ব্রিটিশ রাজের ঘোড়া

খ্যাতিমান মার্কিন ইন্দোলোজিস্ট ওয়েন্ডি ডনিগার ( জন্ম ২০ মে ১৯৪০) হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি, অক্সফোর্ডের ডি.ফিল: নিজে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর। তার ১৬টি গ্রন্থের একটি উইঙ্গড স্ট্যালিয়ন অ্যান্ড উইকেড মেয়ার গ্রন্থের দশম অধ্যায়টি যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক বিবেচনা করে সংক্ষেপে অনুবাদ ও উপস্থাপন করা হলো :
ব্রিটিশরা ঘোড়ায় চড়ে ভারত দখল করেছিল প্রথমবার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে, অষ্ঠাদশ শতকে। এই কোম্পানিকে তখন অনারেবল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কিংবা জন কোম্পানি, কখনো শুধুই কোম্পানি নামে ঢাকা হতো। দ্বিতীয়বার ১৮৫৮ সালে যখন রানি ভিক্টোরিয়া ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ রাজের পতাকাতলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ বলে ঘোষণা করলেন। ১৯৪৮-এ ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্ব পর্যন্ত তারা তাদের ঘোড়া নিয়ে ভারতবর্ষেই রয়ে গেলেন। রুডিয়ার্ড কিপলিংয়ের বাবা জন লকউড কিপলিং ভারত সম্পর্কে তার অজ্ঞানতাবশত বলেছেন, 'এখানে সবাই ঘোড়ায় চড়ে, চড়তে হয়।' তবে তিনি যদি তা কেবল ভারতে অবস্থানকারী ব্রিটিশদের সম্পর্কে বলে থাকেন, তাহলে ভুল বলেননি। ভারতীয় ঘোড়া নিয়ে যে ব্রিটিশ পুরাণ, তাতে ঘোড়া ও বীর সমসূত্রে গাঁথা।
অশ্বারোহী একটি রেজিমেন্ট নিয়ে ৫০০০ মাইলের অভিযান আর্থিক দিক দিয়ে অবিবেচনাপ্রসূত এবং বাস্তবতাবহির্ভূত। সে জন্য তারা তাদের ঘোড়া ব্রিটেনেই রেখে এসেছে।
যদিও অনেকেই যুক্তি দিয়েছেন সদ্বংশজাত বিদেশি ঘোড়ার সহবাসে জন্ম নেওয়া ঘোড়াই কেবল স্বাচ্ছন্দ্যে ৩০০ পাউন্ড মালামাল সৈন্যদের জন্য বহন করতে পারবে- সেই ঘোড়া তারা ইংল্যান্ড বা তার কাছাকাছি কোনো দেশ থেকে আনেনি, নির্ভর করেছে ভারত ও তার কাছাকাছি অঞ্চলের ওপর। খোলাবাজার থেকে কিনেছে, শত্রু পরাস্ত করে তাদের ঘোড়া ছিনিয়ে নিয়েছে। ১৭৯৯ সালের সেরিঙ্গাপত্তম যুদ্ধের পর কর্র্নওয়ালিশ দেখলেন, তার বাহিনীর ঘোড়ার সংখ্যা ৩০০০ বেড়ে গেছে, অর্থাৎ শত্রুর ৩০০০ ঘোড়া তাদের দখলে চলে এসেছে। অনেকেই তখন দেশি দ্রুতগামী ও কর্মঠ কাঠিওয়ারি ঘোড়ার প্রশংসা করতে শুরু করেছে।
১৮১০ সাল থেকেই ব্রিটিশদের একটি রিমাউন্ট বিভাগ ছিল, যার কাজ কেনাকাটা ও সরবরাহ তত্ত্বাবধান করা। ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে দক্ষিণ আফ্রিকান অন্তরীপ থেকে বহুসংখ্যক ঘোড়া ভারতে আমদানি করা হয়। ওলন্দাজ অভিবাসীরা সপ্তদশ শতকে দক্ষিণ আফ্রিকার কেনা ঘোড়ার সাথে আরবি ঘোড়া ও শংকরজাত ঘোড়ার মিলন ঘটিয়ে আরবি ঘোড়ার চেয়েও উঁচু এবং অধিকতর সহ্যক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়া প্রজনন করাতে থাকে।
ভারতের ব্রিটিশ গভর্র্নর জেনারেল লর্ড অকল্যান্ড শিখ নেতা রণজিৎ সিংকে এ ধরনের এক জোড়া ঘোড়া ব্রিটিশ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উপহার দেন। রণজিৎ সিং অবশ্য তার ১৪.৯ হাত দীর্ঘ ধুসর বর্ণ ঘোড়া লিজিয়নকেই পছন্দ করতেন। ১৮৫৭ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকান কেইপ ঘোড়া এবং দেশি ঘোড়া সবই মার খেয়ে যায় ওয়েলারের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে শংকর-আরবি এবং দক্ষিণ আফ্রিকান কেইপ ঘোড়ার পরীক্ষামূলক মিলন ঘটিয়ে উন্নততর থরোব্রেড ওয়েলার ঘোড়া সৃষ্টি করা হয়। ১৫ থেকে ১৬ হাত লম্বা এবং অন্য সব ঘোড়ার চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও বেশি সহ্যক্ষমতাসম্পন্ন এই নতুন অস্ট্রেলিয়ান ঘোড়া। অথচ অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব কোনো ঘোড়াই ছিল না। যদিও ইউরোপ ব্রিটিশ ও অন্যান্য দেশের অশ্বারোহী বাহিনীতে অখোজাকৃত ঘোড়া কদাচিৎ দেখা যেত ভারতীয় বাহিনীতে, তারা এই ধরনের ঘোড়াই ব্যবহার করত। ঘোড়াগুলোর আচরণ ছিল অশ্লীল, বিপজ্জনক ও বিব্রতকর। এমনকি প্যারেডের সময় দলছুট হয়ে অন্য ঘোড়ার ওপর আসীন হতে চেষ্টা করত।
মোগল এবং তাদের পূর্বসূরি শাসকেরা ভারতে যে ধরনের ঘোড়া আমদানি করেছে তার প্রতিই ভারতীয় ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষপাত। দেশীয় প্রজনন এবং তাদের ইউরোপিয়ান ফার্মের ঘোড়া উপেক্ষা করে তারা পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে আরবি ও পারসিয়ান ঘোড়া আমদানি করত। কান্দাহারি ঘোড়া নামে পরিচিত এই ঘোড়াগুলো তাদের মতে দেশি ও ব্রিটিশ ফার্মের ঘোড়ার চেয়ে বহু গুণ ভালো।
ব্রিটিশ ফিফটিনথ হুসার বাহিনীর একজন সৈনিককে কান্দাহারি ঘোড়া ৮০০ মাইল বহন করে এনেছে। ১৮৭০ সালে ফরটিনথ হুসারের একজন অফিসার বলেছেন, আমি ঘোড়া দেখেছি গঠন, সৌন্দর্য, মেজাজ এবং সম্পাদিত কাজের হিসেবে তার মধ্যে একমাত্র আরবি ঘোড়া পারফেকশন বা যথার্থতার কাছাকাছি বলে বিবেচিত হতে পারে।

ব্রিটিশরা ভারতে ঘোড়া প্রজননের উদ্যোগ নিল। একটি সাধারণ অভিমত হচ্ছে, ঘোড়ার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট প্রজননক্ষেত্র হচ্ছে উপমহাদেশের উক্ত পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল। তারা পাঞ্জাবের শাহারানপুরে কিছুসংখ্যক ঘোড়া প্রজননের ব্যবস্থা করে এবং উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে উৎসাহিত করে। ব্রিটিশরা ১৭৯৪ সালে বাংলাতেও একটি প্রজনন খামার সৃষ্টি করে এবং ভারতে উন্নত জাতের ঘোড়া জন্মদানের পরামর্শ দেবার জন্য ১৮০১ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ভারতীয় হর্স ব্রিডাররা মনে করেন, ব্রিটিশরা এটা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে যে সকল স্থানই ঘোড়া উৎপাদনের জন্য উত্তম নয়, তারা ভালো স্থান উপেক্ষা করেছে এবং অখোজাকৃত ঘোড়া ও মাদি ঘোড়া আমদানির দিকে নজর না দিয়ে বড় ভুল করেছে। তারা কেবল অশ্বারোহী বাহিনীর ঘোড়ার কথাই ভেবেছে। রেসের ঘোড়ার কথা ভাবেনি।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রজনন খামারের তত্ত্বাবধায়ক উইলিয়াম মুরক্রফটের Observations on the Breeding of Horses within the Provinces under the Bangla Establishment 1874 গ্রন্থে ভারতীয় প্রজননের ঘোড়া সম্পর্কে হীন ধারনা পোষণ করেছেন। মুরক্রফটের ৭৫ বছর পর জন লকউড কিপলিং একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি করলেও ভারতীয় ঘোড়া প্রজনন নিয়ে বিতর্কের কথা স্বীকার করেছেন। ১৮৫০ সালের দিকে পাঞ্জাব ব্রিটিশ শাসনের অধীনে চলে গেলে দেশীয় ঘোড়া প্রজনন কার্যক্রম দমে যায়। ১৮১৪ সালে মুরক্রফট দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগে উত্তর বিহারে নীল চাষাবাদবেষ্টিত এলাকায় ঘোড়া প্রজননকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এখানে স্থাপন করার উদ্দেশ্য ঘোড়ার খাবার সস্তা এবং খামারের নিরাপত্তা বেশি। স্থাপনের উদ্দেশ্য অশ্বারোহী বাহিনীর জন্য ঘোড়া আমদানি কমিয়ে এনে দেশি জাত ও বিদেশি জাতের মিলনে শংকর ঘোড়া সৃষ্টি করা। মুরক্রফট শুরুতেই ভারতীয় দামি ঘোড়াকে অনুপযুক্ত ঘোষণা করেন। তবে ভারতীয় কিছু পার্বত্য অঞ্চল, যেখানে সবুজ ঘাসের সমারোহ রয়েছে এবং মরুদ্যানও রয়েছে- তা প্রজননের জন্য উপযুক্ত। তিনি কেবল উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের জন্যই এই আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, সিন্ধু নদ ছাড়িয়ে যেসব দেশ রয়েছে, সেখানে বিপুলসংখ্যক ঘোড়া মজুত আছে এবং যুক্তিসংগত দামে সেখান থেকে মাদি ঘোড়াও পাওয়া সম্ভব। খুল্লুম নামক স্থানে মীর কুলিশ উলি খানের উদ্যোগে আরব, ইরান ও ইরাকি ঘোড়ার সাথে তুর্কমান মাদি ঘোড়ার মিলনে রেসের ঘোড়া উৎপাদন করা হচ্ছে, এগুলো সামরিক কাজেও ভালো হবে। মীর উলি খানের অশ্বারোহী বাহিনীতে ১২ হাজার ঘোড়া রয়েছে। প্রজননের ঘোড়া আমদানি করা হচ্ছে ইংল্যান্ড, আরব এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে।
তিনি লিখেছেন, ভারতীয় মাদি ঘোড়া অধিক সন্তান জন্মদানে অক্ষম এবং এদের জন্মদানের উর্বরতার কালও সংক্ষিপ্ত। ক্রমেই ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত প্রজনন খামার থেকে আরবি ঘোড়া বাদ পড়তে থাকে, তখন কাঠিওয়ার ও লক্ষ্মীজঙ্গল ঘোড়া মাদি ঘোড়ার জন্য উত্তম বিবেচনা করা হয়। মুরক্রফট দেশীয় ঘোড়ার ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড থেকে আমদানির সুপারিশ করেছেন।
নেটিভ ভারতীয়দের ব্যাপারেও তিনি উদার ছিলেন না, বলেছেন, তাদের অভ্যাস সহজে বদলানো যায় না। তবে ব্রিটিশ প্রজননপদ্ধতি ও আবার তাদের ঠিকমত শেখাতে পারলে ঘোড়া উৎপাদনে ভারতের সম্ভাবনা রয়েছে। উঁচু জাতের ঘোড়া প্রজননে ব্যবহার করলেও ভারতীয় স্বভাবের কারণে উৎপন্ন হয় উচ্চ বংশের লেংড়া ঘোড়া।
মুরক্রফট জাত ঘোড়া উৎপাদনে ভারতের ব্যর্থতার জন্য হিন্দু বর্ণ প্রথাকে দায়ী করেছেন। জাতের এত বিভাজন থাকলেও ঘোড়া প্রজননের জন্য কোনো জাতি নেই। খ্যাতিমান কোনো মুসলমান বা হিন্দু ব্যাপারটা লজ্জাজনক বিবেচনা করে ঘোড়া প্রজননের খামার করবে না কিংবা এ কাজের সাথে জড়িত হবে না। মুসলমানের জন্য কাজটা লজ্জার আর এ ধরনের কাজে অর্থ গ্রহণের বাধা হিন্দু জাত প্রথা। তারপরও মুসলমান ইন্দ্রিয়ের দাস আর হিন্দুর দাসত্ব বিত্তের।
আবুল ফজলের বর্ণনায় রয়েছে ভারতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানুষ অশ্ব প্রজননের কাজ করে। কিন্তু তারা কারা? মহাভারতসহ প্রাচীন গ্রন্থাবলিতে চরণ, সুতা প্রভৃতি ঘোড়া লালনকারী জাতের কথা বলা হলেও এসব জাতির অস্তিত্ব নেই। পৌরাণিক ঘোড়ার কাহিনিতে এসব জাতি থাকলেও খেত-খামারে তারা নেই।

মোগল আমলে সেনাবাহিনীতে হর্স কিপার ও হর্স ব্রিডার স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক ছিল। ব্রিটিশ আমলে সহিস ছিল। মুসলমান শ্রেণি থেকে বিলীন হওয়া রাজপুতরা প্রজনন ঘোড়ার খামারি, এখান থেকে বীজ বপনের জন্য অখোজাকৃত ঘোড়া ভাড়া দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘোড়াগুলোকে লালন করার মতো সামর্থ্য তাদের নেই, তাদের ভালো-মন্দ বিচারক্ষমতাও নেই। ফলে প্রজননের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কাজটি এখন নিশ্চিহ্ন হবার পথে। মুরক্রফট মনে করেন, হিন্দু আইনপ্রণেতারা ঘোড়ার প্রতি আকৃষ্ট হননি, তারা হয়তো জানতেনও না যে ঘোড়াই সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাণী।
হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থেকে পাওয়া একটি সংস্কৃত রচনা থেকে জানা গেছে, চারজন ব্রাহ্মণ ঘোড়া বেচাকেনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, কিন্তু ঘোড়া প্রজননের ব্যাপারে এই উঁচু জাতের কোনো ভূমিকা আদৌ ছিল কি না, তা জানা নেই।
মুরক্রফট উপসংহারে বলেছেন, বর্ণবাদী ভারতীয় সমাজে ঘোড়া প্রজননের জন্য যদি আর একটি জাতি সৃষ্টি করা সম্ভব না হয়, তাহলে ভারতেই হর্স ব্রিডারের একটি কলোনি বা উপনিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তারাই ব্রিটিশ রাজের জন্য প্রয়োজনীয় ঘোড়া উৎপাদন ও সরবরাহ করবে।
রুডিয়ার্ড কিপলিংয়ের বাবা জন কিপলিং বোম্বেতে স্থাপত্যকলার শিক্ষক এবং লাহোরে মেয়ো স্কুল অব আর্টের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ছেলের বইয়ের অলংকরণ করেছেন এবং নিজেও একটি সচিত্র বই লিখেছেন : Beast and Man in India : A popular Sketch of Indian Animal's in their Relations with the People. এই বইয়ের অষ্টম অধ্যায়টি ঘোড়া এবং খচ্চর নিয়ে। তিনি হিমালয় অঞ্চলের লোকদের অশ্বজ্ঞানের প্রশংসা করেছেন। তবে বাংলা ও মাদ্রাজের নিন্দা করেছেন, সম্ভবত ঠিকই করেছেন। বাংলা ও মাদ্রাজ ঘোড়াপ্রিয় প্রদেশ নয়। তাদের হাতে পড়ে প্রাণীগুলো শুকিয়ে টাট্টু ঘোড়ার ক্যারিকেচারে পরিণত হয়। দুর্বল ঘাড়ের ওপর মাথা ঝুলে থাকে, শরীর দুর্বল, সংকুচিত এসব ঘোড়া। তবে উত্তর-পশ্চিম ও পাঞ্জাবে ঘোড়ার অবস্থা তুলনামূলভাবে ভালো। তিনি বলেছেন, কিছু ভালো হর্সম্যান ভারতে আছে, তারা সবাই ইংলিশম্যানের কাছে প্রশিক্ষিত। একসময় ইউরোপিয়ানদের কেউ কেউ বলেছেন, ভারত নাকি ঘোড়ার স্বর্গ, এটা মোটেও ঠিক নয়।
তিনি ব্রিটিশ সরকারকেই ভারতের ঘোড়ার উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।