চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন তামিম

গত তিন মাস ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছেন তামিম ইকবাল। দেশে চিকিৎসক দেখিয়েও সমস্যা পুরোপুরি নির্ণয় হয়নি। আবার ব্যথাও বেড়েছে আগের চেয়ে। উপায় না দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে।
চিকিৎসার জন্য আগামী শনিবার লন্ডনে যাচ্ছেন তামিম। বাংলাদেশের সফলতম এই ব্যাটসম্যান নিজেই দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
দেশে চিকিৎসা করিয়ে সমস্যা নির্ণয় না হওয়ায় লন্ডনের এক চিকিৎসকের কাছ থেকে অনলাইনে নিয়মিত পরামর্শ নিচ্ছিলেন তামিম। সেই চিকিৎসকের পরামর্শেই লন্ডনে যাচ্ছেন তিনি।
লন্ডনে যাওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে জানিয়েছেন তামিম। ভ্রমণের জন্য করোনা ছাড়পত্র নিতে হবে তাকে। শনিবারের আগেই এটা পাওয়া যাবে বলে জানান তামিম।
৩ মাস আগে হঠাৎ করে পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন তামিম। শুরুতে বিষয়টি পাত্তা দেননি তিনি। বাংলাদেশ ওপেনার ভেবেছিলেন ফুড পয়জনিং থেকে এমন হতে পারে। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও ব্যথা শুরু হয়। আর গত কয়েক সপ্তাহে ব্যথার পরিমাণ আরও বেড়েছে।
তামিম বলেন, '৩ মাস আগে হঠাৎ পেটে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। অনেকক্ষণ ছিল সেই ব্যথা। তবে সেভাবে পাত্তা দিইনি। ভেবেছি ফুড পয়জনিং থেকে এমন হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবার ব্যথা শুরু হয়। আর গত তিন সপ্তাহে এমন ব্যথা আরও তিনবার হয়েছে। এতটাই ব্যথা যে, সহ্য করা খুব কঠিন।'
প্রচন্ড ব্যথার কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তামিম। কিছু প্যাথলজিক্যাল টেস্টও করান অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। কিন্তু সমস্যা ধরা পড়ছে না। এ কারণেই লন্ডনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেই চিকিৎসক।
বাংলাদেশ ওপেনার বলেন, 'হাসপাতালে যাওয়ার পর কিছু প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করাতে দিয়েছিল, সেসব করিয়েছি। কিন্তু সমস্যা কোথায়, সেটা ধরা পড়ছে না। এ জন্য লন্ডনের ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম। উনি আমাকে দ্রুত লন্ডনে যেতে বলেছেন।'
তামিমের ইচ্ছা ছিল ব্যাংকক বা সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করানোর। কিন্তু এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় বাধ্য হয়েই লন্ডনে যেতে হচ্ছে তাকে। তামিম বলেন, 'আমার জন্য ভালো হতো সিঙ্গাপুর বা ব্যাংকক গেলে। কিন্তু বিমান যোগাযোগের কারণে যেতে পারছি না বলে লন্ডনেই যেতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ একটা টেস্ট করাতে হবে, এটা লন্ডনেই করাবো।'