‘সবচেয়ে বড় আলু’ আসলে আলুই নয়!

নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনের কলিন আর ডোনা ক্রেইগ–ব্রাউন দম্পতি গতবছর হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তাদের দাবি ছিল, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলুটি খুঁড়ে পেয়েছেন তারা।
কিন্তু কপাল মন্দ! ডিএনএ টেস্টের ফলাফলে এসেছে, তাদের পাওয়া বস্তুটি আর যাই হোক, আলু নয়!
২০২১ সালের আগস্ট মাসের একদিনের কথা। কৃষক দম্পতি নিজেদের খামারে মাটি খুঁড়ে সবজি তুলছিলেন। তখনই তারা এক কিম্ভূতকিমাকার বস্তু খুঁজে পান।
ওয়াশিংটন পোস্টকে কলিন জানান, কদাকার বস্তুটিকে তারা প্রথমে ছত্রাক ভেবেছিলেন। পরে তারা একে আলু হিসেবে ধরে নেন। বড় বড় আরও আলু পাবার আশায় তারা আরও বেশ কিছুক্ষণ খনন চালিয়ে যান সেদিন।
ওজন করার পর দেখা যায়, বস্তুটি ৭ দশমিক ৮ কেজির।
এটি যে আলু, সেটি নিশ্চিত করতে কলিন এর একাংশ চেখেও দেখেন; সোল্লাসে ঘোষণা দেন, "এটি তবে আলুই!"
বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি পেতে কলিন আর ডোনা আলুটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এতোদিন এ রেকর্ড ছিল ৪.৯৮ কেজির একটি আলুর দখলে। কিন্তু গিনেস কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা খতিয়ে দেখতে চায় এটি আসলেও আলু নাকি।
দুর্ভাগ্যবশত, ডিএনএ টেস্টিং কলিন আর ডোনার সবচেয়ে বড় আলুর স্বীকৃতির স্বপ্নে পানি ঢেলে দিয়েছে।
এ দম্পতিকে পাঠানো ইমেইলে বলা হয়েছে, "দুঃখজনকভাবে আপনাদের পাঠানো নমুনাটি আলু নয়। বরং কন্দটি লাউয়ের (গোর্ড) প্রজাতির সাথে মেলে। ফলে আপনাদের আবেদনটি আমরা অনুপযুক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি।"
হতাশ দম্পতি গিনেস কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। এদিকে কন্দটির জন্য গালভরা একটি নামও ঠিক করেছেন তারা- 'ডাগ'! এখনও বাড়িতে কেউ এলেই, বিশেষত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আগ্রহ নিয়ে বিশাল বপুর ডাগের কথা জানতে চায়।