দ্রুতই চেনা ছন্দে ফিরবেন সাকিব, আশা সুজনের

এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠের লড়াইয়ে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। জেমকন খুলনার হয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ খেলছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ইতোমধ্যে চারটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে আগের সেই সাকিবের দেখা মেলেনি। বল হাতে পারফর্ম করলেও ব্যাট হাতে অনুজ্জ্বল থেকে গেছেন তিনি।
বাঁহাতি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান চার ম্যাচে করেছেন মাত্র ৪১ রান। এখন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৫। টি-টোয়েন্টিতে ৫ হাজার রানের মাইলফলক সামনে রেখে মাঠের লড়াইয়ে ফিরেছেন সাকিব। এই মাইলফলক ছুঁতে তিন ম্যাচ লেগেছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। সব মিলিয়ে চার ম্যাচ পরও পুরনো সাকিবের দেখা না মেলায় প্রশ্ন উঠছে, কোথায় হারালেন সেই সাকিব।
সাকিব বলেই এমন প্রশ্ন। কারণ সাকিব মানেই পারফরম্যান্স। হোক সেটা বল হাতে কিংবা ব্যাট হাতে। তার অতীত রেকর্ড সেই সাক্ষ্যই দেয়। এ কারণেই কেউ কেউ বলে উঠছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট-বলে যার রাজত্ব, সে কিনা ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিজেকে খুঁজে ফিরছেন!
ব্যাট হাতে অনুজ্জ্বল সাকিব বল হাতেও নিজের সেরা ছন্দ পাননি। কম খরুচে থাকলেও চার ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র দুই উইকেট। এক বছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত থাকার কারণেই এমন হচ্ছে, এটা জানার পরও সাকিব বলেই তার থেকে সেরা পারফরম্যান্সের আশায় ক্রিকেটভক্তরা।
কবে দেখা মিলবে সেই সাকিবের? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বেক্সিমকো ঢাকার কোচের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদের বিশ্বাস, দ্রুতই চেনা ছন্দে ফিরবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে দলের অনুশীলন শেষে সাকিব প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ বলেন, 'সাকিব অনেকদিন পর ক্রিকেটে ফিরলো। সাকিব তো সাকিবই, নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। এখনও ব্যাট হাতে সাকিবকে সেভাবে দেখিনি। বল হাতে ওর যেটা স্বভাবসুলভ, সেটা করছে। প্রতি ম্যাচেই ভালো বোলিং করছে।'
'ব্যাট হাতে ওর কাছে প্রত্যাশাটা সবারই অনেক বেশি। আমি বিশ্বাস করি সে ভালো খেলোয়াড়। সে সারা বছরেরই পারফর্মার সত্যি কথা বলতে গেলে। সে ফিরে আসবে, হয়তো সময় নিচ্ছে। অনেকদিন পর বলে সমন্বয়ের ব্যাপারটা থাকছে। আমি মনে করি সে দ্রুতই ফিরে আসবে।'
জুয়াড়ির কাছ থেকে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও আইসিসি বা বিসিবিকে কিছু না জানানোয় গত বছরের ২৮ অক্টোবর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব। চোট আর ছুটি নেওয়া ছাড়া কখনও বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকতে হয়নি সাকিবকে। কিন্তু গত বছরের ২৯ অক্টোবর থেবে ৩৬৫টা দিন ক্রিকেটবিহীন কেটেছে বাংলাদেশ প্রাণ ভোমরার।