রুশো-ডি ককের রেকর্ড জুটিতে রান চাপায় বাংলাদেশ

ইনিংসের প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে বাংলাতেশবে দারুণ সূচনা এনে দেন আগের ম্যাচের নায়ক তাসকিন আহমেদ। কিন্তু কেবল শুরুটাই থাকলো বাংলাদেশের দখলে। ইনিংসের বাকিটা সময়ে রাজত্ব করে গেলেন রাইলি রুশো। ২২ গজে তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন বাঁহাতি এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ঝড় তোলেন কুইন্টন ডি ককও। এ দুজনের রেকর্ড গড়া জুটিতে রানের পাহাড় গড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃহস্পতিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পুরোটা সময় ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে এদিন ঝড় বয়ে যায়। তাসকিন আহমেদ থেকে শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুবরা কেবল রান খরচ করে গেছেন।
এর মাঝে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন কেবল মুস্তাফিজুর রহমান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও বাকিদের চেয়ে তুলনামূলক কম খরুচে ছিলেন। অবশ্য বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও বড় হতে পারতো। কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছেন সাকিব-হাসানরা। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশের খরচা ২৯ রান।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ওভারেই বিপদে ফেলেন তাসকিন। বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৬ বলে ২ রান করা বাভুমা। ২ রান খরচায় একটি উইকেট নিয়ে স্বপ্নের মতোই শুরু করেন তাসকিন। কিন্তু শুরুর ধাক্কা তুলে ঝড় তুলতে একেবারেই সময় নেননি রুশো ও ডি কক।
পাওয়ার প্লে ৬ ওভার থেকে ৬৩ রান তোলেন এ দুজন। এরপরও অবশ্য একই ছন্দে ব্যাটিং করে যান এ দুজন, সাজান চার-ছক্কার ফুলঝুরি। এ সময় প্রোটিয়া এই দুই ব্যাটসম্যানের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন বাংলাদেশের বোলাররা। চোখ জুড়ানো ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ বলে ১৬৮ রানের জুটি গড়েন। যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেকেনো উইকেটে বিশ্বরেকর্ড, টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেরা জুটির রেকর্ড।
ডি কককে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ফেরার আগে ৩৩৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৩ রান করেন ডি কক। এরপর একাই ঝড় চালিয়ে যান রুশো। খুনে ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫২ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, এটা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১০৯ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন রুশো। এইডেন মার্করাম করেন ১০ রান।
সবচেয়ে বেশি ১৫.৩৩ ইকোনমিতে ৩ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তাসকিন। হাসান ৪ ওভারে ৩৬ রানে একটি উইকেট নেন। মিরাজ ৩ ওভারে ৩২ রানে কোনো উইকেট পাননি। ২ উইকেট নেওয়া সাকিব ৩ ওভারে দেন ৩৩ রান। আফিফ ১ ওভারে ১১ রানে নেন এক উইকেট। উইকেট না পেলেও কিপ্টে বোলিং করেন মুস্তাফিজ, ৪ ওভারে ২৫ রান রান দেন তিনি। মোসাদ্দেক ২ ওভারে খরচা করেন ১৬ রান।