Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 04, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 04, 2025
ভালোবাসার ‘মিনতি’ আমার

ইজেল

সরওয়ার পাঠান
17 November, 2024, 11:00 am
Last modified: 24 November, 2024, 07:08 pm

Related News

  • ঋত্বিক ঘটকের কন্যা: এক অসমাপ্ত আলাপ
  • শোক হতে শ্লোক
  • আমার স্নিকার্স
  • রং চলিষ্ণু, রঙ্গিলা প্রেমিক...
  • রাণী ও কুটকুটের ভালোবাসা

ভালোবাসার ‘মিনতি’ আমার

সাধারণত নিরীহ প্রাণী হলেও তীক্ষ্ণ কাঁটার কারণে বনের বাঘ পর্যন্ত এদের ভয় পায়। অথচ মিনতি চুপটি করে আমার কোলে ঘুমিয়ে থাকত। কখনো একটি কাঁটার আঘাত আমার গায়ে লাগেনি।
সরওয়ার পাঠান
17 November, 2024, 11:00 am
Last modified: 24 November, 2024, 07:08 pm
শরীরময় তুলতুলে নরম কাঁটা, ছোট্ট মিনতি। ছবিখানা পুরনো, ঝাপসা; তবে স্মৃতি আজও অমলিন। ছবি: সরওয়ার পাঠান

একদিকে ভাওয়াল গড়, অন্যদিকে প্রত্যন্ত এক গ্রামীণ জনপদ, মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী। এ ধরনের অঞ্চলেই আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। শিশু বয়স থেকেই নানা জাতের বন্য প্রাণী প্রত্যক্ষণের সুযোগ হয়েছে। যাদের খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছি, মূলত তাদের নিয়েই লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। নদী, গজারি বন আর গ্রামীণ জঙ্গল, সকলই ছিল জীববৈচিত্র্যে ভরপুর।

নানাভাবে বন্য প্রাণীরা আমার সংস্পর্শে এসেছে, নানা কৌশলে আমি ওদের কাছাকাছি গিয়েছি। বন্যতার আহ্বান; এর এক অমোঘ আকর্ষণ রয়েছে। একবার যারা এই আকর্ষণের সংস্পর্শে এসেছে, তাদের অনেককেই সারা জীবন এই দুর্দান্ত নেশা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কখনো কখনো স্মৃতি হয়ে ওরা এসে ধরা দেয়। যেমন ইদানীং প্রায়ই আমার মনে পড়ে তেমন কিছু বন্য প্রাণীর কথা, যাদের সঙ্গে আমার সখ্য ছিল, ভালোবাসা ছিল। মাঝেমধ্যে নিজেকে ভাবতে গিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ি। যেই আমি ওদের রক্ত ঝরিয়েছি, সেই আমার কাছেই ওরা ছিল প্রাণের চেয়েও প্রিয়; বড় আজব এই মানবজীবন!

আমাদের এলাকায় বসবাসকারী চৌহান আর রবিদাস সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে শজারু শিকার ছিল ঐতিহ্যের অংশ। অবসর পেলেই তারা দলবেঁধে নদী পেরিয়ে ভাওয়ালের গজারি বনে চলে যেত। শজারু গর্তজীবী নিশাচর স্তন্যপায়ী প্রাণী। দিনের বেলায় ওরা টিলার গর্তে আত্মগোপন করে থাকত। শিকারিরা কখনো গর্ত খুঁড়ে কখনো গর্তের মুখে ধোঁয়া দিয়ে ওদের বাইরে বের করে আনত। মাঝেমধ্যে শজারুর গর্তে বাচ্চাও পাওয়া যেত। ওরা সেইসব বাচ্চা বাড়ি নিয়ে এসে পুষে বড় করত। তারপর কোনো এক অনুষ্ঠানে সেটাকে শিরচ্ছেদ করে উদরপূর্তি করত।

একবার বাদল চৌহানের নেতৃত্বে এক দল শিকারির শজারু শিকার হয়ে গেল। গভীর রাতে তারা দুটো মৃত শজারু আর একটি বাচ্চাকে নিয়ে গ্রামে ফিরে এল। খবর পেয়ে পরদিন সকালে বাদলের বাড়ি গিয়ে বাচ্চাটি দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। বাচ্চাটার কিছু ছবি তুলে বাদলকে বললাম, 'একে কিন্তু মারবে না; আমি নিয়মিত খোঁজখবর রাখব।' একবার ইচ্ছে করছিল বাচ্চাটাকে নিজের কাছে এনে রাখি। কিন্তু তখন আমাকে লেখাপড়ার কাজে প্রায়ই ঢাকা যাতায়াত করতে হতো।

শজারু। ছবি: স্মিথসোনিয়ান জু

বাদলই তার নাম রেখেছিল 'মিনতি'। নামটা আমারও বেশ পছন্দ হয়েছিল। তুলতুলে কাঁটার ছোট্ট মিনতি আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠতে লাগল। তাকে দেখতে প্রায়ই চৌহানপাড়ায় যাওয়া পড়ত। বাদলও মাঝেমধ্যে মিনতিকে নিয়ে আমার কাছে চলে আসত। ওকে বাগানবাড়িতে ছেড়ে দিলে সে ঝোপের দিকে চলে যেত। ওখানে কচু আর শাকসবজিসহ নানা খাবার খেয়ে আবার ফিরে আসত আমাদের কাছে। কচুর মূল তার খুবই প্রিয় খাদ্য ছিল।

সাধারণত নিরীহ প্রাণী হলেও তীক্ষ্ণ কাঁটার কারণে বনের বাঘ পর্যন্ত এদের ভয় পায়। অথচ মিনতি চুপটি করে আমার কোলে ঘুমিয়ে থাকত। কখনো একটি কাঁটার আঘাত আমার গায়ে লাগেনি। মিনতিকে আমি ভালোবেসে ফেলেছিলাম।

সময়ের পরিক্রমায় মিনতি একসময় পরিণত হয় নাদুসনুদুস শজারুতে। এর মধ্যে আমি একদিন বাড়িতে এলে বাদল এসে হাজির হয় মলিন মুখে। কী হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই তার সোজা উত্তর, 'মিনতিরে খাইয়া ফালাইছি।' আমি তখন রীতিমতো স্তম্ভিত, হাসব না কাঁদব নাকি বাদলকে থাপড়াব, কিছুই বুঝতে পারলাম না! শুধু জিজ্ঞেস করলাম, 'কেন এই কাজ করেছ?' সে কাচুমাচু গলায় বলল, 'স্যার, অসুখ করছিল; চার পা-ই ফুইলা গেছিল, হাঁটতে পারত না, এমনিতেই মারা যাইত।' আমি তাকে আর কিছুই বললাম না, বলতে ইচ্ছে করল না। তার ভালোবাসায় খাদ ছিল, তাই পরাজিত হয়েছিল জাতিগত লালসার কাছে।

বহুকাল পেরিয়ে গেছে। তবু আজও বাদলের বলা সেই কথাগুলো কানের মধ্যে তীক্ষè হয়ে বেজে ওঠে, 'স্যার, মিনতি রে খাইয়া ফালাইছি।'

Related Topics

টপ নিউজ

শজারু / সজারু / ইজেল

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ প্রণোদনা, পাবেন জুলাই থেকে
  • সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা অর্থ উপদেষ্টার
  • এখন থেকে বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনা যাবে না
  • নোবেল পুরস্কারসহ ৯ ধরনের পুরস্কারের আয়ে দিতে হবে না কর
  • যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি প্রস্তাবে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি!
  • যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

Related News

  • ঋত্বিক ঘটকের কন্যা: এক অসমাপ্ত আলাপ
  • শোক হতে শ্লোক
  • আমার স্নিকার্স
  • রং চলিষ্ণু, রঙ্গিলা প্রেমিক...
  • রাণী ও কুটকুটের ভালোবাসা

Most Read

1
অর্থনীতি

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ প্রণোদনা, পাবেন জুলাই থেকে

2
অর্থনীতি

সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা অর্থ উপদেষ্টার

3
অর্থনীতি

এখন থেকে বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনা যাবে না

4
বাংলাদেশ

নোবেল পুরস্কারসহ ৯ ধরনের পুরস্কারের আয়ে দিতে হবে না কর

5
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি প্রস্তাবে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি!

6
অর্থনীতি

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net