১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ ছাড়া সুয়েজ খাল ছাড়তে পারবে না আটকে পড়া সেই জাহাজ

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সুয়েজ খালে আটকে থাকা দৈত্যাকৃতির এভার গিভেন নামের জাহাজটি মুক্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনই সুয়েজ খাল ত্যাগের অনুমতি পায়নি জাহাজটি।
১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগে জাহাজটিকে সুয়েজ খাল ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওসামা রাবি বলেন, "তদন্ত শেষ হওয়া আগে ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগে জাহাজটি এখানেই থাকবে," বলেন। খবর দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
"শীঘ্রই এ ব্যাপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদী আমরা। যে মুহূর্তে তারা ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হবেন, জাহাজটি চলাচলের অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে," বলেন রাবি।
জাহাজটি মুক্ত করার সংশ্লিষ্ট খরচ বাবদ মিশরীয় কর্তৃপক্ষ ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে বলে জানান রাবি।
ড্রেজিংয়ের ফলে খালের ক্ষয়ক্ষতি, জাহাজটি সরানোর যন্ত্রপাতির খরচ ও এ কাজে নিয়োজিত ৮০০ জন শ্রমিকের মজুরি বাবদ এ ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। খালের দুপাশে সৃষ্ট যানজটে আটকে পড়া চার শতাধিক জাহাজের অর্থও ফিরিয়ে দেওয়া হবে এ ক্ষতিপূরণের অর্থ থেকে।
লন্ডন ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভের তথ্যমতে, এ ঘটনায় মিশরীয় কর্তৃপক্ষের ট্রানজিট ফি বাবদ ৯৫ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এভার গ্রিন মেরিন করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট এরিক সেইহ জানিয়েছেন, এ ঘটনার দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে না, ইন্সুরেন্সের আওতায় এ সমস্যার সমাধান হবে।
গত ২৩ মার্চ ঝড়ের প্রবল বাতাসে ও পানির জোয়ারে আড়াআড়িভাবে সুয়েজ খালের পানিতে আটকা পড়ে জাহাজটি। প্রায় এক সপ্তাহ চেষ্টার পর জাহাজটিকে মুক্ত করা হয়।
ঠিক কীভাবে জাহাজটি আটকা পড়ে তা জানতে তদন্ত করছে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত জাহাজটির ২৫ জন নাবিককে মিশরেই অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাবি জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটি আদালতের বাইরে মীমাংসা হক এমনটাই চান তারা। তবে আইন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার চিন্তাও বিবেচনায় আছে বলে জানান তিনি।
"ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে একমত হতে না পারলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াবে," বলেন তিনি।
- সূত্র: ইনসাইডার