Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

যে কারণে সমুদ্র শজারুকে গবেষণার বিষয় করলেন হানিফ বিশ্বাস

হানিফের মাথা ভরে এবার শজারু, সমুদ্র শজারু। রাত-দিন শুধু শজারু। যত পারা যায় ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষক প্যানেলের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে একে গবেষণার বিষয় হিসাবে নির্বাচনের কারণ। এরপর জানাতে হবে এ গবেষণা থেকে কী ফলাফল পাওয়া যেতে পারে যা দেশের মানুষকে উপকারে আসবে।
যে কারণে সমুদ্র শজারুকে গবেষণার বিষয় করলেন হানিফ বিশ্বাস

ফিচার

সালেহ শফিক
29 February, 2024, 03:40 pm
Last modified: 29 February, 2024, 04:40 pm

Related News

  • সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের অনন্য অভিজ্ঞতা
  • কাল থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে জাহাজ
  • সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ তুলে নিতে টোয়াবের ২ দিনের আল্টিমেটাম
  • পর্যটন ও সংরক্ষণের ভারসাম্য: কঠিন পরীক্ষার মুখে সেন্ট মার্টিন
  • ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দিনে ২ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন

যে কারণে সমুদ্র শজারুকে গবেষণার বিষয় করলেন হানিফ বিশ্বাস

হানিফের মাথা ভরে এবার শজারু, সমুদ্র শজারু। রাত-দিন শুধু শজারু। যত পারা যায় ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষক প্যানেলের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে একে গবেষণার বিষয় হিসাবে নির্বাচনের কারণ। এরপর জানাতে হবে এ গবেষণা থেকে কী ফলাফল পাওয়া যেতে পারে যা দেশের মানুষকে উপকারে আসবে।
সালেহ শফিক
29 February, 2024, 03:40 pm
Last modified: 29 February, 2024, 04:40 pm

একই দিনে বিসিএস পরীক্ষাও ছিল। কিন্তু হানিফ অংশগ্রহণ করলেন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিয়োগ পরীক্ষায়। দেশে সমুদ্রবিদ্যা গবেষণার একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বোরি), কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের প্যাঁচার দ্বীপে। দেশের সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারের উপায় অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠিত হয় বোরি, যার বয়স মাত্রই সাত বছর। 

২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ মামলায় জয়লাভ করে বাংলাদেশ। এতে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ লাভ করে আমাদের দেশ। 

এই সীমার ২০০ নটিক্যাল মাইল অবধি সব প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদ ব্যবহারের সুযোগ এখন আমাদের। এজন্য প্রথমে জানতে হবে কী আছে সমুদ্রের উপরিভাগে, তলদেশে এবং উপকূলে। তাই সরকারের নলেজ পার্টনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় বোরি। প্রতিষ্ঠানটি সমুদ্র অর্থনীতি অথবা ব্লু ইকোনমি কার্যকর করতে ভূমিকা রাখছে।

গবেষণাতে আগ্রহী ছিলেন হানিফ

মো. হানিফ বিশ্বাস। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে ফিশারিজে স্নাতক হয়েছেন ২০১৭ সালে। স্নাতকোত্তর পর্বে সমুদ্রবিদ্যা অধ্যয়ন করেছেন। কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি, বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি, জিওলজিক্যাল  ওশানোগ্রাফিসহ আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শুরুর সময় থেকে তিনি সি-উইড (এক ধরনের শৈবাল, সমুদ্রের তলদেশে জন্মায়, পাথর বা অন্য শক্ত অবকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত থাকে) সম্পর্কে শুনেছিলেন। জানতে পেরেছিলেন, খাবার হিসাবে বিশ্বের অনেক দেশেই এটি জনপ্রিয় এবং অর্থনৈতিকভাবেও এ দিয়ে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। 

মাস্টার্সের থিসিস টপিক বাছাই করতে গিয়ে শেষে হানিফ সি-উইডকেই বেছে নিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, সি-উইডের ওষুধি গুণের কথা, যেমন এর মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আছে কি না বা এটি ব্যবহার করে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা যাবে কি না। বিশেষভাবে জানতে চেয়েছিলেন, এটি মানুষের মস্তিষ্কের ক্যান্সার কোষের (হেলা কোষ) ওপর কোনো প্রভাব রাখতে পারে কি না ।

হানিফের বেড়ে ওঠা রাজধানীর মুগদায়। ভাই-বোনদের মধ্যে সবার বড়। বাবা ব্যবসায়ী। স্নাতকোত্তর শেষ হতে না হতেই কোভিড-১৯ এর ধাক্কা। তাই ঘরে বসে বসে সমুদ্র বিজ্ঞানের নতুন নতুন বিষয় অধ্যয়ন করতে থাকলেন। বুঝতে চাইলেন, কাজ হয়নি কিন্তু করা দরকার এমন বিষয় কী আছে। 

পরিবারের ইচ্ছা ছিল হানিফ বিসিএস পাশ করবেন, সরকারি কর্মকর্তা হবেন। হানিফের আগ্রহ ছিল গবেষণায়, তাই যেদিন ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ছিল, বোরিতে নিয়োগ পরীক্ষাও ছিল ওই একইদিনে। হানিফ বোরিতে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরীক্ষা ভালো হয়েছিল, নির্বাচিতও হলেন।

জাপানীদের খাদ্য তালিকায় থাকে সাগর শজারু। ছবি: সংগৃহীত

গবেষণার বিষয় খুঁজতে লাগলেন

২০২২ সালের মাঝামাঝিতে সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে জৈব বা বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগে যোগ দিলেন। সামুদ্রিক প্রাণীর বিস্তৃতি, প্রাচুর্য, অভিযোজন প্রক্রিয়া, বংশবিস্তার বিষয়ে কাজ করে বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি। সামুদ্রিক অণুজীবের জীবনচক্র, বৈচিত্র্য, খাবারের উৎস এবং বৈশ্বিক কার্বন চক্রে এর ভূমিকা নিয়েও গবেষণা করে থাকেন বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফাররা।  

নিয়োগ পাওয়ার পর হানিফ জানতে পারলেন সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ কাজ করছেন সি-উইড নিয়ে। তিনি এর প্রজাতি সংখ্যা চিহ্নিতকরণ, বিস্তৃত আকারে  কৃত্রিম চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং ওষুধি উপাদান আহরণের উপায় অনুসন্ধান করছেন এবং অনেক দূর এগিয়েও গেছেন।

হানিফ তাই নতুন প্রাণী খুঁজে নিতে চাইলেন। ভাবতে থাকলেন, পড়াশোনাও করতে লাগলেন। বিষয় নির্ধারণ একটি দুরূহ কাজ। কারণ এর সঙ্গে বাস্তবায়ন জড়িত। যে প্রাণীর প্রাচুর্য কম, কৃত্রিম চাষ প্রক্রিয়া সম্ভব নয়, যার আহরণ দুরূহ এবং যার পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপায় সহজলভ্য নয়, তা যতই সমৃদ্ধ বা সৃজনশীল হোক, তা নিয়ে গবেষণা করা কাজের কথা নয়। তাই বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবেই ভাবা ভালো। ভাবতে ভাবতে হানিফের ঘুম আসে না। ছোট ছেলেটিও বাবার সঙ্গে রাত জাগে। বয়স তার বছরও হয়নি। বড়টি তখন পাঁচ ছাড়াচ্ছে। স্ত্রী ও পুত্রদের বোরির পরিবেশ খারাপ লাগে না, যদিও ঢাকার সেই চাঞ্চল্য, উচ্ছলতা প্যাঁচার দ্বীপে নেই। তবে সুবিধা হলো এখানে শব্দ, বায়ু, ময়লা দূষণ নেই। জীবন অস্থির নয় এখানে। পাহাড়, বন মিলিয়ে গড়ে ওঠা ৪০ একর জায়গা তাদের ভালো লেগে যায়। এখানে সন্ধ্যা নামে শিশিরের মতো, দিনের আলো প্রথম নামে গর্জন বৃক্ষের পাতা ছুঁয়ে। বাতাস কথা কয় কানে কানে আর সূর্য ডুবলেই সমুদ্র এগিয়ে এসে গান শোনায়। নিরালা এই জীবনে প্রকৃতি উদার ও অপূর্ব সঙ্গী।

সাগর শজারুর দেখা পেলেন

নিজের চেম্বারে যাওয়ার সময় হানিফকে কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফির ইনোভেশন সেন্টার পার হতে হয়। সেখানে হরেক গড়ন ও রঙের প্রবাল, শঙ্খ, জেলি ফিশ, স্টার ফিশ,  স্টিং রে, স্কুইড, অক্টোপাস ইত্যাদি মমি করে বা রাসায়নিকে ডুবিয়ে কাঠের তাকে রাখা হয়েছে। একদিন হানিফের নজরে পড়ল একাইনোডার্মাটা পর্বের একটি প্রাণী। এসব প্রাণী গোলাকার, তারকাকার বা চাকতির মতো হয়। স্টার ফিশ যেমন একটি। তবে যেটি এখন দেখলেন সেটির সারা গায়ে কাটা যেমন থাকে সজারুর গায়ে। এটির নাম সি অর্চিন বা সামুদ্রিক শজারু। 

জীবন্ত জীবাশ্মও বলা যায় প্রাণীটিকে। ৫৪১ মিলিয়ন বছর আগে শুরু হওয়া প্যালিওজোয়িক যুগ থেকে এরা আছে পৃথিবীতে। কোনো কোনো সি অর্চিনের কাটার ঘায়ে জ্বালাপোড়াও হয়। পৃথিবীর সাগর, মহাসাগর বা উপসাগরে ৯৫০ প্রজাতির সি অর্চিন পাওয়া গেছে। সমুদ্রের যেখানে প্রবাল ও পাথর আছে সেখানে এদের বসবাস। ১৫০০ ফুট থেকে ৫০০০ মিটার নীচেও এদের পাওয়া যায়। হানিফ বললেন,'এদের গাত্রাবরণ শক্ত। অ্যালগি, স্লো মুভিং বা সফট বডির ছোট ছোট প্রাণী দিয়ে আহার সারে। অনন্য অভিযোজন ক্ষমতা ও আত্মরক্ষা কৌশলের কারণে এরা প্রাণের আদি বিকাশ পর্ব থেকেই টিকে আছে। সাধারণত ৮-১০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয় সমুদ্র শজারু বা সি অর্চিন।'

সাগর শজারুর ভিতরভাগ। ছবি: সংগৃহীত

হানিফ ইনোভেশন সেন্টারে যে শজারুটি দেখলে ভাবনা ঘুরপাক খায় দিন-রাত

হানিফের মাথা ভরে এবার শজারু, সমুদ্র শজারু। রাত-দিন শুধু শজারু। যত পারা যায় ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষক প্যানেলের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে একে গবেষণার বিষয় হিসাবে নির্বাচনের কারণ। এরপর জানাতে হবে এ গবেষণা থেকে কী ফলাফল পাওয়া যেতে পারে যা দেশের মানুষকে উপকারে আসবে। সাধারণত বিজ্ঞানীরা কোনো প্রাণীকে গবেষণার বিষয় নির্বাচনের আগে তার দেহ গঠন, খাদ্যাভ্যাস, বাসস্থান, প্রাচুর্য এবং বিদেশি গবেষণার ফলাফল বিচার করেন। ভারত মহাসাগরে প্রাপ্ত শজারু থেকে ইতিবাচক ফল মিললে যে বঙ্গোপসাগরের শজারু থেকেও মিলবে তার গ্যারান্টি নেই তবে একেবারে খালি হাতে ফেরার সম্ভাবনাও নেই।

সতীর্থ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ভাবনা বিনিময় করলেন হানিফ। প্রাথমিকভাবে সবাই স্বাগত জানাল কারণ প্রাণীটির নিয়ে আগে গবেষণা হয়নি আমাদের এখানে। তাই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য হলেও এই গবেষণা করা দরকার। হানিফ তাই বিদেশি গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সব সাজিয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করল। ২০২৩ সালের জুন মাস ছিল সেটা। সাধারণত প্রকল্প বছর গণনা করা হয়, জুন টু জুন। প্রকল্প নির্বাচন কমিটিতে বোরির বিজ্ঞানীরা ছাড়াও এক্সটার্নাল হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা থাকেন।

ইনোভেশন সেন্টারের সজারুটিকে সামনে রেখে প্রেজেন্টেশন দিলেন হানিফ। দু একটি প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হলো। একটি ছিল অবধারিত, কেন আপনার মনে হলো এর ওষুধি গুণ থাকতে পারে? হানিফ বলেছিলেন, 'সাধারণভাবে এর স্বাদ মিষ্টি, সামুদ্রিক খনিজের মিশ্রণ থাকায় লবণও টের পাওয়া যায়। এটি কাঁচা খাওয়া যায়, জাপানে চাষ হচ্ছে। জাপানিদের খাদ্য তালিকায় অনেক সময়ই প্রাণীটির উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। অধিক বয়সেও জাপানিদের চামড়া ঝুলে যায় না বা চেহারায় কম প্রভাব পড়ে। টেকো জাপানিও বেশি দেখা যায় না। এসব বিবেচনায় মনে হচ্ছে, সমুদ্র শজারুতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান থাকা সম্ভব।'

পরেরটি ছিল দক্ষতাজনিত প্রশ্ন, আপনি ডাইভিং জানেন? এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কারণ সি অর্চিন সমুদ্রের উপরিভাগে থাকে না। নমুনা সংগ্রহের জন্য যেতে হবে সমুদ্রের গভীরে। হানিফ তখনো ডাইভিং জানেন না। তাকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করলেন শরীফ স্যার (আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ)। বলেছিলেন, 'কাজের প্রয়োজনে আমাকেও ডাইভিং শিখতে হয়েছে আর কৌশল আয়ত্তে আনলে এটি খুব বেশি কঠিন নয়। আমি হানিফকে শিখে নিতে সাহায্য করব।'

সাগরে ডাইভ দেওয়ার আগে হানিফ বিশ্বাস। ছবি সৌজন্য: হানিফ বিশ্বাস

অনুমোদন পেলেন হানিফ

একপর্যায়ে সন্তোষজনকভাবেই প্রেজেন্টেশন পর্ব শেষ হয় এবং নির্বাচক দল সি অর্চিন গবেষণাকে অনুমোদন দেন (২৩-২৪ অর্থবছরের গবেষণা প্রকল্পে)। সাধারণত শীত মৌসুমে গবেষকরা সাগরে যান কারণ অন্য সময় সাগর উত্তাল থাকে। গেল  জানুয়ারিতে হানিফ সেন্ট মার্টিন গিয়েছিলেন। সেন্ট মার্টিন কেন গবেষণাক্ষেত্র হিসাবে বাছাই করলেন? জবাবে হানিফ বলেছিলেন, 'এর অবস্থান সমুদ্রের মাঝে এবং এটি প্রবাল দ্বীপ। সমুদ্রের মাঝে হওয়ায় এখানে জীববৈচিত্র্য বেশি হওয়া স্বাভাবিক আর প্রবাল আছে বলে সি অর্চিনের দেখা পাওয়া সহজ হওয়ার কথা।' ছেড়া দ্বীপ থেকে ট্রলারে করে আরো প্রায় পাঁচ-সাতশ মিটার সমুদ্রের ভিতরে গিয়ে ডাইভিং করেছেন হানিফ। নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে বিজ্ঞানীদের খুব সাবধান থাকতে হয় কারণ যে কোনো ভুল পদক্ষেপে পরিবেশের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কোনো নরম প্রাণীর ওপর যেন হাত না পড়ে সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীকে খেয়াল রাখতে হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারেও কড়াকড়ি আছে। ইথানল, মিথানল সলভেন্ট সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন হানিফ কারণ গবেষণা থেকে যে ফল তিনি পেতে চান তার জন্য এ সলভেন্টই দরকার। হানিফ আশা করছেন, আগামী জুনের আগেই তিনি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। সমুদ্র শান্ত থাকতেই আরেক দফা নমুনা সংগ্রহে যাবেন। তিনি বাংলাদেশ বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কারণ গবেষণার শুরু থেকেই উৎসাহ এবং সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তিনি। স্কুবা ডাইভিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছেন।

হানিফকে এবার শেষ প্রশ্নটি করলাম, সমুদ্র শজারু চাষ করার সম্ভাবনা কতটুকু? তিনি বললেন, 'আগামী প্রকল্পে এটিই হবে বিষয় আর আমার জন্য চাষ করা তুলনামূলক সহজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে আমি কৃত্রিম চাষ পদ্ধতি ভালোভাবে রপ্ত করেছি।'

সাগরবক্ষে সতীর্থ গবেষকের সঙ্গে হানিফ বিশ্বাস (বাঁয়ে)। ছবি সৌজন্য: হানিফ বিশ্বাস

 

Related Topics

টপ নিউজ

ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট / ওশানোগ্রাফি / জীবাশ্ম / সেন্ট মার্টিন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘভাতা দেওয়ার সম্ভাবনা
  • পরিত্যক্ত মার্কিন গবেষণায় ভর করে পারমাণবিক শক্তিতে বড় অগ্রগতি চীনা বিজ্ঞানীদের
  • ভারত-পাকিস্তান বড় বড় দাবি করলেও—স্যাটেলাইট চিত্র বলছে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত
  • আইএমএফ ঋণ পেতে বাজারভিত্তিক ডলার রেট চালুর ঘোষণা গভর্নরের
  • ভাড়ার যুদ্ধে কারা জিতছে: অ্যাপ না-কি খ্যাপ?
  • সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ

Related News

  • সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের অনন্য অভিজ্ঞতা
  • কাল থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে জাহাজ
  • সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ তুলে নিতে টোয়াবের ২ দিনের আল্টিমেটাম
  • পর্যটন ও সংরক্ষণের ভারসাম্য: কঠিন পরীক্ষার মুখে সেন্ট মার্টিন
  • ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দিনে ২ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন

Most Read

1
অর্থনীতি

জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘভাতা দেওয়ার সম্ভাবনা

2
আন্তর্জাতিক

পরিত্যক্ত মার্কিন গবেষণায় ভর করে পারমাণবিক শক্তিতে বড় অগ্রগতি চীনা বিজ্ঞানীদের

3
আন্তর্জাতিক

ভারত-পাকিস্তান বড় বড় দাবি করলেও—স্যাটেলাইট চিত্র বলছে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত

4
অর্থনীতি

আইএমএফ ঋণ পেতে বাজারভিত্তিক ডলার রেট চালুর ঘোষণা গভর্নরের

5
ফিচার

ভাড়ার যুদ্ধে কারা জিতছে: অ্যাপ না-কি খ্যাপ?

6
বাংলাদেশ

সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab