Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

একদিকে অসহনীয় গরম আরেকদিকে বিষধর সাপ: ধানের মাঠে কৃষকের দীর্ঘ এপ্রিল

বেশিরভাগ জমিতেই ধান কাটার উপযোগী হয়ে উঠেছে। তার মানে, কৃষকদের জন্য এখন ব্যস্ত সময় চলছে। কিন্তু তারপরও মাঠে অন্য কোনো কৃষক নেই কেন, জানতে চাইলে সোহরাব বললেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কৃষকরা দিনের বেলা কাজ করতে পারেন না। আগেরদিন রাতে তারা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ধান কেটেছেন। তবে কৃষকেরা সাপের ভয়ে রাতের বেলায় তাদের কাটা ফসল কাঁধে করে আইল দিয়ে চাতালে নিয়ে যেতে পারেননি।
একদিকে অসহনীয় গরম আরেকদিকে বিষধর সাপ: ধানের মাঠে কৃষকের দীর্ঘ এপ্রিল

ফিচার

মাসুম বিল্লাহ
03 May, 2024, 06:40 pm
Last modified: 04 May, 2024, 12:51 pm

Related News

  • এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে পাট, চামড়া, ওষুধ ও কৃষি খাতের জন্য কর, ঋণ, ইউটিলিটি খরচ কমানোর পরিকল্পনা
  • লক্ষ্মীপুরে ধান চাষে ১০–১৪ বার কীটনাশক প্রয়োগ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
  • ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৯০% মানুষ চরম তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে: বিশ্বব্যাংক
  • ভারতে বাম্পার ফলন, এশিয়ায় আরও কমবে চালের দাম, কমবে কৃষকের আয়
  • একসঙ্গে ৩৫০ ট্রাক্টর হস্তান্তর করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ল এসিআই মটরস

একদিকে অসহনীয় গরম আরেকদিকে বিষধর সাপ: ধানের মাঠে কৃষকের দীর্ঘ এপ্রিল

বেশিরভাগ জমিতেই ধান কাটার উপযোগী হয়ে উঠেছে। তার মানে, কৃষকদের জন্য এখন ব্যস্ত সময় চলছে। কিন্তু তারপরও মাঠে অন্য কোনো কৃষক নেই কেন, জানতে চাইলে সোহরাব বললেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কৃষকরা দিনের বেলা কাজ করতে পারেন না। আগেরদিন রাতে তারা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ধান কেটেছেন। তবে কৃষকেরা সাপের ভয়ে রাতের বেলায় তাদের কাটা ফসল কাঁধে করে আইল দিয়ে চাতালে নিয়ে যেতে পারেননি।
মাসুম বিল্লাহ
03 May, 2024, 06:40 pm
Last modified: 04 May, 2024, 12:51 pm

তালগাছের নিচে বসে ছিলেন সোহরাব হোসেন। খরতপ্ত দুপুরে বিস্তীর্ণ ধানখেতের মধ্যে সোহরাব ও তার দুই শ্রমিকের একমাত্র আশ্রয়স্থল মাঝে মাঝে মৃদু বাতাসে এপাশ-ওপাশ দুলতে থাকা এসব তালগাছই।

তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহে এরচেয়ে অনেক বেশি তাপের  অনুভূতি হচ্ছিল।

এখন ভরা বোরো মৌসুম, ধান কাটার গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু আমরা পুরো মাঠে শুধু এই তিনজনকেই পেলাম। তালগাছের ছায়ায় বসে দরদর করে ঘামতে ঘামতে আবার জমিতে কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তারা।

ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের লবণকোটা গ্রামের কৃষক সোহরাব দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'এমন গরমে কাজ চালিয়ে যাওয়া ভীষণ কষ্ট।'

তিনি জানান, 'আমি প্রায় ৩০ বছর ধরে মাঠে কাজ করছি। আগে কখনও এমন গরম পড়েনি। শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রচুর পানি, স্যালাইন এসব খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছি আমরা।'

ছবি: মেহেদী হাসান

জ্বলন্ত সূর্যের নিচে বসে আমাদের কথোপকথন চলছে। একপর্যায়ে সোহরাবকে জিজ্ঞেস করলাম, বছরের পর বছর ধরে ক্রমেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা তিনি অনুভব করছেন কি না। জবাবে সোহরাব বললেন, 'এটা সত্যি। আমার মনে আছে, গত বছর সবাই বলাবলি করছিল তারা আগে কখনও এমন গরম দেখেনি। আর গত বছরের তুলনায় এ বছর গরম অনেক বেশি।'

বেশিরভাগ জমিতেই ধান কাটার উপযোগী হয়ে উঠেছে। তার মানে, কৃষকদের জন্য এখন ব্যস্ত সময় চলছে। কিন্তু তারপরও মাঠে অন্য কোনো কৃষক নেই কেন, জানতে চাইলে সোহরাব বললেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কৃষকরা দিনের বেলা কাজ করতে পারেন না। আগেরদিন রাতে তারা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ধান কেটেছেন।

তবে কৃষকরা সাপের ভয়ে রাতের বেলায় তাদের কাটা ফসল কাঁধে করে আইল দিয়ে চাতালে নিয়ে যেতে পারেননি।

খানিক বাদে স্থানীয় খালের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় ওই এলাকায় মারাত্মক বিষধর সাপের উপস্থিতি দেখতে পেলাম আমরা। আমরা যে আইল ধরে হেঁটে যাচ্ছিলাম, তার ঠিক পাশেই বিশ্রাম নিচ্ছিল অত্যন্ত বিষধর সাপ কালকেউটে। কমন ক্রেইট বা বেঙ্গল ক্রেইট নামে পরিচিত এই সাপ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের দেখা যায়।

ছবি: মেহেদী হাসান

প্রচণ্ড গরমের কারণে এই মৌসুমে বিষধর সাপের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসা স্বাভাবিক। কালকেউটেটা যেখানে বিশ্রাম নিচ্ছিল, সেই আইলের পাশে আমরা পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সাপটি লাফিয়ে ধানখেতে পড়ল। সাপটাকে দেখে আমরা ভয়ে আঁতকে উঠলাম। এর আগে অনেক ছবিতে কালকেউটে দেখেছি, কিন্তু প্রথম সরাসরি সাক্ষাতে কালোর মধ্যে প্রায় ৪০টি সাদা ডোরাকাটা দাগযুক্ত সাপটিকে অনেক বেশি সুন্দর লাগল।

এই সাপের জন্যই কৃষকরা দিনের আলোতে আইল দেখতে দেখতে মাঠ থেকে চাতালে ধান নিয়ে যাচ্ছিলেন। 

সোহরাবের জমিতে কাজ করেন সুমন। তিনি নেত্রকোনা থেকে এখানে এসেছেন কাজ করতে।

সুমন বললেন, 'এ গরম অসহ্য। এই মৌসুমে আমাকে জ্বর, কাশি ও সর্দিতে ভুগতে হয়েছে। প্রতিদিন আমার ভীষণ মাথাব্যথা করে।'

তিনি আরও বলেন, 'সব শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ কারণেই বেশিরভাগ শ্রমিক এখন ধানখেতে কাজ করতে চান না।'

ছবি: মেহেদী হাসান

আরেক শ্রমিক মানিক জানালেন, গত কয়েক বছর ধরে তিনি মাঠে কাজ করছিলেন না, এ বছর ফের জমির কাজে এসেছেন। কিন্তু এই গরম তাকে রীতিমতো 'মেরে ফেলছে'। তাই মাঠের কাজে ফিরে আসার সিদ্ধান্তটা তার কাছে ভুল বলে হচ্ছে। 

সোহরাব জানান, কাজ করানোর জন্য শ্রমিক পাওয়া সত্যিই ভীষণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, 'দৈনিক এক হাজার টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এই গরমে মানুষ কাজ করতে চায় না। যে খরচ হয়, তা বিবেচনায় ধান চাষ এখন পুরোপুরি লোকসানি প্রকল্প।'

ছবি: মেহেদী হাসান

ভালুকা-৬ ইউনিয়নের খড়ুয়ালী গ্রামের কৃষক সিদ্দিক আখন্দ তার মেয়ে ও নাতনিসহ পরিবারের কয়েকজন নারী সদস্যকে নিয়ে ধান কাটছিলেন।

সিদ্দিক বললেন, 'শ্রমিক পাওয়া কঠিন। গরম শুধু বাড়ছেই। রোদের নিচে এভাবে কাজ করা সম্ভব? আমার এখানে তিন কাঠা জমি আছে, আরও অনেক ফসল কাটা বাকি। চাল কীভাবে বাড়িতে নিয়ে যাব, সেই চিন্তায় আছি।'

লবণকোটায় সোহরাবের স্ত্রী পারভীন বেগম দুই জগ পানি আর ঠান্ডা লেবুর শরবত নিয়ে মাঠে এসেছেন।

আমাদের শরবত দিলেন তিনি। প্রচণ্ড গরমে সানন্দে সেই শরবত গ্রহণ করলাম আমরা।

পারভীন বলেন, 'অসহ্য গরম, কারেন্টও নেই। কাজে আনা সব শ্রমিক একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পর্যাপ্ত লোক নেই বলে আমাকেও মাঠে কাজ করতে হবে।'

ছবি: মেহেদী হাসান

জলবায়ু পরিবর্তন কী অথবা এটি কীভাবে তাদের জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে, তা জানেন না কৃষকরা। তারা শুধু চান বৃষ্টি; এমনকি এতে যদি তাদের ফসলের কিছুটা ক্ষতিও হয়, তাতেও কোনো আপত্তি নেই।

পারভীন বেগম বলেন, 'বৃষ্টিতে যদি দুনিয়াটা একটু ঠান্ডা হয়, তাহলে আমাদের শ্রমিকরা স্বস্তিতে কাজ করতে পারতেন।'

Related Topics

টপ নিউজ

তাপদাহ / তাপপ্রবাহ / কৃষক / কৃষি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: সংগৃহীত
    নকলকারীদের কায়দাতেই নকল ঘড়ির দাপট কমাতে চাইছে রোলেক্স!
  • ছবি: রয়টার্স
    প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল
  • পূর্বে সনাক্ত করা সড়কটির একটি অংশ।। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধীরে ধীরে পুরো পথটি সংযুক্ত করার কাজ করছেন। ছবি: হ্যান্ডআউট
    চীনে ২ হাজার বছর পুরোনো অক্ষত চার লেনের মহাসড়কের খোঁজ পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা
  • ছবি: টিবিএস
    ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান, আহত না থাকায় যাবেন না পঙ্গু হাসপাতালে
  • ইতালির গ্রামে ৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্ম; উৎসবের আবহ
    ইতালির গ্রামে ৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্ম; উৎসবের আবহ
  • আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
    কুমিল্লা-৩ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কিনলেন আসিফ মাহমুদ

Related News

  • এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে পাট, চামড়া, ওষুধ ও কৃষি খাতের জন্য কর, ঋণ, ইউটিলিটি খরচ কমানোর পরিকল্পনা
  • লক্ষ্মীপুরে ধান চাষে ১০–১৪ বার কীটনাশক প্রয়োগ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
  • ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৯০% মানুষ চরম তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে: বিশ্বব্যাংক
  • ভারতে বাম্পার ফলন, এশিয়ায় আরও কমবে চালের দাম, কমবে কৃষকের আয়
  • একসঙ্গে ৩৫০ ট্রাক্টর হস্তান্তর করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ল এসিআই মটরস

Most Read

1
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

নকলকারীদের কায়দাতেই নকল ঘড়ির দাপট কমাতে চাইছে রোলেক্স!

2
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

3
পূর্বে সনাক্ত করা সড়কটির একটি অংশ।। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধীরে ধীরে পুরো পথটি সংযুক্ত করার কাজ করছেন। ছবি: হ্যান্ডআউট
আন্তর্জাতিক

চীনে ২ হাজার বছর পুরোনো অক্ষত চার লেনের মহাসড়কের খোঁজ পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

4
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান, আহত না থাকায় যাবেন না পঙ্গু হাসপাতালে

5
ইতালির গ্রামে ৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্ম; উৎসবের আবহ
আন্তর্জাতিক

ইতালির গ্রামে ৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্ম; উৎসবের আবহ

6
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

কুমিল্লা-৩ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কিনলেন আসিফ মাহমুদ

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab