Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
November 07, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, NOVEMBER 07, 2025
কুম্ভমেলা: করোনাকালেও ভারতে ৭ লাখ মানুষের সমাগম

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
17 January, 2021, 01:40 pm
Last modified: 17 January, 2021, 01:43 pm

Related News

  • এইচ-১বি ভিসা সংকটের পর সেরা মেধাবীদের ফেরাতে চায় ভারত, কিন্তু পথ সহজ নয়
  • লালমনিরহাটের ৬২ কি.মি. জমি দখলের সংবাদ মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: বিজিবি
  • ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তির সমঝোতা স্মারক সই
  • দীর্ঘ একাকীত্বের পর বিরল ভাইরাসে দিল্লি চিড়িয়াখানার একমাত্র আফ্রিকান হাতির মৃত্যু
  • বকেয়া পরিশোধ না করলে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি আদানির

কুম্ভমেলা: করোনাকালেও ভারতে ৭ লাখ মানুষের সমাগম

'বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই উৎসবের ব্যাপকতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদের ওপর তাদের গুরুত্বের প্রতিফলন ঘটেছে, সেইসঙ্গে প্রতিফলন ঘটেছে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্যের।'
টিবিএস ডেস্ক
17 January, 2021, 01:40 pm
Last modified: 17 January, 2021, 01:43 pm
ছবি: গেটি ইমেজ

জীবন ও মৃত্যুর চিরন্তন চক্র থেকে মুক্তির কামনা জানাতে প্রতি বছর গঙ্গা নদীতে আসেন ১ কোটিরও বেশি হিন্দু তীর্থযাত্রী। সেখানে তাদের উদ্দেশে প্রার্থনা ও আশীর্বাদ করেন পুরোহিতেরা। ভক্তেরা গঙ্গার পবিত্র জলে ধুয়ে ফেলেন পাপ।

পৃথিবীর বৃহত্তম তীর্থযাত্রা ভারতের এই কুম্ভমেলা। তবে এ বছর করোনাভাইরাস মহামারির ভেতর এ মেলার আয়োজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তীর্থযাত্রীরা মাস্ক ছাড়া জড়ো হলে এবং একসঙ্গে গোসলে নামলে কোভিড-১৯ মহামারি গণহারে বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে- এমন সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কুম্ভমেলা মাসব্যাপী এক তীর্থ, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উদযাপনের মধ্যে অন্যতম। এই উৎসবের পেছনে রয়েছে কিছু পৌরাণিক কাহিনি। সেই কাহিনি অনুসারে, গঙ্গা নদীর জল নির্দিষ্ট কিছু দিনে 'অমৃত' বা অমরত্বের উৎসে পরিণত হয়।

গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর মিলিত মোহনায় পবিত্র জলে স্নান করলে 'মোক্ষ' লাভ করা যায়, বা জীবন ও মৃত্যুচক্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।

ছবি: গেটি ইমেজ

বৃহস্পতিবার তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল, যা মকর সংক্রান্তি নামে পরিচিত, অথবা পবিত্র স্নানের প্রথম দিন। কিন্তু এ বছর সংশ্লিষ্টরা তীর্থযাত্রাকে এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দেশটির উত্তরাখণ্ডের নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রী মদন কৌশিক বলেন, 'আমরা ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের কোনো এক সময় তীর্থযাত্রা শুরু করব এবং তা এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত চলবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই কয়েক মাসে মানুষকে গঙ্গায় স্নান করার জন্য চারদিন সময় দেওয়া হবে। এই উৎসব আর স্থগিত রাখা যাবে না। আমরা সাবধানতা অবলম্বন করব এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করব সতর্ক থাকার; কিন্তু কুম্ভমেলা বিলম্বিত বা বাতিল করব না।'

এই স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ মকর সংক্রান্তি উদযাপন করতে বৃহস্পতিবার জড়ো হন উত্তর উত্তরাখণ্ড রাজ্যের প্রাচীন শহর হরিদ্বারে।

ভক্তেরা বুধবার থেকেই আসা শুরু করেছিলেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পরিবারগুলো নদীতে স্নান করছে, একদল ভক্ত হেঁটে যাচ্ছেন কিংবা তীরে বসে আছেন এবং পুরোহিতেরা প্রার্থনা করছেন সন্ধ্যায়।
দোকানদাররা সাজিয়েছেন তাদের দোকান, আর খোলা আকাশের নিচে ফেরিওয়ালারা রাস্তায় তাদের জিনিসপত্র রেখে দিয়েছেন ভিড়ের আশায়। কৌশিকের মতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ লোক উপস্থিত হয়েছেন তীর্থস্থানে।

তীর্থযাত্রীরা প্রথম পানিতে নামা শুরু করার পর থেকেই কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছে এক মহাসংক্রামণ মোকাবেলার, যেখানে দেশটিতে এখনো প্রতিদিন ২০ হাজার নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্বে ভারত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত দেশ এবং করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় দেশটির স্থান তৃতীয় সর্বোচ্চ। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় ভারতে ১ কোটি ৫ লাখেরও বেশি আক্রান্ত এবং দেড় লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

যদিও তীর্থযাত্রা এক মাস স্থগিত করা হয়েছে, তবে নতুন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হলেও তা একটি হুমকি হতে পারে।

সিএনএন-নিউজ১৮-এর মতে, গত বছর প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন। যদি এ বছর উপস্থিতি কমেও যায়, তবু লাখ লাখ মানুষ দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এখানে জড়ো হবেন, সরকারি সুবিধা ভাগাভাগি করে নেবেন, একসঙ্গে খাবার খেয়ে একই পানিতে স্নান করতে নামবেন।

ছবি: গেটি ইমেজ

সম্ভাব্য 'বিস্তার ক্ষেত্র'

গত সেপ্টেম্বরে ভারতে সংক্রমণ চরমে পর্যায়ে পৌঁছায় এবং তারপর থেকে ক্রমাগত কমে আসছে দৈনিক নতুন আক্রান্তের হার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই মাসের শুরুতে দেশে প্রথম দুটি কোভিড-১৯ টিকা অনুমোদন দিয়েছে জরুরি ব্যবহারের জন্য। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ একটি বিশাল টিকাদান কর্মসূচী চালু করেছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে আগস্টের মধ্যে ৩০ কোটি জনগণকে টিকা দেওয়া।

দেশটির নেতারা সতর্ক করেছেন, টিকা থাকুক বা না-থাকুক, সংক্রমণের আশঙ্কা এখনো অনেক বেশি এবং দেশবাসীর সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এই সময়ের মাঝেই কোভিড প্রটোকল বাস্তবায়ন করতে হবে, এমনকি একটু ঢিলেঢালা হলেও তা ক্ষতিকর হতে পারে।'

উৎসবের ঝুঁকি তুলে ধরে এবং কর্তৃপক্ষকে আরও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে গত ১১ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট একটি নির্দেশিকা জারি করেন। আদালত সতর্ক করে বলেছেন, নিরাপদ বাসস্থান এবং পরিবহনসহ মানুষের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ না করা হলে, কুম্ভমেলা ২০২১ কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার প্রজনন স্থল হতে পারে।

ছবি: গেটি ইমেজ

আদালত বলেছেন, যেহেতু সারা দেশ এবং বিদেশ থেকে মানুষ কুম্ভমেলায় জড়ো হয়, তাই কোভিড-১৯ সংক্রমণ তীর্থযাত্রীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যেতে পারে, এই ঝুঁকি কমাতে সরকারের 'সুদৃঢ় পরিকল্পনা' প্রয়োজন।

এ বছরের উৎসবের আয়োজক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছেন, তবে পাশাপাশি বলেছেন, তারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তিনি বলেন, 'মা গঙ্গা সবাইকে রক্ষা করবে, এ আস্থা আছে আমার।'

বৃহস্পতিবার হরিদ্বারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কেকে মিশ্র বলেন, শহরের বাইরে থেকে আসা ভক্তদের থার্মাল স্ক্যানিং ও বিভিন্ন ধরনের টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে এবং দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দিতে শহরজুড়ে জেলা প্রশাসনের লোকজন মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবী দল গঙ্গার কাছে ভক্তদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে। যারা পবিত্র স্নান করতে চান, তাদের অনলাইনে নিবন্ধন ও ই-পাস গ্রহণ করতে হবে। করোনা নিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা কার্যকর রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান এবং প্রকাশ্য স্থানে প্রয়োজনীয় ছয় ফুট সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা।

কিন্তু এই সতর্কতাগুলো কতটা নিবিড়ভাবে অনুসরণ করা হবে, অথবা কীভাবে তা প্রয়োগ করা হবে বিশেষ করে আগামী মাসের তীর্থযাত্রার সময়, সেটি এখনো অস্পষ্ট।

বৃহস্পতিবারের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই নদীর তীরে লোকজন জড়ো হয়েছেন। যাদের ছবি তোলা হয়েছে, তাদের অনেকেই মাস্ক পরে ছিলেন; কিন্তু বিপুলসংখ্যক শিশু ও বৃদ্ধ ছিল খালি মুখে, বিশেষ করে দলগত প্রার্থনার সময়।

এছাড়াও আনুষ্ঠানিকভাবে তীর্থযাত্রা শুরুর তারিখ পর্যন্ত সবাই অপেক্ষা করবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। হিন্দু ধর্মে উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় তারিখ গ্রহের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়, যার ফলে ভক্তরা কর্তৃপক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও পবিত্র স্নানের জন্য গঙ্গায় নেমে যেতে পারেন।

ছবি: গেটি ইমেজ

ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় উত্তেজনা

কর্তৃপক্ষের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সারা বিশ্বে, বেশ কয়েকটি ধর্মীয় সমাবেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সৃষ্টি করেছে, যা পরবর্তীকালে তাদের সম্প্রদায়ের বাইরেও সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রথম দিককার ও সংক্রমণের সবচেয়ে পরিচিত ঘটনা ছিল শিনচিওনজি ধর্মীয় গোষ্ঠীর আয়োজন, যারা গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় মহামারির কেন্দ্রে পরিণত হইয়েছিল। মার্চের মধ্যে দেশটিতে হাজার হাজার সংক্রমণ হবার পেছনে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্যদের দায় ছিল। তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ছিল সে সময় দেশটির মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি। যার ফলে শুরু করতে হয় স্থানীয় লকডাউন, কন্টাক ট্রেসিং এবং করোনা পরীক্ষা।

আমেরিকাতেও গির্জাগুলো কমিউনিটি মহামারির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গির্জা কমপক্ষে ৭০টি সংক্রমণের জন্য দায়ী, অন্যদিকে ওহাইওর আরেকটি গির্জার কারণে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জনেরও বেশি।

মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ভারত তার নিজস্ব সংকটের সম্মুখীন হয়, যখন নয়া দিল্লিতে মুসলিমদের তাবলীগ দলের একটি সমাবেশ বিস্তর সংক্রমণের দিকে ঠেলে দেয় পরিস্থিতি। সারা দেশ ও বিদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন, যার ফলে পরবর্তী মাসগুলোতে ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন ওই সমাবেশ থেকে, যার বিস্তার ঘটেছে ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়েও।

তবে তাবলীগের সেই সমাবেশ অন্যান্য দেশের উদাহরণের তুলনায় অনেক ভয়াবহ ফলাফল নিয়ে আসে এবং প্রকাশ্য শত্রুতার সম্মুখীন হয়। মূলত ভারতে দীর্ঘদিনের হিন্দু-মুসলিম ধর্মীয় উত্তেজনার কারণে মহামারির সময় সেই সমাবেশ ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু। দেশটিতে প্রায় ২০ কোটি মুসলমান। দিল্লি সংক্রমণ ভারতে বিদ্যমান বিদ্বেষের কুসংস্কারকে প্রসারিত করেছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বে বেড়েই চলেছে। সারা দেশের মুসলমানরা অভিযোগ করেছেন, তাদের হয়রানি ও মারধর করা হচ্ছে; কারও কারও বাড়িতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে; কিছু বিজেপি নেতা ওই সমাবেশকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

অন্যান্য অমুসলিম সমাবেশ এখনো একইভাবে চলছে; তবে সেগুলো তুলনামূলকভাবে কম প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন। উদাহরণস্বরূপ, উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা দেবার পরেও একটি হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য অন্য শহরে গিয়েছিলেন, সে সময় তাকে সার্বক্ষণিক ঘিরে রাখতেন অন্তত ২০ লোক। এরপর তার মিডিয়া উপদেষ্টা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, সেখানে মাত্র ১০ জন লোক হাজির ছিল।

ছবি: গেটি ইমেজ

হরিদ্বারে জড়ো হওয়া লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের নিয়ে এ সপ্তাহে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের প্রায় কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। মোদীর একটি শক্তিশালী হিন্দু ঘাঁটি রয়েছে, তিনি বৃহস্পতিবার ছুটির কথা টুইট করেছেন; তবে কোভিড-১৯ বা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা কোথাও উল্লেখ করেননি।

তিনি লিখেছেন, 'মকর সংক্রান্তিকে ভারতের বিভিন্ন অংশে উৎসাহের সঙ্গে চিহ্নিত করা হয়। এই শুভ উৎসব ভারতের বৈচিত্র্য ও আমাদের ঐতিহ্যের স্পন্দন ফুটিয়ে তোলে।'

নিরাপত্তা ঝুঁকি সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ আগামী মাসে তীর্থযাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এই ঘটনায় ভারতের রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় কাপুর অবাক নন। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি না এটা কখনোই বাতিল করা হবে; কারণ এটা অনেক বড় আয়োজন। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই উৎসবের ব্যাপকতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদের ওপর তাদের গুরুত্বের প্রতিফলন ঘটেছে, সেইসঙ্গে প্রতিফলন ঘটেছে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্যের।'

মার্চ মাসে মুসলিম সমাবেশকে যেভাবে 'বিষাক্তভাবে' লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, উদাহরণ তৈরি করার বিষয়টি বিবেচনা করার সময় এটি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলে জানান তিনি।

আরও বলেন, 'তারা এমনকি কোভিডের কারণে সংসদকে একত্রিত হতে দিচ্ছে না, কিন্তু এত বড় আয়োজনকে বাস্তবায়িত করার অনুমতি ঠিকই দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীকে আপনি এর কী ব্যাখা দেবেন? মহামারি তো এখনো শেষ হয়নি।'

  • সূত্র: সিএনএন

Related Topics

টপ নিউজ

কুম্ভমেলা / ভারত

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
    পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের বিশাল মজুদ আবিষ্কার
  • একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
    একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • পৃথিবীরাজ কাপুর। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
    ২৫০০-এর বেশি প্রধান চরিত্রে অভিনয়, জন্ম পাকিস্তানে, এখন বলিউড মাতাচ্ছে তারই চার প্রজন্ম
  • ছবি: সংগৃহীত
    নাহিদ, আখতার, সারজিস, হাসনাতসহ ৪৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত, আছেন দুই উপদেষ্টাও
  • ছবি: সংগৃহীত
    মাইলস্টোন দুর্ঘটনা পাইলটের ভুলে, ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর ট্রেনিং পরিচালনার নির্দেশ
  • ফাইল ছবি: রাজীব ধর/টিবিএস
    এমআরটি-৬ প্রকল্পের ব্যয় কমল ৭৫৪ কোটি টাকা, সময়সীমা বাড়ল ২০২৮ সাল পর্যন্ত

Related News

  • এইচ-১বি ভিসা সংকটের পর সেরা মেধাবীদের ফেরাতে চায় ভারত, কিন্তু পথ সহজ নয়
  • লালমনিরহাটের ৬২ কি.মি. জমি দখলের সংবাদ মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: বিজিবি
  • ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তির সমঝোতা স্মারক সই
  • দীর্ঘ একাকীত্বের পর বিরল ভাইরাসে দিল্লি চিড়িয়াখানার একমাত্র আফ্রিকান হাতির মৃত্যু
  • বকেয়া পরিশোধ না করলে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি আদানির

Most Read

1
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের বিশাল মজুদ আবিষ্কার

2
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
অর্থনীতি

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

3
পৃথিবীরাজ কাপুর। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
বিনোদন

২৫০০-এর বেশি প্রধান চরিত্রে অভিনয়, জন্ম পাকিস্তানে, এখন বলিউড মাতাচ্ছে তারই চার প্রজন্ম

4
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

নাহিদ, আখতার, সারজিস, হাসনাতসহ ৪৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত, আছেন দুই উপদেষ্টাও

5
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

মাইলস্টোন দুর্ঘটনা পাইলটের ভুলে, ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর ট্রেনিং পরিচালনার নির্দেশ

6
ফাইল ছবি: রাজীব ধর/টিবিএস
বাংলাদেশ

এমআরটি-৬ প্রকল্পের ব্যয় কমল ৭৫৪ কোটি টাকা, সময়সীমা বাড়ল ২০২৮ সাল পর্যন্ত

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net