বিদ্যুৎ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশকে ৩ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি 'এনহান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেংদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিয়ন' শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে, এই প্রকল্পের জন্যই বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অতিরিক্ত অর্থায়নের চুক্তিটি সই হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোঃ শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংক এর ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত ও বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পের মূল ঋণচুক্তিটি হয়েছিল ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিলে। বিশ্বব্যাংক এর স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটির তহবিল থেকে ৪৫ কোটি ডলারের বেশি (৩৬৪২.৪৮ কোটি টাকা) ঋণ সহায়তা দিতে এই চুক্তি করা হয়।
পরবর্তীতে কোভিড-১৯ চলাকালীন কোভিড সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রকল্পের মূল অর্থায়ন থেকে ৫ কোটি ডলার প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির সফলভাবে সম্পন্ন করতে ২ কোটি ২৯ লাখ এসডিআর বা সমপরিমাণ ৩ কোটি ডলার অতিরিক্ত প্রয়োজন হওয়ায়- বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
এই অর্থ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের সুদের হার ১.২৫% এবং সার্ভিস চার্জ ০.৭৫%। এছাড়াও অনুত্তোলিত তহবিলের ওপর সর্বোচ্চ ০.৫০% কমিটমেন্ট চার্জ থাকলেও— পূর্বের বছরের ন্যায় বিশ্বব্যাংক বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই অর্থবছরে কোনো কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে না।