Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
September 24, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, SEPTEMBER 24, 2025
স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কখনো কী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে?

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
06 September, 2020, 08:55 pm
Last modified: 07 September, 2020, 03:25 am

Related News

  • দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০২৩ সাল থেকে আসছে বড় পরিবর্তন
  • ব্যবসা-বাণিজ্য বাঁচাতে আগে শিক্ষা বাঁচান: সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
  • এয়ারলাইন্সগুলোর সামনে টিকা পৌঁছে দেওয়ার শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
  • দ্রুত টিকা বিতরণে গণিত বিশেষজ্ঞদের দেখানো কৌশল
  • করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ইরানে মসজিদ, স্কুল বন্ধ

স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কখনো কী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে?

শিক্ষাখাতে মহামারির কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়েই অন্যতম ৯ শিক্ষাঙ্গন চিন্তাবিদের মতামত নিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম- ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন।
টিবিএস ডেস্ক
06 September, 2020, 08:55 pm
Last modified: 07 September, 2020, 03:25 am
ছবি: ফরেন পলিসি

ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় হোক বা সরাসরি শ্রেণিকক্ষে যোগ দিয়ে; বিশ্বব্যাপী পাঠক্রম শুরু করেছে লাখো শিক্ষার্থী। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে কঠোর বিধি-নিষেধ পালনের শর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে। এক্ষেত্রে চালু আছে নানা মডেল। যেমন; ডেনমার্কে চালু করা হয়েছে ক্লাস বাবল। এ ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের অন্যদের থেকে 'বিচ্ছিন্ন' থেকেই ক্লাসে অংশ নিতে পারে।

আবার অনলাইন এবং শারীরিক উপস্থিতির হাইব্রিড পাঠক্রমও চালু হয়েছে অনেক দেশে। তাছাড়া, উদ্বিগ্ন অভিভাবক এবং উদাসীন শিক্ষার্থীর মতো হাজারটা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট, টেলিভিশন এবং রেডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে রিমোট লার্নিংও চালু আছে। এরমধ্যেই আবার সামাজিক দূরত্বের বিধি শিথিল করেছে ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ। কিছু দেশে আবার বিদ্যাপীঠ খোলার পরই সংক্রমণের হার বাড়ায়, পুনরায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

স্কুলের চাইতে বড় সমস্যা মোকাবিলা করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আবাসিক হল এবং ছাত্রদের পারস্পরিক মেলামেশা ভাইরাস ছড়ানোর উপযুক্ত বাতাবরণ সৃষ্টি করে। টিউশন ফির উপর নির্ভরশীল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পড়েছে সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তার মধ্যে। ঘরে বসে ভার্চুয়ালি শিক্ষালাভের ব্যবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ ফি' দিয়ে সন্তানকে পড়ানো বাতুলতা মনে করতে পারেন বহু অভিভাবক, যা তাদের কাছে- সঙ্কটকালীন মুহূর্তে বাড়তি ব্যয় বলেই প্রাধান্য পাবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো কিছু দেশে আবার ভূ-রাজনৈতিক বিবাদের সুবাদে  বড় রকমের সমস্যায় পড়েছে সেখানকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। চীনা শিক্ষার্থীরা তাদের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। কিন্তু, ট্রাম্প প্রশাসনের চীন বিরোধীতা এবং অভিবাসন পরিকল্পনা লাখো চীনা ছাত্রকে যুক্তরাষ্ট্র বিমুখ করতে পারে। 

এত বিপদের মধ্যে একটা ব্যাপার কিন্তু নিশ্চিত; কোভিড-১৯ ঘরে বসে পাঠগ্রহণের যে ডিজিটাল বিপ্লব সূচনা করেছে- তা অদূর ভবিষ্যতে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে চিরতরে বিঘ্নিত করবে। 

শিক্ষাখাতে মহামারির কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়েই অন্যতম ৯ শিক্ষাঙ্গন চিন্তাবিদের মতামত নিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম- ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন। তাদের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির আদলে প্রদত্ত মতামতের সার-সংক্ষেপ এখানে আলোচনা করা হলো। 

'প্রযুক্তি অবশেষে আত্মমূল্যায়নে বিশ্বাসী বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসার অবসান ঘটাবে'

বলেছেন কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির তথ্যপ্রযুক্তি এবং বাজারজাতকরণ বিভাগের অধ্যাপক মাইকেল ডি.স্মিথ। 

তার মতে, আমাদের পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা টিকে থাকবে, তবে কোভিড-১৯ মহামারির আগে তারা যে ক্ষমতা উপভোগ করতো- তা অনেকগুণে হ্রাস পাবে। 

বিগত কয়েক শতক জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল নিয়ন্ত্রণ শক্তি এসেছিল, তাদের সীমিত সংখ্যক ক্লাসরুম সিট, গুটিকয়েক বিখ্যাত ফ্যাকাল্টি এক্সপার্ট এবং প্রায়শই সীমিত কর্মসংস্থান বাজার পরিস্থিতির কারণে। কিন্তু, মহামারি তাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধ্য করেছে। ফলে যে সীমিত সম্পদের কথা বলা হচ্ছিল; তার অবসান হয়েছে। এখন ছাত্ররা ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে অবস্থান করে নিজের পছন্দমাফিক যেকোনো বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের কাছ থেকে পাঠগ্রহণ করতে পারছে।  

তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে নতুন অনেক উপকরণ যোগ হয়েছে অনলাইন ব্যবস্থায়। এসবের মাধ্যমে নিজেদের অর্জিত জ্ঞান সুপষ্ট এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রদর্শন করতে পারছে তারা। সরাসরি পাঠগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাও এমন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়নি এর আগে। 

এখন, আমাদের অনেক সহকর্মী ভীত। তারা ভাবছেন, নিজেদের মতো করে ব্যবসার একচেটিয়া দিন বুঝি শেষ। আসলে তারা ঠিকই ভাবছেন। মহামারি সূচিত এ পরিবর্তন অন্যান্য খাত যেমন; শিল্পোৎপাদন, ভ্রমণ, খুচরা ব্যবসা ইত্যাদি খাতে যে বেদনাদায়ক অবস্থা সৃষ্টি করেছে- তার হাত থেকে শিক্ষা ব্যবসাও রেহাই পাবে না। 

এসব খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানই মহামারি পূর্ব অবস্থায় নিজ সুনামকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো পণ্য বা সেবার দর নির্ধারণ করেছে। কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির উদ্যোগগুলো তাদের ধরাশায়ী করেছে। শিক্ষায়নেও তার ব্যতিক্রম আশা করি না।  

এনিয়ে অবশ্য হতাশ বা আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে- শিক্ষাবিদদের উচিত এ পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করা। এর মাধ্যমে তাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ; যত বেশি সংখ্যক সম্ভব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গুণাবলীর বিকাশ ঘটানো এবং তা আরও তীক্ষ্ম করে তোলা।  

'সরাসরি পাঠদান যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা উচিৎ'

বলছিলেন মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএফও সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অব এডুকেশন বিভাগের পরিচালক লুডগার ওয়েজম্যান। 

তিনি জানান, বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ঠিকই অনুধাবন করতে পারছেন যে- রিমোট লার্নিং আসলে শ্রেণিকক্ষে শারীরিক উপস্থিতির চেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে না। প্রায় এক হাজার জার্মান স্কুলগামী শিশুর পিতামাতার সাক্ষাৎকার নিয়ে এবিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। অভিভাবকরা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঘরে বসে গড়ে ৩.৬ ঘণ্টা ভার্চুয়াল পড়াশোনা ও হোমওয়ার্ক করছে। অথচ স্কুল খোলা থাকার সময় এটা ছিল দৈনিক ৭.৪ ঘণ্টা। এসময়ে তাদের দৈনিক টেলিভিশন দেখা, কম্পিউটারে গেম খেলা এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে ৫.২ ঘণ্টা। এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর পিতামাতা জানান, তাদের শিশু দৈনিক দুই ঘণ্টা বা তারও কম সময় পড়াশোনা করছে। 

উচ্চ-শিক্ষিত পিতামাতা সন্তানের জন্য বাড়িতে ভালো শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, বলে যে বিশ্বাস ছিল-তারও খণ্ডন করেছে মহামারি। দেখা গেছে, আলোচিত সংখ্যক অভিভাবকদের মধ্যে যারা তুলনামূলক কম শিক্ষিত তাদের সঙ্গে অধিক শিক্ষিতদের শিশুদের অধ্যয়ন কমার কোনো তারতম্য লক্ষ্য করা যায়নি। 

পার্থক্য অবশ্য অন্যখানে। আর্থ-সামাজিক অবস্থান মুখ্য নয়। যেসব শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে পারফরম্যান্স দুর্বল ছিল- তাদের বেশিরভাগই এখন আরো বেশি গেমিং এর প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। তাছাড়া, ছেলে শিশুদের চাইতে মেয়ে শিশুরা ঘরে বসে শিক্ষাগ্রহণের ব্যাপারটার সঙ্গে বেশি তাল মেলাতে পারছে, বলেও আমরা লক্ষ্য করি।

দীর্ঘমেয়াদে স্কুল বন্ধ থাকার অনেক মূল্য দিতে হবে। এপর্যন্ত সব শিক্ষার্থী মিলে মোট শিক্ষাবর্ষের এক-তৃতীয়াংশ সময় হারিয়েছে। যা তাদের আগামীদিনে আয়ের পরিমাণ ৩ শতাংশ কমাতে পারে। সার্বিকভাবে পাঠদানে এ পঙ্গুত্বের মানে হলো; জার্মানির মত দেশজ উৎপাদনের ১.৫ শতাংশ হারিয়ে যাওয়ার সমান। 

এখানে প্রধান শিক্ষণীয় বিষয় দুইটি। প্রথমত যতদ্রুত সম্ভব নিরাপদ ব্যবস্থায় শারীরিক পাঠদানে ফিরতে হবে। কিন্তু, যেখানে সংক্রমণের হার বেশি বা এটি করা সম্ভব নয়- সেখানে পূর্ণ শিক্ষাক্রম অনুসারে লাইভ সম্প্রচারের আয়োজন থাকতে হবে। কারণ, ইমেইলে হোমওয়ার্ক ধরিয়ে দেওয়ার চর্চা ইতোমধ্যেই অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

'কেবলমাত্র কঠোর স্বাস্থ্যবিধি এবং সুদক্ষ পরিকল্পনার ভিত্তিতেই বিদ্যালয় চালু করা যেতে পারে'

বলছিলেন জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ জেনিফার নাজ্জো। 

যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য কয়েকটি দেশে শিক্ষাকেন্দ্রে শারীরিক উপস্থিতির যে চর্চা শুরু হয়েছে। এখান থেকে বেশ কিছু বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া দরকার বলে তিনি মনে করছেন। 

প্রথমত; শিক্ষার্থীরা যেস্থানে বসবাস করে সেখানে সামাজিক সংক্রমণ কীরূপ অবস্থায় আছে, তা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। কোনো একটি কম্যুনিটির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ চলতে থাকলে, তা শিক্ষার্থী বা কর্মচারীদের মাধ্যমে স্কুলের অন্যদের দেহেও ছড়াতে পারে। উচ্চ-ঝুঁকিতে থাকা এলাকায় ভাইরাস ছড়ানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা যেমন; পানশালা, রেস্তোরাঁ, ক্লাব ইত্যাদি বন্ধ রাখা উচিৎ। এরপর সংক্রমণ হার কমে এলে সীমিত আকারে স্কুল খোলা যেতে পারে। 

দ্বিতীয়ত; স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি যেসব সম্প্রদায়ের মধ্যে অসুস্থতার হার অনেক কম, সেখানেও কেউ না কেউ সংক্রমিত হয়েছেন- এমন ঝুঁকি রয়েছে। তিনি না জেনেই স্কুলে আসতে পারেন। এইজন্যেই সবসময় মাস্ক পরিধান করা, বিদ্যালয়ের কর্মী এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাতাস চলাচলের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিদ্যালয়ে থাকাকালে যথাসম্ভব বাইরে (উন্মুক্ত খেলার মাঠে) পাঠদানের চেষ্টা করা উচিৎ।

তৃতীয়ত; বিদ্যালয় খোলা হলেও সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে প্রস্তুতি থাকা চাই। ধরা পড়া মাত্র সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হতে হবে। আচমকা বন্ধ করে দিলে কীভাবে শিক্ষাক্রম সম্পন্ন করা হবে, তা নিয়েও  বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা রাখা প্রয়োজন। এসব পদক্ষেপ নিয়ে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক সুরক্ষা কবচ তৈরি করতে পারবে। ডেনমার্কেও এ পদ্ধতিতে বিদ্যালয় খুলেছে। 

'সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো'

বলছিলেন জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ অনুষদের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক এবং এশিয়া অধ্যয়ন কর্মসূচির পরিচালক দেভেশ কাপুর।   

তিনি জানান, কোভিড-১৯ দারিদ্র্য ও বঞ্চনায় জর্জরিত নানা পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে চলেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একমাত্র প্রশ্ন হলো; কতদিন ধরে এবং কী পরিমাণ তীব্র প্রভাব পড়েছে। ভারতের উদাহরণই দেয়া যাক; ২৬ কোটি স্কুলগামী শিশু আর ৪ কোটি উচ্চ শিক্ষার্থী নিয়ে দেশটি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।

বিপুল এ জনসংখ্যার শিক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়েই ভেবে কূল পাচ্ছেন না- স্থানীয় শিক্ষাবিদেরা। সবচেয়ে বড় কথা হলো; ২১ শতকের অর্থনীতিতে অবস্থান ধরে রাখতে হলে নিজ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা বঞ্চিত রাখার কোনো সুযোগ নেই। ১৪ বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ এজন্যেই ২০০৯ সালে ঘোষণা করা হয়। তারপরও মহামারির আগে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রত্যাশিত ফলাফল লক্ষ্য করা যায়নি, স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যাও ছিল আশঙ্কাজনক। এখনও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টিকে থাকার হার মাত্র ৫৭ শতাংশ। 

এ অবস্থায় কোভিড-১৯ দেশটির ছাত্রসমাজকে আরও পিছিয়ে দেবে। সরাসরি পাঠদানকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় ধনী দেশগুলোকেই অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ভারত বা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে এর বাঁধা আরও অনেক বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে, এ অঞ্চলে মোবাইল ও ইন্টারনেটের প্রসার বাড়লেও, দারিদ্র্য কবলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর সুফল পাওয়া যাবে না। ভারতের ১৩০ কোটি জনতার ৭০ শতাংশ জনগণই থাকেন গ্রামাঞ্চলে। ডিজিটাল প্রযুক্তির অনেক সুবিধা এখনও তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছেনি। একারণেই সরাসরি পাঠদান অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।   

অন্যান্যরা যা বলছেন:

এছাড়াও, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালভেদর বাবোনেস মতামত দেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও অভিবাসন সম্পর্কে। তিনি এখানে মহামারির কারণে ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের উদাহরণ তুলে ধরেন, যা আগামীদিনে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস করবে। তিনি মহামারি পরবর্তী বিশ্বে আন্তর্জাতিক শিক্ষা অভিবাসনে বড় এক পতন শঙ্কা করছেন। 

বারাক ওবামা প্রশাসনের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আর্নে ডানকান মহামারির পর একটি উপযুক্ত দুর্যোগ সহনশীল শিক্ষাপদ্ধতি গড়ে তোলার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন।
  
এছাড়া, শিক্ষায় আর্থ-সামাজিক বৈষম্য হ্রাসের প্রতি গুরুত্ব দেন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট জোটের শিক্ষা ও দক্ষতা বিভাগের পরিচালক আন্দ্রে শ্লেইশার।  

বেসরকারি শিক্ষা সহযোগী সংস্থা জেনারেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী মোনা মোর্শেদ তুলে ধরেন, শিক্ষা সহায়ক কর্মসংস্থান তৈরির গুরুত্ব।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডিক স্টার্টজ অবশ্য উচ্চশিক্ষা খাতে মহামারি পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক অবস্থান ফিরতে অনেক সময় লাগবে বলে আশঙ্কা করেন। তবে ধীরগতিতে হলেও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা চাঙ্গা হওয়ার আশা করছেন তিনি। তবে বিপর্যয়ের ঝুঁকিও অস্বীকার করছেন না। 

  • সূত্র: ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন
  • অনুবাদ: নূর মাজিদ

Related Topics

টপ নিউজ

বিশ্ব মহামারি / শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: এই সময়
    নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে চান ফখরুল
  • ছবি: টিবিএস
    ছাপ্পান্নটি গবেষণা কেন্দ্র! নিজের ‘কীর্তি’ নিয়ে দিশেহারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে আটকে আছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১৮৭ কোটি টাকা
    বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে আটকে আছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১৮৭ কোটি টাকা
  • ছবি: টিবিএস
    সেরা প্রার্থী বাছাইয়ের চ্যালেঞ্জে বিএনপি, মনোনয়ন পেতে চলছে দৌড়ঝাঁপ
  • ম্যানচেস্টার শহরের কেন্দ্রস্থলে কঠোরতা-বিরোধী মিছিল চলাকালীন একজন কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিনিধিকে ডিম ছোঁড়া হয়। ছবি: কোরবিস
    প্রাচীন যুগে শুরু শালগম ছুড়ে প্রতিবাদ যেভাবে ডিম ছোড়ায় রূপ নিল
  • নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ছবি: এপি
    মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: অনুমতি ছাড়া কস্টকোতে কেনাকাটা করতে পারবেন না ইরানি কূটনীতিকরা

Related News

  • দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০২৩ সাল থেকে আসছে বড় পরিবর্তন
  • ব্যবসা-বাণিজ্য বাঁচাতে আগে শিক্ষা বাঁচান: সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
  • এয়ারলাইন্সগুলোর সামনে টিকা পৌঁছে দেওয়ার শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
  • দ্রুত টিকা বিতরণে গণিত বিশেষজ্ঞদের দেখানো কৌশল
  • করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ইরানে মসজিদ, স্কুল বন্ধ

Most Read

1
ছবি: এই সময়
বাংলাদেশ

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে চান ফখরুল

2
ছবি: টিবিএস
ফিচার

ছাপ্পান্নটি গবেষণা কেন্দ্র! নিজের ‘কীর্তি’ নিয়ে দিশেহারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

3
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে আটকে আছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১৮৭ কোটি টাকা
অর্থনীতি

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে আটকে আছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১৮৭ কোটি টাকা

4
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

সেরা প্রার্থী বাছাইয়ের চ্যালেঞ্জে বিএনপি, মনোনয়ন পেতে চলছে দৌড়ঝাঁপ

5
ম্যানচেস্টার শহরের কেন্দ্রস্থলে কঠোরতা-বিরোধী মিছিল চলাকালীন একজন কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিনিধিকে ডিম ছোঁড়া হয়। ছবি: কোরবিস
আন্তর্জাতিক

প্রাচীন যুগে শুরু শালগম ছুড়ে প্রতিবাদ যেভাবে ডিম ছোড়ায় রূপ নিল

6
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ছবি: এপি
আন্তর্জাতিক

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: অনুমতি ছাড়া কস্টকোতে কেনাকাটা করতে পারবেন না ইরানি কূটনীতিকরা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net