নামিবিয়াকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংল্যান্ড

দফায় দফায় বৃষ্টির হানায় কালক্ষেপণ হতে থাকলো। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার ম্যাচের টসই হলো রাত ১টা ৪০ মিনিটে, খেলা শুরু ২টায়। প্রায় অর্ধেক ওভারে নেমে আসা ম্যাচ শুরু হলো, মাঝে আবারও বৃষ্টির হানা। আবারও কমলো ওভার। যে ওভার মিললো, দাপুটে ব্যাটিংয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। পরে ইংলিশ বোলারদের সামনে সে রান পাড়ি দেওয়া হলো না নামিবিয়ার। দারুণ জয়ে সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
রোববার অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে নামিবিয়াকে ৪১ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ওমানকে গুঁড়িয়ে আগেই স্কটল্যান্ডের চেয়ে নেট রান রেট বাড়িয়ে রেখেছিলো ইংলিশরা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে স্কটিশদের উপরে উঠলো তারা, বেঁচে থাকলো সুপার এইটের আশাও। দুই দলেরই সমান ৫ পয়েন্ট। এবার অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ডের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইংলিশদের। কেবল স্কটল্যান্ড হারলেই সুপার এইটের টিকেট মিলবে ইংল্যান্ডের। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলেও অজিদের সঙ্গে সুপার এইটে উঠবে স্কটল্যান্ড।
বৃষ্টি বাগড়ার ম্যাচে আড়াই ঘণ্টারও পরে টস হয়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নামিবিয়া। ১১ ওভারের ম্যাচে ৮ ওভার শেষে বৃষ্টি নামলে আরও এক ওভার কমে আসে। জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মঈন আলীদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ১২২ রান তোলে ইংল্যান্ড। বৃষ্টি আইনে নামিবিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬ রান। জবাবে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে মাইকেল ভ্যান লিনজেন ও ডেভিড ভিসার ব্যাটে লড়লেও ৩ উইকেটে ৮৪ রানে শেষ হয় নামিবিয়ার ইনিংস। চার ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে বিশ্বকাপ শেষ করলো নামিবিয়া।
লক্ষ্য তাড়ায় স্বাভাবিক গতিতে রান তুললেও নামিবিয়ার জন্য সেটা যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না। কারণ, রান যে অনেক পাড়ি দিতে হতো। উদ্বোধনী জুটিতে ৬ ওভারে ৪৪ রান যোগ করেন লিনজেন ও নিকোলাস ডেভিন। স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়া ডেভিন ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৮ রান করেন। এরপর লিনজেন ও ভিসা লড়লেও ব্যবধান ঘোচাতে পারেননি। ২৯ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন লিনজেন। ১২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ঝড়ো ২৭ রান করেন ভিসা। ইংল্যান্ডের জফরা আর্চার ও ক্রিস জর্ডান একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের সবাই দ্রুত ব্যাট চালান। সফল হতে পারেননি কেবল অধিনায়ক জস বাটলার। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন তিনি। ফিল সল্টও টিকতে পারেননি, ৮ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর মূলত ইংল্যান্ডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের শুরু। তৃতীয় উইকেটে ৩০ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো ও হ্যারি ব্রুক। ২৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ রান করেন বেয়ারস্টো। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা ব্রুক ২০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ রানের খুনে ইনিংস খেলেন।
৬ বলে ২টি ছক্কায় ১৬ রান করেন মঈন। ৪ বলে ২টি ছক্কায় ১৩ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। দলের বাকি বোলাররা কোণঠাসা থাকলেও দুর্বার বোলিং করেন ডেভিড ভিসা। নামিবয়ার এই অলরাউন্ডার ২ ওভারে মাত্র ৬ রানে একটি উইকেট নেন। ২ উইকেট নিলেও ২ ওভারে ৩১ রান দেন রুবেন ট্রাম্পলম্যান। বার্নার্ড শোল্টজ ২ ওভারে ২৪ রানে একটি উইকেট পান। নামিবিয়ার সবচেয়ে খরুচে বোলার জ্যাক ব্রাসেল, ২ ওভারে ৩২ রান দেন তিনি।