আ্যডভান্স এনিমেলের ১০ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ

গবাদিপশু ও পোল্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রাণীর রোগ প্রতিরোধে ১০ কোটি টাকা মূল্যমানের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে অ্যাডভান্স এনিমেল সায়েন্স কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয় থেকে।
মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ এবং ভ্যাকসিন বিক্রির দায়ে অ্যাডভান্স এনিমেল সায়েন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএম খানসহ ছয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার (২৬ আগস্ট) এ সাজার পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফকিরাপুলের ১৪৯/এ ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউয়ের চতুর্থ তলার ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সারোয়ার আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আ্যডভান্স এনিমেল সায়েন্সেস কোম্পানির সারাদেশে মোট ২১ টি শাখা রয়েছে।
তিনি জানান, অভিযানের সময় দেখা যায়, বিভিন্ন প্রাণীর ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত বছর আগে। ২০১২-১৩ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পুনরায় প্যাক করে বাজারজাত করা হচ্ছে। বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের ঔষধ নকল স্টিকার ব্যবহার করে তা বাজারজাত করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ঔষধ এর গায়ে লাগানো স্টিকারে দেখা গেছে সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু বিদেশি ব্রান্ডের ঔষধ নকল করা হয়েছে। বিশেষ করে কুকুর বা বিড়ালের কামড়ে দিলে যে জলাতঙ্ক রোগ হয়। সেই জলাতঙ্ক মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিন ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
এসব অপকর্মের দায়ে আ্যডভান্স এনিমেল সায়েন্সেস ঔষধ কোম্পানিকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
কারাদণ্ড পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা হলেন- এমডি এমএম খান (৬৬) ইডি আমিনুল খান (৬৪), আলী আহমদ খান (৬৫) ফজলুর রহমান (৬২), মাহমুদ হক খান (৪৭), দিন ইসলাম (৩৫)। কোম্পানীর আরো দুই জন এমডি পলাতক আছে। এই সময় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানা যায়।