করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ জনের প্রাণহানি, নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে দু'জন মারা গেছেন। গত শনিবার তাদের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃতের সংখ্যা ১৯ জনে দাঁড়ালো।
একইদিন নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে প্রায় ৮৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।
নিউইয়র্ক রাজ্য গভর্নর আন্ড্রু কোয়েমো উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রাজ্যজুড়ে সর্বোচ্চ জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, জরুরি অবস্থার আওতায় এখন থেকে রাজ্যটির প্রশাসন অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেওয়াসহ চাহিদা মাফিক প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার সুযোগ পাবে।
এদিকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে একটি প্রমোদতরী (ক্রুজ শিপ) এখন সান ফ্রান্সিসকো বে'তে অবস্থান করছে।
শনিবার নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক অঙ্গরাজ্য কোভিড-১৯ সংক্রমণের কথা জানায়। গত বছরের শেষ দিকে প্রথম চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে এই ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রে এটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জনজীবন ক্রমশ স্থবির হয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে সঙ্গীতায়োজন এবং সম্মেলনের মতো বেশকিছু জনসমাগমমূলক কর্মকাণ্ড। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস করার নির্দেশ জারি করেছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রটিতে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, অভিজাতদের মাঝেও রোগ বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত মাসে মেরিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মেলন কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স। গত শনিবার এর আয়োজকরা জানান সম্মেলনটির পর সেখানে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর মাধ্যমে একই সম্মেলনে অংশ নেওয়া অন্যদের মাঝেও ভাইরাসটি বিস্তারের ঝুঁকি বাড়লো।
ভাইরাসে সংক্রমণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টি। সিয়াটল শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত কিং কাউন্টির কার্কল্যান্ড এলাকায় একটি নার্সিং হোমের জ্যেষ্ঠ বাসিন্দাদের মাঝে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। বয়স্ক হওয়ায় এদের মাঝেই প্রাণহানির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।