বিতর্কিত নিয়মেই হেরেছে বাংলাদেশ, বলছেন ওয়াকার

জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েও পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্প রানে আটকেও হেরে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাওহিদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটিতে ঠিক পথে থেকেও শেষ দিকে তালগোল পাঁকিয়ে হারে বাংলাদেশ; বেশিরভাগ অংশে দায়টা ব্যাটসম্যানদেরই। কিন্তু এখানে আলোচনায় আছে আম্পায়ারের একটি বাজে সিদ্ধান্ত, যার সঙ্গে জড়িয়ে এলবিডব্লিউয়ে ডেড বলের বিতর্কিত নিয়মও।
আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের কারণে লেগ বাই থেকে ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এই ৪ রানেই হারে তারা। ৪ রান স্কোরকার্ডে যোগ হলে কী হতো, সেটা ভিন্ন আলোচনা। কিন্তু বিতর্কিত নিয়মের কারণেই বাংলাদেশ হেরেছে, বিশ্বের অনেক সাবেক ক্রিকেটারেরই এমন মত। নিয়েমের পরিবর্তন চান অনেকেই। এই তালিকায় আছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনুসও।
তিনি মনে করেন, এলবিডবিউয়ে ডেড বলের বিতর্কিত নিয়মের কারণেই বাংলাদেশের ক্ষতি হয়েছে। নিয়মটি নিয়ে ভাবা উচিত জানিয়ে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক ও কোচ বলেন, 'এলবিডব্লিউয়ে ডেড বলের বিতর্কিত নিয়ম নিয়ে পুনরায় ভাবা উচিত। নিয়মটির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অল্প রানের থ্রিলার ম্যাচ হেরে গেল বাংলাদেশ।'
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওটনেইল বার্টমানের করা ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফ্লিক করে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, তার পায়ে লেগে বল চলে যায় সীমানার বাইরে। এর আগেই প্রোটিয়াদের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বল সীমানা ছাড়া হলেও নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়ার আউট দেওয়ার কারণে বলটি 'ডেড' হয়ে যায়। এ কারণে ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ।
এমন ঘটনায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ও এলবিডব্লিউর নিয়ম নিয়ে চরম সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তামিম ইকবালও। ইএসপিএনক্রিকইনফোর বিশ্বকাপ আয়োজনে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ওপেনার বলেন, 'আমি মনে করি, আপনার হাতে তো সময় আছে। আপনি ২ সেকেন্ড অপেক্ষা করে দেখতে পারেন বল কোথায় যাচ্ছে। বাউন্ডারি হলো কি হলো না, সেটা দেখেও আপনি সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। অন্য যা-ই হোক, ব্যাটসম্যান যদি নট আউট থাকে, তাহলে ওই বলে রান দেওয়া উচিত।'
'ওই ৪ রান দিলে বাংলাদেশের ভাগ্য বদলে যেতে পারতো। আমি হয়তো সমর্থকদের মতো বলছি। তবে চিন্তা করলে এই ৪ রান খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারতো। ধারাভাষ্যেও সবাই এটি নিয়ে কথা বলছিল। আমি মনে করি, আইসিসি এটার ব্যাপারে ভেবে দেখতে পারে। চাইলে এটি এড়ানো সম্ভব। এমন না যে খুব বড় কোনো পরিবর্তন তাদের করতে হবে।' যোগ করেন তিনি।
একই আয়োজনে কথা বলা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার মরনে মরকেলও তাই মনে করেন। তামিমের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমিও (তামিমের সঙ্গে) একমত। এমনটা হলে ফিল্ডাররাও বাউন্ডারি বা এক-দুই রান ঠেকাতে চেষ্টা করবে। অবশ্যই খেলাটির খাতিরে কিছু একটা পরিবর্তন প্রয়োজন। আশা করি, বিশ্বকাপের পরে এটি নিয়ে ভাবা হবে।'