শেখার অনেক কিছু আছে- ‘শিক্ষা সফর’ শেষে দেশে ফিরে মুমিনুল

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। দারুণ এক জয়ে ওয়ানডে সিরিজের শুরু। পরের ম্যাচটি হারলেও শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্ট সিরিজে সেটার উল্টো। দুই ম্যাচেই হতাশার পারফরম্যান্সে বড় হার মেনে নিতে হয় বাংলাদেশকে। এমন দুঃস্বপ্নের সিরিজে শেষে দেশে ফিরে মুমিনুল হক জানালেন, টেস্ট ক্রিকেট শিখতে হবে তাদের।
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের ভাষায়, প্রতিটা টেস্ট সিরিজই তাদের জন্য শিক্ষা সফর। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ তেমনই ছিল বাংলাদেশের কাছে। জয়-পরাজয় ছাড়াও প্রতিটা সিরিজ থেকে অনেক কিছু শেখার থাকে বলে মনে করেন মুমিনুল। এর পাশাপাশি টেস্টে অনেক উন্নতি করার তাগিদ অনুভব করছেন তিনি।
তিন ভাগে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল। বুধবার দলের একাংশ দেশে ফিরেছে। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে মুমিনুল বলেন, 'ম্যাচ হারি-জিতি, প্রত্যেক সিরিজেই কিন্তু শেখার অনেক কিছুই থাকে। আপনি যদি শিক্ষা বাদ দেন, তাহলে উন্নতি করতে পারবেন না। আমাদের শেখার অনেক কিছুই আছে।'
'ব্যাটিংয়ে স্পিন কীভাবে আপনি হ্যান্ডেল করবেন, টেস্ট ক্রিকেটে সেশনগুলোতে কীভাবে ডমিনেট করা যায়, পিছিয়ে পড়লে কীভাবে ব্যাক করে এগিয়ে যাওয়া যায়, বোলাররা নতুন বলে কীভাবে কোন জায়গায় বোলিং করবে।, পুরনো বলে কোথায় বোলিং করবে, শেষ সেশনে কীভাবে বোলিং করবে; শেখার আসলে অনেক কিছুই আছে। আমার কাছে মনে হয় বাস্তবায়ন করাটা গুরুত্বপূর্ণ।' যোগ করেন তিনি।
সারা বছর টেস্ট খেলার পরও উন্নতির শেষ নেই জানিয়ে মুমিনুল আরও বলেন, 'টেস্টে যদি আগামী দুই বছরও খেলি, সারা বছরও খেলি, টেস্টে উন্নতির শেষ নেই। এটা পাঁচদিনের খেলা, এই পাঁচদিনে সব জায়গায়, সব বিভাগে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ভালো করতে হবে। টেস্টে আমাদের অনেক উন্নতি করা লাগবে। এটা আমি সব সময় বলি, ম্যাচ জিতলে বলি, হারলেও বলি।'
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মুমিনুলের রান যথাক্রমে ০, ২, ৬, ৫; সব মিলিয়ে ১৩ রান। নেতৃত্বেও বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি। এ কারণে সমালোচনা আছে তার অধিনায়কত্ব নিয়েও। যদিও নিজের ব্যাটিংয়ের মতো অধিনায়কত্বের চাপ নিয়েও চিন্তিত নন বাঁহাতি টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। মুমিনুল বলেন, 'ফল না করলে বিশ্বের যে কোনো অধিনায়কের কাছেই চাপ আসবে। জো রুট কিন্তু এক বছরে ৬-৭টি সেঞ্চুরি করেছে, তারপরও তার কাছে চাপ আসে।'
'অধিনায়কত্ব এমনটা একটা জিনিস, আপনি পারফরম্যান্স না করলে চাপ আসবে। এই লেভেলে আপনাকে চাপ নিতে হবে। আর এই চাপ আপনাকে নিতে হবে। আর আমি এটা নিয়ে চিন্তিত নই। একটা দেশকে প্রতিনিধত্ব করবেন, একটা দেশের অধিনায়ক হবেন, আপনার কাছে চাপ আসবেই। চাপ নিতে না পারলে তো হবে না। যেটা আমি বিশ্বাস করি।' যোগ করেন মুমিনুল।
বাজে একটি সিরিজ গেছে, এরপরও অবশ্য হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথা জানালেন মুমিনুল। তার মতে, এমন না যে এবারই প্রথম বাংলাদেশ এমন পারফরম্যান্স করেছে। টেস্ট অধিনায়কের জানেন কীভাবে এই অবস্থা থেকে বের হতে হয়। মুমিনুল বলেন, 'এটা এমন না যে, এই প্রথম আমরা এই পরিস্থিতিতে পড়েছি। এর আগেও আমরা পড়েছি। আমরা জানি কীভাবে এখান থেকে বের হতে হবে।'