ওমিক্রন কতটা ভয়াবহ?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখন পর্যন্ত ৩৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট– ওমিক্রন। তবে এখনো কোথাও মৃত্যুর ঘটনার কথা জানা যায়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে আগে থেকেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে চলছিল। ওমিক্রনের কারণে এখন দেশগুলো নতুন করে লকডাউন এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। নব্য এ ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কী জানা গেল তা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে লেখাটিতে।
বিশ্ববাসীর ওপর ওমিক্রনের প্রভাব কী রকম হবে তা মূলত নির্ভর করছে তিনটি বিষয়ের ওপর-
- ভ্যারিয়েন্টটির বিস্তারের হার কতটুকু
- দেহের অ্যান্টিবডি এবং রোগ প্রতিরোধী কোষ- টি-সেল দ্বারা গড়ে ওঠা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করার ক্ষেত্রে এটি কতটুকু শক্তিশালী
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে গুরুতর অসুস্থ কিংবা মৃত্যুমুখে ঠেলে দিতে এটি কতোটা কার্যকর
এই তিনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা বিজ্ঞানীরা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোল্যান্ড কাওয়ের মতে, ওমিক্রন পরিস্থিতি এখন এমন একটি সূক্ষ্ম পর্যায়ে আছে যে এটি যেকোনো দিকে বাঁক নিতে পারে।
ওমিক্রনের সূত্রপাত
চলতি বছরের নভেম্বরের ২৪ তারিখে SARS-CoV-2 এর একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানানো হয়। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি গত ১১ নভেম্বর সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায়। তিন দিন বাদেই দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি শনাক্ত হয়। ২৬ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দেয় - ওমিক্রন।
দক্ষিণ আফ্রিকার একদল বিজ্ঞানীর মতে, করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিজেকে তীব্রমাত্রায় পাল্টাতে (মিউটেশনে) সক্ষম। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে ওমিক্রন ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ওমিক্রনের বিস্তার ঘটেছে খুব দ্রুত। দেশটির নয়টি প্রদেশের সাতটির মধ্যেই ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
ওমিক্রন বিস্তারের হার কী রকম তা-ও এ মুহূর্তে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ক্ষুদ্র জায়গাজুড়ে অনেক লোকের মধ্যে ধরনটিকে প্রথম লক্ষ করা গিয়েছিল। কিন্তু সেটাকেই নমুনা হিসেবে ধরে নিলে, তা অনেকটা একপাক্ষিক হয়ে পড়বে। বিজ্ঞানীরা আরো বিস্তৃতভাবে এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছেন। তাতে সময়ের প্রয়োজন। আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রনের ব্যাপারে জরুরি তথ্য-উপাত্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
একই সময়সীমার মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে তিন গুণ বেশি মানুষকে ওমিক্রন আক্রান্ত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা এখনো নিশ্চিত না। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-র মতে, কোনো ব্যক্তি টিকা দেওয়ার পর করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হলে, তিনি অন্যদেরও সংক্রমিত করতে পারেন।
তবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ করে দিতে পারে কিনা সে-ব্যাপারে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলেননি বিজ্ঞানীরা।
ভ্যাকসিন কি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর?
ওমিক্রন প্রতিরোধে এ মুহূর্তে বিশেষায়িত কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন নেই। তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী যে টিকাগুলো প্রচলিত, তা দেহকে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে যাচ্ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে চলমান ভ্যাকসিনগুলোকে কার্যকর ভূমিকায় দেখা গেছে। গবেষকরা বলছেন, ওমিক্রনের উদ্ভবও মূলত ভ্যাকসিন এবং বুস্টার ডোজের গুরুত্বের দিকেই ইঙ্গিত করছে।
এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ ভ্যাকসিন স্রেফ মানবদেহে অ্যান্টিবডিই সরবরাহ করে না; বরং ভাইরাস-আক্রান্ত কোষকে আক্রমণ করার জন্য অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক কোষেরও যোগান দিয়ে থাকে। স্পাইক প্রোটিনে মিউটেশন হলেও, ভ্যাকসিনের এই প্রভাবকে তা নষ্ট করতে পারবে না বলেই মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়ানোর জন্য বুস্টার শট দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস-র মহাপরিচালক, ড. অ্যান্থনি ফাউচি তাঁদেরই একজন। বুস্টার শটের মাধ্যমে জটিল রোগের বিরুদ্ধে মানবদেহে একটি সুরক্ষাব্যূহ গড়ে উঠবে বলে ধারণা তার। ড. ফাউচি'র মতে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা জরুরি:
- ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকলে, নেওয়ার ব্যবস্থা করা
- পরিপূর্ণভাবে ভ্যাকসিনেটেড হয়ে থাকলে, বুস্টার শট নেওয়া
- মাস্ক পরিধান করা
- সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
- জনসমাগম এড়িয়ে চলা
ফাইজার ও মডার্না উভয়েই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর করার কাজ করছে বলে জানিয়েছে। তাছাড়া ওমিক্রন প্রতিরোধে বিশেষায়িত একটি টিকা আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে তৈরি হবে; যদিও তাদের বর্তমান টিকা ওমিক্রন নিধনে অনেকটা নির্ভরযোগ্য।
চিকিৎসা কি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর পন্থা বলে বিবেচিত হতে পারে?
বিজ্ঞানীরা এখনো কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা কতটুকু ফলপ্রসূ হতে পারে, তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন। সিডিসি'র মতে, ওমিক্রনের পরিবর্তনশীল জেনেটিক মেক-আপের জন্য, কিছু চিকিৎসাপদ্ধতি তুলনামূলকভাবে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন আরো সহজে দেহের ব্যূহ ভেদ করে আক্রান্ত করতে পারলেও, তীব্রতায় এটি ডেল্টার চেয়ে কম। ৫ তবে ড. ফাউচিসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ এখনই কোনো সিদ্ধান্তে যেতে আগ্রহী নন। ফাউচি'র মতে, মাত্র দু'সপ্তাহ আগে বিশ্ববাসী যে ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছে, তা নিয়ে এখনই কোনো নির্দিষ্ট উপসংহারে আসাটা ভুল হবে।
ওমিক্রন নিয়ে বিজ্ঞানীদের শঙ্কার কারণ কী?
করোনাভাইরাস দেহের অভ্যন্তরে নিজের রেপ্লিকা তৈরি করতে থাকে, তাই সেখান থেকে অনবরতভাবে ভাইরাসটির নতুন প্রকরণ বের হতে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলাদা কোনো সুবিধা না থাকলেও, কিছু প্রকরণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সহজে আক্রান্ত করার পথ বাতলে দেয়। ঠিক তেমনি একটি প্রকরণ এই ওমিক্রন। বিজ্ঞানীদের মতে, মানবদেহকে পুনরায় আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ওমিক্রন বেশি উপযুক্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার একদল গবেষক নতুন এই ধরনটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অন্যান্য পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্ট যেমন: ডেল্টা ও আলফা'র তুলনায় ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনে তাঁরা ত্রিশের অধিক মিউটেশনের দেখা পেয়েছেন৷ এমনকি বতসোয়ানার কিছু নমুনায় পুরো ভাইরাস জুড়ে পঞ্চাশের অধিক মিউটেশন দেখা গিয়েছিল।
দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অ্যান্টিবডি প্রস্তুতের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সাথে লড়াই করে। কিন্তু ওমিক্রনের এত বেশি মিউটেশনের কারণে স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যায়, স্পাইক প্রোটিন দেহের প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেদ করে অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে সমর্থ হবে। মূলত এই প্রোটিনের মাধ্যমেই ভাইরাস দেহকে আক্রান্ত করে দেহকোষের দখল নিয়ে নেয়।
'ওমিক্রন' নামকরণের কারণ
ব্যাখ্যার সুবিধার্থে, করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টের নামকরণের সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেছে নিয়েছিল গ্রিক বর্ণমালাকে। ক্রমানুসারে আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা ইত্যাদি। গতবছরের শেষভাগে ব্রিটেনে প্রথম 'ভ্যারিয়েন্ট অভ কনসার্ন', 'আলফা' শনাক্ত করা হয়েছিল।
নতুন প্রকরণের আবির্ভাবের ফলে জাতীয় জীবনে সৃষ্ট সমস্যা ও সঙ্কট
ওমিক্রন স্রেফ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে, ব্যাপারটা ঠিক এরকম না। বরং গণস্বাস্থ্যের গণ্ডি পেরিয়ে তা উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতির ভিতকে দুর্বল করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জোরদার করার কারণে পর্যটন খাত থেকে শুরু করে বাণিজ্য খাতেও যে একটি ধ্বস নামবে তা নিয়েও শঙ্কা আছে। অনুন্নত দেশগুলো এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হতে পারে। কারণ তাদের জনগোষ্ঠীর বৃহদাংশ এখনো ভ্যাকসিনের আওতায় আসতে পারেনি। গণস্বাস্থ্যেও এটি বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
বৈশ্বিক আতঙ্কের কারণে বিভিন্ন দেশ (জাপান, ইসরায়েল, মরক্কো) তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। অন্যদিকে স্রেফ আফ্রিকার দক্ষিণাংশের আটটি দেশের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জোরদার করে তোপের মুখে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোতে ওমিক্রনের বিস্তার শনাক্ত করা গেলেও, যুক্তরাষ্ট্র সেসব দেশের প্রতি কোনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। দেশটির এহেন আচরণকে অনেকেই 'বিজ্ঞান' না, বরং বর্ণবাদী আচরণ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ওমিক্রন নিয়ে বিচলিত হওয়াটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে 'ভ্যারিয়েন্ট অভ কনসার্ন' আখ্যা দিয়েছে। ওমিক্রনের উদ্ভব স্বাভাবিকভাবেই পুরো পৃথিবীকে শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাবধানতা অবলম্বনের ওপর জোর দিচ্ছেন। ধরনটির ব্যাপারে আমাদের হাতের কাছে এখনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামান্যই আছে। সামনের দিনগুলোতে গবেষকেরা এটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে আশা করা যায়। কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুততার সাথে মানবদেহকে পুনরায় আক্রান্ত করতে সক্ষম। তবে এই মুহূর্তে ভ্যারিয়েন্টটি ভ্যাকসিন-প্রতিরোধী এমনটি ভাববার কোনো কারণ নেই৷ তাই জনসাধারণকে পরিপূর্ণভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা করা জরুরি।
তাছাড়া আরেকটি বিষয় স্বস্তিদায়ক হতে পারে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন প্রকরণের সাথে লড়াইয়ে সক্ষম শক্তিশালী ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা করছেন। ডোজগুলোকে আরো কার্যকর করার জন্য তারা প্রক্রিয়াজাতকরণে বিভিন্ন পরিবর্তন আনবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি ওমিক্রনের বিশেষ গঠন-গড়ন ও মিউটেশনের কারণে ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে সহজেই তা শনাক্ত করা সম্ভব।
করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে ওমিক্রনই সবচেয়ে বেশি মিউটেটেড। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী সৌম সোয়ামিনাথানের মতে, গত বছরের তুলনায় আমরা এখন একটি ভিন্ন অবস্থানে আছি। তাই নতুন এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের বরং সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকা জরুরি।
বাংলাদেশ কী ভাবছে?
প্রতিবেশী দেশ ভারতে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে চলছে। তাই বাংলাদেশে এর সংক্রমণ এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি ভ্রমণ বিষয়ে সীমান্ত ও বিমানবন্দরে কড়াকড়ি আরোপের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'দরজায় কড়া নাড়ছে' ওমিক্রন। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "এই মুহূর্তে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। ভ্যাকসিন নিতে হবে।"
তবে একইদিনে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এর বিপরীত কথাই বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, "ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত বন্ধ বা লকডাউন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।"
যদিও মন্ত্রী বলেছেন, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় জেলায় জেলায় প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিয়েছে তার মন্ত্রণালয়।