মিড-টার্ম নির্বাচন  নিয়ে ক্যাম্পেইনের দিকে থাকবে সবার নজর। এর মাধ্যমে রিপাবলিকানদের সরিয়ে সিনেট এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের দখল নিতে চাইবে ডেমোক্রেটরা। নির্বাচনের ফলাফল বাইডেনের জন্য গণভোটের মতোই দেখা হবে। এই যুদ্ধে রিপাবলিকানরা জয়লাভ করলে আবারও ২০২৪ সালে নির্বাচনে দাড়াবেন ট্রাম্প।

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সামনে গর্ভপাত-বিরোধী প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: শাটারস্টক

এছাড়া কমলা হ্যারিস এবং হোয়াইট হাউজের মধ্যে সম্পর্ক, চলমান মহামারি এবং ভ্যাকসিন-বিরোধী প্রচারণা, অভিবাসন, গর্ভপাতের অধিকার ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলোও থাকবে এ অঞ্চলের আলোচনায়। আবাসন ও শিশুসেবা সহজলভ্য করে তুলতে নতুন উদ্যোগ নিবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

আফ্রিকা 

আফ্রিকা মহাদেশের একটি বড় সংখ্যক জনসাধারণ এখনো ভ্যাকসিন নেননি, এটিই হবে এ অঞ্চলের জন্য প্রথম উদ্বেগের বিষয়। উন্নত বিশ্বের ভ্যাকসিন মনোপলি এবং উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন দরিদ্র দেশগুলোতে বিতরণ না করার জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে ধনী দেশগুলোকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট ধরা পরার ফলে এটি স্পষ্ট যে ২০২২ সালেও মহামারির আঘাত ধেয়ে আসতে পারে। আফ্রিকা মহাদেশে মহামারি বা অন্যান্য বড় রোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থাপনার অভাব এ অঞ্চলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জিম্বাবুয়ের চিনহোয়েতে শিশুকে কোলে নিয়ে ভ্যাক্সিন নিচ্ছেন এক নারী। ছবি: তাফাজাওয়া ইউফুমেলি/স্য গার্ডিয়ান

আনুমানিক হিসাবে ২০২২ সালে আফ্রিকায় এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তির সংখ্যা হতে পারে ২৫ মিলিয়ন। কোভিডের কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় টিবি, ডায়েবেটিস এবং এইচআইভির মতো রোগ প্রতিরোধেও হিমশিম খাচ্ছে আফ্রিকা।

এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যকে সরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের নতুন গ্রাউন্ড জিরো হয়ে উঠেছে আফ্রিকা। এ অঞ্চলে মৌলবাদী ইসলামী গোষ্ঠীর উত্থান এবং আল-কায়দা ও আইএসের মতো নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ততা আরও একটি উদ্বগের কারণ।

ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির চ্যারিটির ২০২২ এর জরুরি ওয়াচলিস্টে থাকা মানবিক বিপর্যয়ের মুখে আছে এমন ২০টি দেশের মধ্যে ১২টিই আফ্রিকার।

২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ১৭৭ মিলিয়ন শিশুসহ মোট ৩২৭ মিলিয়নের বেশি মানুষকে সাহায্যের জন্য ইউনিসেফ ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ চেয়েছে।

অ্যান্টার্কটিকা, আর্কটিক ও অন্যান্য

কপ-২৬ এর ফলোআপ হিসেবে আগামী নভেম্বরে মিশরে অনুষ্ঠিত হবে কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলন। কয়লা উৎপাদন কমানো, কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানোসহ নানা ইস্যুতে কি উন্নতি হলো, সেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে এ সম্মেলনে।
তবে ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ যেসব সুর্যোগ দেখা গেছে তাতে হুট করেই বড় রকম পরিবর্তন আশা করা যাবে না।

২০২২ সালে দুই মেরুতেই মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাবে, যা ইতিবাচক নয়। এছাড়া মহাকাশ ভ্রমণ ও মহাকাশযান নির্মাণ নিয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলোর তীব্র প্রতিযোগিতার চিত্র এবছরও দেখা যাবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান 

 

Related Topics

আন্তর্জাতিক / টপ নিউজ

২০২২ সাল / মহাদেশ / বিপর্যয় / সংঘাত / নতুন বছর

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন’ থেকে বাতিল হল মুজিব বাহিনী, মুজাহিদ বাহিনীর নাম
  • তিক্ত লড়াইয়ে ট্রাম্প-মাস্ক: দুই ক্ষমতাধরের ‘ব্রোম্যান্স’ এখন অতীত, টালমাটাল ওয়াশিংটন
  • বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার রোধে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
  • মাস্ক ‘বদ্ধ উন্মাদ' হয়ে গেছেন: ট্রাম্প; 'আমাকে ছাড়া ট্রাম্প জিততে পারতেন না': মাস্ক
  • জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাননি মোদি, ভারত-কানাডা সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রতিফলন
  • পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে যেভাবে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগর

Related News

  • ভেঙে দেওয়া হলো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি, অবসান ঘটবে তুরস্কে কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতের 
  • এলএনজি সংকটে চট্টগ্রামে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি, বিপর্যয়ে শিল্প খাত
  • টাইমলাইন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও সংঘাতের ৭৫ বছর
  • দেশে-দেশে নববর্ষের যত ঐতিহ্যবাহী খাবার: কেন খাওয়া হয় সেগুলো?
  • বছরের প্রথম দিনে সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা 

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন’ থেকে বাতিল হল মুজিব বাহিনী, মুজাহিদ বাহিনীর নাম

2
আন্তর্জাতিক

তিক্ত লড়াইয়ে ট্রাম্প-মাস্ক: দুই ক্ষমতাধরের ‘ব্রোম্যান্স’ এখন অতীত, টালমাটাল ওয়াশিংটন

3
বাংলাদেশ

বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার রোধে সহায়তার প্রস্তাব চীনের

4
আন্তর্জাতিক

মাস্ক ‘বদ্ধ উন্মাদ' হয়ে গেছেন: ট্রাম্প; 'আমাকে ছাড়া ট্রাম্প জিততে পারতেন না': মাস্ক

5
আন্তর্জাতিক

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাননি মোদি, ভারত-কানাডা সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রতিফলন

6
আন্তর্জাতিক

পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে যেভাবে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগর

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net