Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
May 31, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, MAY 31, 2025
কবুতরের রেসে আনন্দযাপন

ফিচার

মেহজাবিন তুলি
22 January, 2021, 10:05 am
Last modified: 22 January, 2021, 10:18 am

Related News

  • স্তন্যপায়ীরা পায়ুপথে শ্বাস নিতে পারে প্রমাণ করে ইগ নোবেল পেল যে দল 
  • তিমি, মরা ইঁদুর, বিড়াল নাকি কবুতর: গুপ্তচর হিসেবে সেরা কোন প্রাণী?
  • আকবর বাদশারও ‘হাই ফ্লায়ার’ কবুতর ছিল, তবে তার সানগ্লাস-দুরবিন ছিল না!
  • মিস ও মিস্টার কবুতর প্রতিযোগিতা, বিচারক আসেন বিদেশ থেকে!  
  • কবুতর যখন গোয়েন্দা: প্রাচীন গ্রিস থেকে বাংলা

কবুতরের রেসে আনন্দযাপন

আমাদের দেশেও প্রতি বছর শীতকালে এই রেসের আয়োজন করে বিভিন্ন সংগঠন। তবে রেসের জন্য কবুতরকে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে হয়। একেকটি কবুতরের পেছনে থাকে পালনকারীর তীব্র সাধনা ও ধৈর্য।  
মেহজাবিন তুলি
22 January, 2021, 10:05 am
Last modified: 22 January, 2021, 10:18 am
ছবিটি প্রতীকি

ভোর থেকে একদল লোক বসা। দুনিয়াদারি ভুলে, কপালে চিন্তার রেখা ফেলে অস্থির পায়চারি করে একটু পর পর আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন।

ওই তো ফিরে আসছে একটা কবুতর। ব্যস শুরু উল্লাস আর জয়ধ্বনি। সেটিকে খাঁচায় পুরে আবার অপেক্ষা। একটু পরপর ঘড়ি আর আকাশ দেখা... এমন দৃশ্য চোখে পড়বে কবুতরের 'রেসের' দিনগুলোতে।

হ্যাঁ, ঠিক পড়েছেন, এটি রেস তবে কবুতরের; কবুতরের উড়াল প্রতিযোগিতা। ভোরে শুরু হয়ে যা চলে মাগরিবের আজান পর্যন্ত। তাও একদিন নয়, টানা কয়েকদিন পর্যন্ত!

যারা কবুতর অনুরাগী, তাদের কাছে এই রেস আনন্দের উপলক্ষ্য মাত্র; অন্যান্য আরও যারা কবুতর পুষে থাকেন, সবার সঙ্গে মিলে উদযাপনের দিন।    

সারা বিশ্বে ২০০ বছর আগে থেকেই কবুতরের রেস জনপ্রিয় একটি খেলা হিসেবে প্রচলিত। ধারণা করা হয়, ২২০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম কবুতরের রেসের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে, উনবিংশ শতকের শুরুতে প্রথম বেলজিয়ামে কবুতর রেসের আনুষ্ঠানিক আয়োজন করা হয়। বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস কবুতর ও কবুতরের রেসের জন্য বিশ্বময় সুপ্রসিদ্ধ।

আমাদের দেশেও প্রতি বছর শীতকালে এই রেসের আয়োজন করে বিভিন্ন সংগঠন। তবে রেসের জন্য কবুতরকে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে হয়। একেকটি কবুতরের পেছনে থাকে পালনকারীর তীব্র সাধনা ও ধৈর্য।  

লালবাগের কবুতর পালনকারী হাজি মো মামুনও একই সুরে জানালেন, 'ইতিহাস বলে, চিঠি পাঠাতে কবুতর ব্যবহার করা হতো। শুনেছি  স্যাটেলাইটের সমস্যায় বিকল্প হিসেবে এখনো নৌবাহিনীর লোকজন হোমা জাতের কবুতর ব্যবহার করেন। সেই কবুতর এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে নাকি চলে যায়; কিন্তু সেই হোমা কবুতর ও এখনকার গিরিবাজ এক নয়। এর পেছনে থাকে অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাধনা। ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে জাত উৎপন্ন, মাসের পর মাস টানা প্রশিক্ষণ, পালনকারীর ধৈর্য- একেকটি কবুতরকে রেসের জন্য তৈরির পেছনে অকল্পনীয় পরিশ্রম থাকে।'

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফরিদ মুন্সি বলেন, 'রেস মূলত ভাইরাল বা জনপ্রিয় হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যম ও ইউটিউবের কল্যাণে।'

তিনি নিজে অনেক বছর ধরে কবুতর পালন করেন। জানালেন, প্রথম দিকে সবাই শখবশত এবং কবুতরের রঙ ও গড়ন দেখেই পোষেন; আস্তে আস্তে জাত বুঝে কবুতর কিনতে শুরু করেন। একটা পর্যায়ে এটি বাণিজ্যিক রূপ লাভ করে।

পুষতে পুষতে  একসময় কবুতরের বাচ্চা বিক্রয়ের মাধ্যমে পালনকারীরা প্রথম আয় শুরু করেন। কবুতরের খাঁচাগুলো পরিচিত 'লফট' নামে। লফটের কবুতরগুলোকে নিয়মিত ছাদে উড়তে দিতে হয়।  তখন আশেপাশের  অন্য কারও নতুন কেনা দুয়েকটি কবুতরও নিজের কবুতরের দলের সঙ্গে চলে আসে উড়তে উড়তে।

ফরিদ জানালেন মজার এক তথ্য। এই 'ফ্রি'তে পাওয়া কবুতর নাকি মাঝে মধ্যে তার প্রকৃত মালিকের কাছেই আরেকবার বিক্রি করা হয়। আবার কেউ চাইলে বাজারেও বিক্রি করে দিতে পারেন। এভাবেও কিন্তু একটা বাড়তি আয় হয়!

ফ্যান্সি বা শৌখিন কবুতরগুলো উড়তে পারে না তেমন। সৌন্দর্য বর্ধন এবং নিজের শখ মেটাতেই মানুষ এদের পোষেন। 'রেসার' হিসেবে গিরিবাজ কবুতরের নামডাক থাকলেও আরেক ধরনের রেসিং কবুতরও আছে। এরা দেখতে অনেকটা জালালি কবুতরের মতো। তবে জালালির চেয়ে রেসার কবুতর আকৃতিতে অনেক বড় হয়।

গিরিবাজ সাধারণত ১১৫ থেকে ১১৬ কিলোমিটারের বেশি ওড়ে না; কিন্তু রেসিং কবুতর দিয়ে ৩০০-৪০০ কিলোমিটারের প্রতিযোগিতাও সম্ভব।

কবুতরের মূল্য নির্ধারণ করা হয় এর গায়ের চিহ্ন বা  'মার্কিং' দেখে। যেমন, কালদম জাতের একটি কবুতরের পেছনের দম (লেজের অংশ) পুরো কালো থাকবে এবং বাকি অংশ সাদা। এখন এই সাদার মাঝে যদি কোনো কালো পশম বা কালোর মাঝে সাদা না থাকে, তার মানে সেই কবুতরের গায়ে কোনো 'মিস মার্কিং' নেই; অর্থাৎ, এটির  দাম বেশি।

কবুতরের ব্রিডিং বা প্রজনন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানালেন ফরিদ। একে 'পেডিগ্রি' বলা হয়। পেডিগতি অনুযায়ী কবুতরের দাম ওঠা-নামা করে।

কবুতরের দামের ক্ষেত্রে আরেকটি প্রভাবক হলো রেস। সাধারণত যেসব কবুতর প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, সেগুলোর পাখায় স্ট্যাম্পের সাহায্যে ছাপ মারা থাকে। ক্রেতা যখন দেখেন তার পছন্দের কবুতরটির গায়ে এমন ছাপ আছে, তখন দাম বেশি হলেও নিতে আগ্রহ দেখান। বিক্রেতাও সুযোগে চড়া দাম হাঁকান।

কবুতরের রেসের জন্য প্রশিক্ষণ ও ছাপ দেওয়ার বিষয়গুলো একত্রে স্থানীয়ভাবে 'পাল্লা' নামে পরিচিত। শুধু পাল্লা দেওয়া কবুতরই নয়, তা থেকে জন্মানো পরবর্তী প্রজন্মের কবুতরগুলোও অনেক 'দামি' হয়ে যায় বলে জানালেন ফরিদ। পাঁচশ টাকার কবুতর নাকি পাঁচ হাজারেও বিকোয় তখন।

কবুতরের তীক্ষ্ণতা থাকে এর চোখে;  কবুতর সূর্য দেখে নীড়ে ফেরে। রেসের জন্য কবুতরের প্রশিক্ষণের শুরুটা হয় পালনকারীর নিজের ছাদ থেকে। যখন তিনি দেখবেন, একটি কবুতর না থেমেই কয়েক ঘণ্টা ছাদে উড়ছে, তখন সেটাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। আস্তে আস্তে ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ১৫ কিলোমিটার... এভাবে একটু একটু করে দূরত্ব বাড়াতে হবে।

হয়তো কিছু কবুতরকে কখনো উড়ানো হয়নি। কিন্তু দিনের পর দিন ছাদে খাঁচায় রেখে তাদের বাড়ির সীমানা চেনানো হয়েছে। এদের ছাড়লেও একটা সময় ঠিকই বাড়ি চিনে ফিরে আসবে।

ঢাকার ভেতর বিভিন্ন স্থানে কবুতরের হাট বসলেও অভিযোগ আছে, এগুলোতে বেশ ঠকানো হয়। দর কষাকষিতে পারদর্শী না হলে ভালো জাতের কবুতর জোটানো সম্ভব নয়।

৫০০ টাকা মূল্যের কবুতর দশ হাজারেও বিক্রির নজির আছে। ফলে কবুতর কেনা উচিত যারা বাসায় পালন করে থাকেন, তাদের লফট থেকে, দেখেশুনে সময় নিয়ে। সেখানে তুলনামূলকভাবে ঠকার ঝুকিও কম বলে মনে করেন ফরিদ।

লালবাগের হাজি মো. রবিন ৪৭ বছর ধরে কবুতর পুষছেন। বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলা থেকে তার লফটের কবুতর কিনতে আসেন অনুরাগীরা।

হাজি মো. রবিনের কাছে কবুতর শুদ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতীক। তার লফটে এখন সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার কবুতর রয়েছে। গিরিবাজ তার পছন্দের কবুতর।

তিনি বলেন, 'একটা দোকানে গিয়ে যেমন আমরা দেখি, কোন রঙের পোশাকের সঙ্গে অন্য কোন রঙ মানাবে, বা কোন শাড়ির সঙ্গে কোন লেইস মানালে সবচেয়ে সুন্দর ও শোভনীয় লাগবে, কবুতরের ব্রিডিংটাও ঠিক তেমনি।'

বিভিন্ন কৌশলে কবুতরের 'জোড়া মিলিয়ে' নতুন নতুন জাত তৈরি করা শুধু শখ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; হাজি মো. রবিনের মতে, এখানে একইসঙ্গে বৈজ্ঞানিক ব্যাপারও জড়িত।

'১০০টা কবুতরের চেয়ে দুইটা ভালো জাতের কবুতর পালন করা উত্তম,' জানান তিনি।

হাজি মো. রবিনের অনেক অনুজ শীতের মৌসুমে কবুতরের রেসের আয়োজন করেন। এরা সবাই বিভিন্ন পেশাজীবী; তবে সবার ভেতর সাধারণ বৈশিষ্ট্য- এরা কবুতরপ্রেমী।

'মজার ব্যাপার হলো, রেসের দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যখন কবুতর অনুরাগীরা এক হন, তখন সংসার, ব্যবসা বা অন্য কোনো কিছু তাদের মাথায় থাকে না। তাদের কথাবার্তাজুড়ে সেদিন শুধুই কবুতর।'

কেমন তবে কবুতরের রেস

'কবুতরের রেস পুরোপুরি শখের বিষয়। শখের সঙ্গে জড়িত থাকে যে কবুতর পালন করছি, তাদের যোগ্যতা যাচাই,' এক কথায় জানালেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা ও নিয়মিত রেসে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ সৌরভ।

সাধারণত দেশের ভেতরে কবুতর ক্লাবগুলোই রেসের আয়োজন করে। ক্লাবই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান নির্বাচন করে। এর টাকা ওঠে অংশগ্রহণকারীদের এন্ট্রি-ফি থেকে।

ক্লাবগুলোর সিংহভাগ গড়ে উঠেছে পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করে। এক ঝাঁক পায়রা, বাংলাদেশ রেসিং পিজিওন আন্ট্রাপ্রেনার লিমিটেড, ঝাঁকগলা পিজিওন ফ্যান গ্রুপ নারায়ণগঞ্জ, লালবাগ চৌধুরীবাজার ক্লাব, দিগন্ত মজলিস, বৃহত্তর উত্তরা ক্লাব, বারিধারা ক্লাব ইত্যাদি শীর্ষস্থানীয় কিছু ক্লাব রয়েছে।

যিনি যে ক্লাবেরই প্রতিনিধি হোন, রেসের দিনে সবাই এক হয়ে যান বলে আনন্দের সঙ্গে মন্তব্য করেন লালবাগের হাজি মামুন।

কিশোর, তরুণ, বয়স্ক মুরুব্বি- সবাই কবুতর নিয়ে রেসে অংশ নেন না, তবে আনন্দে শরীক হন।

ধরন অনুযায়ী রেসের নামকরণ করা হয়। ৪১ কিলোমিটার পল্টি টুর্নামেন্ট, ৪১ কিলোমিটার ওপেন টুর্নামেন্ট, ৪১ কিলোমিটার ৪ সাইড টুর্নামেন্ট, মাদার ইনটেক ২ সাইড পল্টি টুর্নামেন্ট... মজার মজার কিছু রেসের নাম।

কখনো কখনো রেসে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়ে যায়।

ভোরে ফজরের সময় দলবেঁধে, গাড়ি করে সবাই চলে যান যেখান থেকে কবুতর ছাড়া হবে, সেখানে। রেসগুলো হয় কয়েকদিন ব্যাপী।

একদিন নরসিংদী রোড থেকে, তো আরেকদিন মানিকগঞ্জ রোড থেকে ছাড়া হয় কবুতর। তৃতীয় দিন হয়তো সবাই মিলে কুমিল্লা দাউদকান্দি রোডে গিয়ে সেখান থেকেই ছেড়ে দিলেন।  আবার রেস যদি দিন দুয়েকের জন্য হয়, তাহলে প্রথম দিন মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে পরের দিন শুরু করেন মেঘনাঘাট থেকে।

দৌড় প্রতিযোগিতা যেমন হুইসেল দিয়ে শুরু হয়, এখানেও একই। পার্থক্য- পা নয়, এখানে পাখা ঝাঁপটে আকাশে ওড়াল দেবে কবুতর।

এ মাসের ১১ তারিখ 'এক ঝাঁক পায়রা' সংগঠনের উদ্যোগে '৪৫ কিলোমিটার চারমুখী কবুতর রেস' পরিচালিত হয়। চারদিনব্যাপী এই রেসের বিভিন্ন ধাপের ভিডিওচিত্র  ফেসবুক লাইভ ও ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। বিজয়ী হন যাত্রাবাড়ির অধিবাসী ইমতিয়াজ খান আবির। তার ১৫টি কবুতরের ১৫টিই ফিরে আসে।

রেসের এন্ট্রি ফি ৬০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকাও হতে পারে। এন্ট্রি ফি এবং অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রাইজমানি ওঠা-নামা করে। উল্লেখিত রেসটির বিজয়ীদের জন্য যেমন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীর নির্ধারিত প্রাইজমানি ছিল যথাক্রমে ৪০, ২৫ ও ১৫ হাজার টাকা করে। সবসময় যে টাকাই থাকে, তা নয়; বিভিন্ন উপহার সামগ্রীর মাধ্যমেও অনেক সময় বিজয়ীদের সংবর্ধিত করা হয়।

কার কবুতর কখন ফিরল, ক'টায় ফিরল- সব ক্রিকেট মাঠের মতো কমেনটারির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতে থাকে।

আগে রিং পরিয়ে কবুতর গুনে রাখা হতো। এখন নতুন প্রযুক্তি হিসেবে ইলেকট্রনিক টাইমিং মেশিন ব্যবহৃত হয়। কবুতরের পায়ে রিংয়ের জায়গায় ইলেকট্রনিক চিপ লাগানো থাকে। কবুতর কতদূর গেল, ফিরতি পথে রওনা দিয়েছে কি না, এমনকি আসার পর সেই মেশিনে বসার পর রেসে কবুতরের গতি- এমন আরও অনেক তথ্যই এখন নির্ভুলভাবে এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ধরা পড়ে।

ভোরে শুরু হয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে, অর্থাৎ মাগরিবের আজানকে 'লাস্ট কাউন্ট' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময়ের ভেতর যার সবচেয়ে বেশি কবুতর লফটে ফিরে আসে, তাকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিবার কবুতর ফেরার পর একটি করে নতুন সিল যুক্ত হয় সেই কবুতরের গায়ে।

বিজয়ীদের শেষে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।  

অনেকে অবশ্য কবুতরের রেস ও বাজিকে গুলিয়ে ফেলেন; বাজি নিয়ে নেতিবাচক ভাবনাও প্রকাশ করেন।

'বাজির বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা। এটা কোনো টুর্নামেন্ট বা ক্লাব আয়োজন করে না। এটা ব্যক্তি পর্যায়ে হয়ে থাকে। দুই বা তিনজন হয়তো নিজেদের কবুতর উড়িয়ে কয়টি ফেরত আসে, তার ওপর বাজি ধরেন,' বাজির বিষয়টি খুলে বললেন সৌরভ।

'তবে যারা বাজি খেলেন, সেখানে টাকার চেয়ে আনন্দ আর সম্মান বেশি জড়িত থাকে। বেশিরভাগ বাজিই শেষ হয় নিছক মালাবদলের মধ্য দিয়ে।'

বিনোদনের বাজির উপহার হিসেবে  কখনো কখনো উপহার ধরা হয় খিচুড়ি কিংবা এক ডেগ ভর্তি বিরিয়ানিও!

শেষের অনুরোধ

দেশের প্রতি জেলায় তো বটেই, এমনকি রাজধানীর ভেতরেও বিভিন্ন অংশে গড়ে উঠেছে কবুতরপ্রেমীদের ক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠন। কিশোর তরুণের মাঝে এখন আগের চেয়েও কবুতর পালনে ঝোঁক বেশি প্রকাশ পাচ্ছে।

'অথচ আমাদের দেশে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো মিলনমেলা বা উৎসব আয়োজনের সুযোগ নেই। বিচ্ছিন্নভাবে শীতের মৌসুমে রেসের আয়োজন করা হলেও তাতে শরিক হতে পারেন না অনেকেই। যদি কেন্দ্রীয়ভাবে পুরো দেশে কোনো একটি মিলনমেলা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেত, তাহলে নতুন যারা কবুতরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, তারা অগ্রজদের কাছ থেকে অনেক কৌশল জানার সুযোগ পেতেন,' প্রধানমন্ত্রীর কাছে কবুতর সংগঠনগুলোর জন্য স্থায়ী বরাদ্দের আবেদন জানিয়ে এ কথা বলেন হাজি মো. রবিন।
 
যুবক সমাজ বিপথে না গিয়ে কবুতরের মতো সুন্দর একটি পাখির পেছনে সময় দিচ্ছে, এটি থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে- বিষয়টিকে সাধুবাদ জানান তিনি।
 

Related Topics

টপ নিউজ

কবুতর / কবুতরের রেস

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ৫ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ব্যাহত নেটওয়ার্ক সেবা
  • ২০৪০ সালের আগেই হারিয়ে যেতে পারে আপনার ফোনের সব ছবি
  • উদ্বোধনের আগেই সাগরে বিলীন ৫ কোটি টাকায় নির্মিত কুয়াকাটা মেরিন ড্রাইভ
  • মার্কিন ভিসায় সন্তান জন্মদানের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ অনুমোদিত নয়: ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস
  • একটি লোক নির্বাচন চান না, সেটা হচ্ছে ড. ইউনূস: মির্জা আব্বাস
  • সব দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে: প্রধান উপদেষ্টা

Related News

  • স্তন্যপায়ীরা পায়ুপথে শ্বাস নিতে পারে প্রমাণ করে ইগ নোবেল পেল যে দল 
  • তিমি, মরা ইঁদুর, বিড়াল নাকি কবুতর: গুপ্তচর হিসেবে সেরা কোন প্রাণী?
  • আকবর বাদশারও ‘হাই ফ্লায়ার’ কবুতর ছিল, তবে তার সানগ্লাস-দুরবিন ছিল না!
  • মিস ও মিস্টার কবুতর প্রতিযোগিতা, বিচারক আসেন বিদেশ থেকে!  
  • কবুতর যখন গোয়েন্দা: প্রাচীন গ্রিস থেকে বাংলা

Most Read

1
বাংলাদেশ

৫ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ব্যাহত নেটওয়ার্ক সেবা

2
আন্তর্জাতিক

২০৪০ সালের আগেই হারিয়ে যেতে পারে আপনার ফোনের সব ছবি

3
বাংলাদেশ

উদ্বোধনের আগেই সাগরে বিলীন ৫ কোটি টাকায় নির্মিত কুয়াকাটা মেরিন ড্রাইভ

4
বাংলাদেশ

মার্কিন ভিসায় সন্তান জন্মদানের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ অনুমোদিত নয়: ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস

5
বাংলাদেশ

একটি লোক নির্বাচন চান না, সেটা হচ্ছে ড. ইউনূস: মির্জা আব্বাস

6
বাংলাদেশ

সব দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে: প্রধান উপদেষ্টা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net