আইসিসির দশকসেরা কোহলি, টি-টোয়েন্টির সেরা রশিদ খান

ব্যাট হাতে উইকেটে নামলেই রানের ফোয়ারা বইয়ে দেন বিরাট কোহলি। হোক সেটা টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। সব ফরম্যাটেই দীর্ঘদিন ধরে ভারত অধিনায়কের রাজত্ব। ধারাবাহিকভাবে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করে আসার স্বীকৃতি পেলেন কোহলি। আইসিসির দশকসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার স্যার গারফিল্ড সোবার্স অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
কেবল দশকসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারই নয়, ওয়ানডের দশকসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছেন কোহলি। টেস্টের দশকসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করা আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান জিতেছেন টি-টোয়েন্টির সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। দশকসেরা স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।

মেয়েদের ক্যাটাগরিতে সব পুরস্কারই জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার এলিস পেরি। সহযোগী দেশের পুরস্কার ছাড়া বাকি সবগুলো পুরস্কারই উঠেছে পেরির ঝুলিতে। দশকসেরা নারী ক্রিকেটার, ওয়ানডের দশকসেরা ও টি-টোয়েন্টির দশকসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবরের মধ্যকার সময়ের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগে সাত জনের মনোনয়নের তালিকা গত মাসে প্রকাশ করে আইসিসি। এরপর দর্শক ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ভোটে বিভিন্ন ফরম্যাটের সেরা ক্রিকেটাররা নির্বাচিত হলেন।
আইসিসির বিবেচিত সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৩৯৬ রান করেছেন কোহলি। গড় ৫৬.৯৭, যা অন্তত ৭০ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (৬৬টি) ও ফিফটি (৯৪টি) কোহলি। দশকসেরার ক্রিকেটারের লড়াইয়ে কোহলি পেছনে ফেলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জো রুট, কেন উইলিয়ামসন, স্টিভেন স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কুমার সাঙ্গাকারাকে।

দশকসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা স্টিভেন স্মিথ বিবেচিত সময়ে ৬৯ টেস্টে ৬৫.৭৯ গড়ে ৭ হাজার ৪০ রান করেছেন। ২৬টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২৮টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। দশকসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে স্মিথ পেছনে ফেলেন কোহলি, রুট, উইলিয়ামসন, জেমস অ্যান্ডারসন, রঙ্গনা হেরাথ ও ইয়াসির শাহকে।

ওয়ানডের দশকসেরা কোহলি বিবেচিত সময়ে ২০৮ ওয়ানডেতে ৬১.৮৩ গড়ে ১০ হাজার ৩৮৮ রান করেছেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের নামের পাশে আছে ৩৯টি সেঞ্চুরি। এই সংস্করণে ৮ থেকে ১২ হাজার, প্রতিটি হাজার রানের মাইলফলকেই দ্রুততম ছিলেন ভারত অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টির দশকসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া রশিদ খান বিবেচিত সময়ে ৪৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬.১৪ ইকোনমিতে ৮৯টি উইকেট নিয়েছেন। এই সংস্করণে ২০১৫ সালে অভিষেক হয়েও অন্য যে কারও চেয়ে এটা বেশি। সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটের প্রথম বোলার হিসেবে ২০১৯ সালে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চার বলে চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন রশিদ খান। দ্রুততম বোলার হিসেবে স্পর্শ করেন ৫০ উইকেটের মাইলফলক।

নারী ক্যাটাগরিতে দশকসেরার সবগুলো পুরস্কার জেতা এলিস পেরি বিবেচিত সময়ে ওয়ানডেতে ২টি সেঞ্চুরি ও ২৭টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৬৮.৯৭ গড়ে ২ হাজার ৬২১ রান করেছেন। ২৫.৯ গড়ে বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ৯৮টি। টি-টোয়েন্টিতে চারটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩০.৩৯ গড়ে ১ হাজার ১৫৫ রান করেছেন পেরি। ২০.৬৪ গড়ে ৮৯টি উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।