ঢাকাকে হারিয়ে প্লে-অফে খুলনা, বিদায় নিলো রাজশাহী
খুলনা টাইগার্স বনাম ঢাকা ক্যাপিটালসের ম্যাচ। দুই দলের সমর্থকরা মাঠে এসেছিল দলকে অনুপ্রাণিত করতে। সমর্থক, ভক্ত ছাড়াও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল দুর্বার রাজশাহীকে পাশে পেয়েছিল ঢাকা। এই ম্যাচে রাজশাহী রীতিমতো ঢাকার সমর্থক হয়ে ওঠেছিল। কেবল ঢাকা জিতলেই যে প্লে-ফের টিকেট মিলতো রাজশাহীর। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন গুঁড়েবালি। জিততে মরিয়া খুলনা ব্যাটে-বলে শাসন করে ঢাকার বিপক্ষে তুলে নিলো দাপুটে জয়, চতুর্থ দল হিসেবে উঠে গেল প্লে-অফে।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা ক্যাপিটালসকে – উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। লিগ পর্বে ১২ ম্যাচে ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে উঠলো মেহেদী হাসান মিরাজের দল। আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স, ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। ১২ ম্যাচে ছয়টিতে জেতা রাজশাহী ১২ পয়েন্ট নিয়ে অপেক্ষা করছিল এই ম্যাচের জন্য। খুলনা হারলেই তারা প্লে-অফে উঠতো। কিন্তু সমর্থন যুগিয়েও ঢাকাকে জেতাতে পারেনি তারা। সমান ১২ পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় রাজশাহীকে টপকে সেরা চারের টিকেট জিতে নিলো খুলনা। ১২ ম্যাচের তিনটিতে জেতা ঢাকা ছয় নম্বর দল হিসেবে বিপিএল মিশন শেষ করলো।
আসজুড়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করা ঢাকা আজও প্রত্যাশামাফিক ব্যাটিং করতে পারেনি। হাফ সেঞ্চুরি করা তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া কেউ-ই রানের দেখা পাননি, দলটির মাত্র চারজন দুেই অঙ্কের রান করেন। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করা ঢাকা ৯ উইকেটে তোলে ১২৩ রান। জবাবে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, অবদান রাখেন অ্যালেক্স রস ও উইলিয়াম বসিস্তোও। ১৯ বল হাতে রেখে জেতে খুলনা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেতার মতোই খেলেছেন মিরাজ। বড় রান পাড়ি দেওয়ার তাড়া না থাকাং ধীর-স্থির মেজাজেই ব্যাট চালান তিনি। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫৫ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব আজ রানের খাতা খুলতে পারেননি। রস ২২ ও বসিস্তো ১৮ রান করেন। দারুণ বোলিং করা ঢাকার বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৬ রানে ৩টি উইকেট নেন। একটি উইকেট পান রহমত আলী।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ তামিম। বাঁহাতি এই ওপেনার ৩৭ বলে একটি চার ও ৭টি ছক্কায় ৫৮ রান করেন। ১৭ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২০ রান করেন সাব্বির রহমান। লিটন কুমার দাস ১০ ও পেসার মেহেদি হাসান রান ১৩ রান করেন। তাদের আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। খুলনার হয়ে বোলিং করা সাতজনই উইকেটের দেখা পান। ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও বসিস্তো। একটি করে উইকেট নেন নাসুম, মিরাজ, মুশফিক, জিয়াউর ও নওয়াজ।
